পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ স্বল্পতুষ্ট ব্রাহ্মণের বিধবাসদৃশ এ-দেশের বিত্তশালিগণ সমুদয় নগদ টাকা গবর্ণমেণ্টের হাতে দিয়া রিক্তহস্ত । স্বতরাং গবর্ণমেণ্টের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় মূলধন সংগ্রহও কঠিন । এত জাল, এত জটিলতা ছিন্ন করার জন্য স্বাধীনতাই কি আমাদের প্রয়োজন ? নতুবা কি দেশের লোক দিন দিন বৃত্তিহীন হইয়া ক্রমশ: আরও অভাবগ্ৰস্ত, ম্ৰিয়মাণ ও উৎসাহহীন হইয়াই পড়িবে ? এই প্রশ্নের উত্তর এই যে, এ-দেশে রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করা অবধি আমরা অপেক্ষা করিতে পারি না । সুতরাং কংগ্রেস যেটুকু ক্ষমতা ( দেশের বাণিজ্য, শিল্পনীতি, টাকার বিনিময়ের হার ও মালের রেলের ভাড়ার উপর প্রাদেশিক গবৰ্ণমেণ্টের কোন হাত মহীয়সী \లిశ్రS নাই ) পাইয়াছে কালক্ষয় না করিয়া তাহার সাহায্যেই অগ্রসর হউক। এই ব্যাপারে তথ্যাকুসন্ধান আবশ্যক সন্দেহ নাই, কিন্তু তথ্য অদ্যাবধি বহু ব্যক্তিই সংগ্রহ করিয়াছেন। চাই হাতে-কলমে কাজ এবং তাহাতে ষে নানা বিঘ্ন উপস্থিত হইবে তাহী উল্লঙ্ঘনের ক্ষমতা অর্জন । অন্যথা বৃথা আড়ম্বর ও কালক্ষেপে আমাদের দুঃখ আরও বৰ্দ্ধিত হইবে এবং কংগ্রেসের সম্মান ও তাহার কৰ্ম্মশক্তির প্রতি লোকের বিশ্বাস অলুষ্ঠিত হইবে। গবর্ণমেণ্টের বিশেষ স্নেহ ন পাইয়াও আমেদাবাদ অঞ্চলে বহু কাপড়ের মিল হইয়াছে এবং বঙ্গদেশে কিছু কিছু রাসায়নিক দেশীয় প্রতিষ্ঠান গড়িয়া উঠিয়াছে, পরম নৈরাষ্ঠের মধ্যে ইহাই আমাদের আশার কথা । মহীয়সী খ্রীসুরেন্দ্রনাথ দাসগুপ্ত বিশ্বের নয়নদলে, তুমি দেবী নিভৃত বন্দিনী হৃদয়ের আনন্দ নন্দিনী ; কনকের কাস্তি কহু, কহু তুমি পল্লবখ্যামলী, তুমি স্বষ্টি মহাশক্তি, নহ নহ নহ ত অবলা ; উষার নৈঃশব্দ্য ভাঙি বিঙ্গ-কাকলি কলকলে, স্বর যবে স্রোতধারে, পরস্পরে মিলে ছলছলে, দক্ষিণের মৃদুমন্দ আন্দোলিত বায়ুসঞ্চরণে, প্রভাতের পদ্মবনে মধুপের মধু গুঞ্চরণে পুষ্প-মূঞ্চরণে, এলে তুমি বাজাইয়া কনক-কিঙ্কিণী চির অশস্কিনী, বিচিত্র বর্ণের জালে আলোকের মহা ঝর্ণা হোতে মন্দাকিনী মহাপুণ্য-স্রোতে। সমুদ্র মস্থল হোতে উঠেছিল লাবণ্যে উৰ্ব্বশী, অত্রির নয়নরন্ধে, উঠেছিল উল্লসিয়া শশী, সমগ্র লfব- রাশি আপনার প্রতি অঙ্গে মথি, কবির হৃদয়-পদ্মে উদ্দীপনী মহাসরস্বতী, হে সৌভাগ্যবতি । জন্ম তব, কোন শুভ্র কল্পনা জ্যোংমাতে, কার আল্পনাতে ? তোমার যৌবন ফলে তুমি নিত্য রহ উদাসিনী, চিরন্তনী ওগো সন্ন্যাসিনি ! আগ্রহে দেখিতে তোমা, বিশ্বের নয়নপদ্মদল, লাবণ্য পুলকে ভরে, আনন্দের ঔৎস্থক্যে সজল ; ধমনী নাচিয় উঠে কোন গৃঢ় সুধা-সঞ্চরণে, মানস-সরসী কাপে, অন্তরের ভাবের স্পন্দনে, তোমার বন্দনে ।