পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-পরিচয়-—শ্ৰীহরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত প্রণীত । মিত্র এও ঘোষ কর্তৃক প্রকাশিত। মূল্য আড়াই টাকা । কবি কাব্য সৃষ্টি করেন, কাব্য-রসিক তার আনন্দ উপভোগ করেন, আর কাব্য-বস্তু ও সেই আসন্দের তত্ত্বচিন্তা ও তত্ত্বনির্ণয় করেন দার্শনিক । প্রাচীন কাল থেকেই এই রকম ঘটে আসছে, দেশে এবং বিদেশে । খ্ৰীযুক্ত সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্তের সাহিত্য-পরিচয় আধুনিক বাংলা সাহিত্যে সেই ধারাই বজায় রেখেছে । সুরেন্মনাথ প্রথমত ও প্রধানত দার্শনিক। এবং তঁর ‘সাহিত-পরিচয়ে'র প্রবন্ধগুলি মুখ্যত কাব্য ও কাব্যামনের তত্ত্বের আলোচনা। যারা কাব্যপাঠের আনন্মেই খুশী তাদের স্বরূপ সম্বন্ধে কুতুহলা নন-এ গ্রন্থ ষ্টাদের জষ্ঠ নয়। সে কৌতুহল র্যাদের আছে এ বই ষ্টাদের মন ও চিন্তাকে নাড়া দেবে। কাব্যের তত্ত্ববিচারে বিপথগামী হওয়ার আশঙ্ক প্রধানত দুটি । এক হচ্ছে বিশ্লেষণের অতিশয্য । কাব্যবস্তুকে বিশ্লেষণ করেই তার তত্ব নির্ণয় করতে হয়, কিন্তু সে বিশ্লেধ৭ অনেকের, বিশেষত অনেক দর্শণ-ব্যবসায়ীর হাতে মাত্র। ছাড়িয়ে যায় । অর্থাং বিশ্লেষণ এমন সব সুক্ষরতম তত্ত্বে উত্তীর্ণ হয় যা থেকে আর কাব্যবস্তুতে ফিরে আস। যায় না । হৃৎপিণ্ডের কাজেয় যে পরিচয় চায় তাকে সমস্ত জড়বস্তুর বিশ্লেষণে পাওয়া যায় প্রোটন ও ইলেক্ট্রন এ তত্ত্ব শুনিয়ে কোনও লাভ নেই। কাব্যের বিশ্লেষণে যদি কেবল পৌছা যায় সমস্ত আট-সাধারণ BB BB BBB BBS BB BBBB BBB BB BD aBBBB BBS DD KKB S BB BBBB SBLS BBSKBB B BBBB BBB সুরেন্দ্রনাথ ফ্রোচের মতামতের যে পরিচয় দিয়েছেন পাঠক তার মধ্যে এই অতি-দার্শনিকতার কিঞ্চিৎ নমুনা পাবেন । দ্বিতীয় বিপদ হচ্ছে এক-দেশিকত । কাৰোঁর তত্ত্ববিচার কোনও কল্পিত অবস্তুর বিচার নয়, নন। দেশ ও কালের কবিদের প্রতিম্ভ। যে বস্তুবিশেষকে স্বষ্টি করেছে, সেই বস্তুর তত্ত্ব-বিচার। এই স্থষ্টির বৈচিত্র্যকে উপেক্ষা করে শ্ৰেণী-বিশেষের কাবের ভিত্তিতে কাব্যতত্ত্বকে দাড় করাবার চেষ্ট। অপ্রতুল নয় । কোনও কাধারসিকই সব রকম শ্রেষ্ঠ কাব্যেও যথোপযুক্ত আনন্ম পান না। অস্কাপ্ত ক্লচির মত এথানেও ক্লচির পক্ষপাতিত্ত্ব আছে এবং ত৷ স্বাভাবিক। ক্লচির এই পক্ষপাতিত্ব যখন বিচারবুদ্ধিকে সঙ্কীর্ণ করে, তখনি সব একদেশদশী কাব্যতত্বের হক্ট হয়। আর তত্ত্বের খাতিরে ৰস্তুকে উপেক্ষা করার চেষ্টা বিজ্ঞানের ইতিহাসেও অজ্ঞাত নয় । এই গ্রন্থের প্রবন্ধগুলির মতামতে দার্শনিক স্বরেঞ্জনাখ অতিদার্শণিকতার হাত এড়িয়েছেন, এবং রুচির পক্ষপাতিত্ব কাব্যরসিক স্বরেন্দ্রনাথের তত্ত্ববিচারকে মোহগ্ৰস্ত করে নি। লেখক ভূমিকায় জানিয়েছেন যে গ্রন্থের প্রবন্ধগুলি লেখকের যৌবনের প্রারম্ভ থেকে মধ্য বয়স পৰ্য্যন্ত লান। সময়ের