পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిగిg - - мгч সিংহ ও সিংহীর বিশ্রাম তীব্র আলো অসহ্য বলিয়া তাহার পথ হইতে কেঁচোর মত আঁকিয়া-বাকিয়া চলিয়া যায়। আহারান্তে বিশ্রামের সময় অন্ধকারে একটু শ্লেষ্মাপিণ্ডের ন্যায় চুপ করিয়া পড়িয়া থাকে শীম-বীজের আরুতিবিশিষ্ট ‘প্রোটোজোয়া’র জলের মধ্যে ভীষণ বেগে ছুটাছুটি করিয়া বেড়ায় ; কিন্তু অন্ধকারে ইহারা গায়ে গায়ে ঠেসাঠেসি করিয়া নিশ্চল ভাবে অবস্থান করে । পুনরায় আলো না-দেখা পর্য্যস্ত এরূপ বিশ্রাম চলিতে থাকে। গ্রামোফোনের হনের মত বিরাট মুখ স্থা করিয়া স্টেন্টর সারাদিন আহারে ব্যাপৃত থাকে। অন্ধকার হইবামাত্রই শরীর গুটাইয়া ছোট একটু লবঙ্গের আকার ধারণ করে এবং জলজ লতাপাতায় আটকাইয়া সারারাত বিশ্রাম করিয়া কাটায় । ‘ভর্টিসেলা,’ ‘রটিফের! প্রভূতি যাবতীয় আণুবীক্ষণিক প্রাণীরাই রাত্রির অন্ধকারে শরীর গুটাইয়া বিশ্রাম করিয়া থাকে । কীটপতঙ্গের মধ্যে জোক, কেঁচো ও শরীর গুটাইয়া বিশ্রাম করে । কেন্নো ও শরীরটাকে অল্প সঙ্কুচিত করিয়া অথবা কুণ্ডলী পাকাইয়া একাদিক্ৰমে কিছু দিন বিশ্রাম করিয়া থাকে । কতকগুলি প্রাণীর মধ্যে আবার বিশ্রাম বা নিদ্রার অদ্ভুত রীতি দেখা যায় । ইহার প্রত্যহ কার্য্যান্তে বিশ্রাম তো করেই, তা ছাড়া শীতকালে বৎসরের প্রায় অৰ্দ্ধেক সময় বিশ্রাম করিয়া কাটাইয়া দেয় । কাকড়-বিছ রাত্রিবেলায় আহারান্বেষণে বহির্গত হয় কিন্তু দিনের বেলায় সম্পূর্ণ বিশ্রাম উপভোগ করে, আবীর সারা শীতকালটা নিশ্চেষ্টভাবে বিশ্রাম করিয়া কাটায়। কোন কোন জাতের মাকড়সা দিনের বেলায় এবং কোন কোন মাকড়সা রাত্রিবেলায় সম্পূর্ণ বিশ্রাম গ্রহণ করে। কিন্তু শীতের সময় প্রায় সকলেই ইহার হাত-পা পা গুটাইয়া কোন নির্জন স্থানে বিশ্রাম করিয়া থাকে । গরমের সময় সাপ রাতদিন প্রায় সমভাবেই বিচরণ করে ; কিন্তু শীত পড়িলেই কেহ কুণ্ডলী পাকাইয়া, কেহ বা গর্তে কিংবা ফাটলে একাদিক্রমে অনেক দিনের জন্য বিশ্রাম গ্রহণ করে । শামুক, গুগলি প্রভৃতি প্রাণীরা অনেকেই সারা বর্ষাকাল ক্রিয়াশীল থাকে। শীতের প্রারম্ভেই খোলার মুখ বন্ধ করিয়া পুনরায় বর্ষাসমাগম পৰ্য্যস্ত নিশ্চেষ্টভাবে অবস্থান করে । কোন কোন জাতীয় কচ্ছপও একাদিক্ৰমে ছয়-সাত মাসকাল মৃতের মত ঘুমাইয়া কাটাইয়া দেয়। বর্ষাস্তে ইহারা সকলেই খোলার মুখ বন্ধ করিয়া পাকের নীচে চলিয়া যায়। মাটি শুকাইয়া শক্ত হইয়া গেলেও তাহার সহিত মিলিয়া পড়িয়া থাকে। পুনরায় বর্ষাসমাগমে বর্ষণ স্বরু হইলেই মাটি ভিজিয়া নরম হয় এবং সহজেই মাটি ফুড়িয়া বাহির হইয়া আসে। বর্ষাকালে ব্যাঙেরাও কৰ্ম্মশেষে বিশ্রাম গ্রহণ করে ;