লেখা। সেই জঙ্ক কোণ একটা বিশেষ মতবাদের চার পাশে আলোচনাগুলি দান। বাধে লি । কিন্তু সেটা এ পুথির দোষ নয়, একটা আকর্ষণ । এর ফলে লেখকের মতামতগুলি বাইরে থেকে পাঠকের মনকে ঘিরে ধরতে চার না, মান দিক থেকে লাড় দিয়ে ৰুদ্ধিকে সচল ও সক্রিয় করে তোলে । జెథ్రె iē སྦྲརྩཟླ་བ་བློ་གླིང་། ཥ|༦་༥༦ ) ·aï 籃墨 to-noir"... /S/C/X/T, ATACATALWATWA WATWA WAW نة تقرتقت تقضر لتنطنص تظنها تظهرتض ! एषु গ্রন্থের প্রথম প্রবন্ধ “সাহিত্য-পরিচয় অবিশেষজ্ঞ পাঠকের পক্ষে কিঞ্চিৎ গুরুপাক । কারণ অনেক রকম কথা অতি অল্প পরিসরের মধ্যে লেখক ব’লে সেরেছেন । কিন্তু তার দ্বিতীয় প্রবন্ধ ‘অভিনবের ডায়েরি’র মডাৰ্ণাইজড দিঙনাগ, ভট্টনায়ক ও রুদ্রটের বাদামুবাদ থেকে বাঙালী পাঠকের রসের অলৌকিকত্ব তত্ত্বের সঙ্গে মনোজ্ঞ পরিচয় হবে । হালক৷ সুরের মধ্য দিয়ে লেখক যা প্রকাশ করতে সমর্থ হয়েছেন ত৷ মোটেই হালকা নয় । কাব্যে কাকে বলে রিয়ালিজম আর কার নাম আইডিয়ালিজম, এর আলোচনা আছে ‘বর্ষাকীবের ক্রমবিকাশ' প্রবন্ধে এবং সে আলোচলার ফল পরীক্ষা করা হয়েছে মোটামুটি এক রকমের ৰিষয়বস্তু সম্পর্কে নানা কবির বিভিন্ন রকমের কাব্যে প্রয়োগ করে। বাল্মীকি থেকে আরম্ভ ক’রে রবীন্দ্রনাথ পয্যন্ত অামাদের দেশের কবিদের বর্ষার কাব্যে রিয়ালিজম ও আইডিয়ালিজম বিশ্লেষণ করা হয়েছে । বাল্মীকির ব্যামিশ্ৰিতং সৰ্জকদম্বপুম্পৈঃ নবং জলং পর্বতধাতুতাম্রন্থ। ময়ূরকেকভিবনুপ্রয়াতং শৈলাপথাঃ শীগ্রতরং বছন্তি । রসার্কুলং ষটপদসন্নিকশং প্রভুজতে জম্মুফলং প্রশমম্। অনেকবৰ্ণং পবনাবধৃতং ভূমে পতত্যাম্রফলংৰিপক্ষ। কি রবীন্দ্রনাথের= ‘ধেয়ে চ'লে আসে বাদলের श्रiद्रi, নবীন ধান্ত দুলে স্কুলে সার, কুলায়ে কঁপিছে কাতর কপোত, দtছুরী ডাকিছে সঘনে । গুরু গুরু মেঘ গুমরি গুমুরি’ গরঞ্জে গগণে স্বাধলে ` বাহুদূষ্টতে রিয়ালিষ্টক—“যপস্থিতবস্তুবিধয়ক” । কিন্তু লেখকের কথায়, “বর্ধার সৌন্দৰ্য্য কবির প্রাণে যে হর্ষস্পর্শের ঝঙ্কার তুলেছে, কাব্যের প্রতি অক্ষরে তা ফুটে উঠেছে।" অর্থাৎ বস্তুর বর্ণনা কাবা হয়ে উঠেছে কবির চিত্তের অনুভূতি তার সঙ্কে, রন্ধে অসুপ্রবিষ্ট হয়েছে বলে। তেমনি— “এমন দিলে তারে বলা যায়, এমন ঘন ধোয় বরিবtয় । এমন মেঘ-স্বরে তপনহীম ধন তমসায় । এখানে চিত্তের অনুভূতি কাব্য হয়েছে যে বস্তুর মধ্য দিয়ে প্রকাশ অমুভূতির আবেগ তার মধ্যে সঞ্চারিত হয়েছে বলে। কাব্য বস্তুও নয় অনুভূতিও নয়, বস্তুর অনুভূতির প্রকাশ। এর মধ্যে কোনটার উপর জোর একটু বেশী, কাব্যের বিচারে সেটা খুব বড় কথা নয়। এ গ্রন্থের প্রবন্ধগুলিতে বাঙালী পাঠক কাৰ্যতত্বের ও কাব্যরসের এত বহুমুখী আলোচনা পাবেন যার বৈচিত্র অসাধারণ। এবং সে আলোচনা ‘হিত’ ও ‘মনোহার", অর্থাৎ দুলভ। কোথাও কোথাও কিঞ্চিৎ কঠিন,—বুদ্ধির দাতের পক্ষে তিক্ষয় । বাদল ঝর-ঝরে, শ্ৰীঅতুলচন্দ্র গুপ্ত