পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\இதன்

  • णहे पाब्रनो न श्रण, वडोद शूछठी नौब्रनउ निद्रांमक उोण कब्रिज्ञ বুঝিতে না পারিলে আধ্যাঞ্জিক উন্নতি হয় না। সাধুভক্ত জনের প্রার্থনাসমূহ এই সকল বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা জন্মায়। তৎসমুয়ের সাহায্যে আমাদের অভাববোধ জন্মিলে আমরা প্রার্থনী-পল্লারণ হইয়া উন্নততর ও অধিকতর আনন্দময় জীবনের অধিকারী হইতে পারি।

কেশবচক্সের প্রার্থনামাল। ধৰ্ম্মজীবনপথের মূল্যবান সম্বল । ( ১ ) “যে যথা মাং প্ৰপদ্যন্তে তাং স্তথৈব ভজাম্যহম্।।” (২) “জ্ঞানং সৰ্ব্বতে মাগিতব্যম,” (৩) নব যুগের নীতি ও ধৰ্ম্ম-অধ্যাপক স্ত্ররজনীকান্ত গুহ প্রণীত । মূল্য যথাক্রমে /-, v, এবং/• আলা। কলিকাতার ২১১ নং কর্ণওআলিস্ ট্রটের সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ কাৰ্য্যালয়ে প্রাপ্তব্য। এই পুস্তিকা তিনটি দেখিতে যেরূপ ক্ষুদ্র, তদপেক্ষ বহু পরিমাণে অধিক জ্ঞানের আধার। লেখক প্রাচা ও পাশ্চাত্য শাস্ত্রাদি হইতে যাহা আহরণ করিয়াছেন, নিজ মনন-শক্তি দ্বারা তাহার আলোচনা দ্বারা স্বাধীন সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন । ভগবদগীতার একটি প্রসিদ্ধ শ্লোক, তাহার একাধিক ব্যাখ্য', এবং শ্লোকটির সদৃশীর্ষক উক্তি "ভাবগাষ্ঠী জনাৰ্দ্দনঃ” ও “যত মত তত পথ” প্রথম পুস্তিকাটিতে আলোচিত হইয়াছে। সকল শ্রেণীর সকল প্রকার মামুষের যে সর্বত্র জ্ঞানান্বেষণ অাবগুক, এই আদর্শ দ্বিতীয় পুস্তিকাটিতে আলোচিত ও প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। তৃতীয়টিতে তিনি অষ্ঠাষ্ঠ বিষয়ের মধ্যে, প্রাচীন ও নবীন নীতি এবং ত্ৰিবিধ ধর্থের আলোচনা করিয়া এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন ঃ– “যে-ধৰ্ম্ম শুধু তত্ত্ব-বিচারে নয়, কিন্তু ব্যাবহারিক জীবনে অসাম্যকে বিষবৎ যৰ্জ্জন করে, মৈত্রী যাহার পরম সাধন, এবং মানুষের স্বাধীন বিকাশ যাহার লক্ষ্য.—সেই ধৰ্ম্মই জাতিতে জাতিতে ঐক্যস্থাপনের উৎকৃষ্ট উপায় ।” “স্বাধীনত সাম্য ও মৈত্রীর কথাও বাহ ; ইহার আগেও কথা আছে। ধৰ্ম্মের সার্থকতা বহিঃপ্রকাশেই নিঃশেষ হয় না। যে প্রেরণা মামুষকে ধৰ্ম্মের অস্তুরঙ্গ সাধণে দেই মল অর্পণ করিতে উদ্বুদ্ধ করে, তাহী পুণ্যজীবনের জন্তু অতপণীয় বুভূক্ষ, linnger for heliness. মানুষ যে দেবতাসম্ভব এবং অনন্তু জীবনের অধিকারী, তাহার পরিচয় দেয় জ্ঞান পিপাসা ও সৌন্দৰ্য্যবোধের উদ্ধে এই শুদ্ধতার অকিঞ্চন । ধৰ্ম্ম যে-পরিমাণে আত্মাকে ব্ৰহ্মপ্রকৃতির অনুরূপ করিয়া পুনর্গঠন প্রবাঙ্গী & y©ვჯ, করিতে সমর্থ, সেই পরিমাণে সত্য। আত্মার জাতসংস্কার, প্রকf, পরিবর্তন, আকাঙ্কণ-উদ্যমের আমূল সংশোধন, পরমাত্মস্বভাবেঃ অভিমুখে অবিরাম গতি, দ্বিজত্বলাe—যে-ধর্ম উপাসকের সন্মুখে নিয়ত এই আদর্শ রাখিয় তাহাকে পরমসুন্দরের রূপে আকুষ্ট এবং পরিপূর্ণ আত্মবিসর্জনের জষ্ঠ আকুল করে, সেই ধৰ্ম্মই নবযুগের ধৰ্ম্ম, সেই ধর্শ্বেট ভারতের পরিত্রাণ, সেই ধৰ্ম্মই ভবিষ্যমানবের রক্ষাকবচ-- স্বল্পমপ্যস্ত ধৰ্ম্মস্ত রায়তে মহতো ভয়াং “এই ধর্শ্বের অতাল্পও মানুষকে মহৎ ভয় হইতে ত্রাণ করে " গীতা ॥২৪০ “তবুও আমি তাহার উপর নির্ভর করিব”— কুমারী এইচ আর হিগেন্সের আত্মজীবনী শ্ৰীমথুরানাখ ননী বি-এ কর্তৃক অনুদিত । ১০৮ এ, আপার সাকুলার রোড, কলিকাতা, হইতে শ্ৰীনরেন্দ্রনাথ নন্দী কর্তৃক প্রকাশিত। মূল্য - আনা। এই বহিখানি যে মহিলার আত্মজীবনী, এক দুশ্চিকিৎস্ত ও অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক বাধির জন্ঠ “র্তাহার দক্ষিণহস্ত—কমুয়ের নীচ পর্যাস্তু, ও তাহার কিছু কাল পরে, তাহার বাম পদ কাটিয়া ফেলিতে হইয়াছিল । তৎপরে, তাহার বাম হস্তেও সেই বাধি দেখা দিয়াছিল, এবং তাঁহাও রক্ষা করিতে পারা যায় নাই । ইহার কয়েক বৎসর পরে, তাহার দক্ষিণ বাহুর কমুয়ের উপরের যে অংশ ছিল, তাহীও কাটিয়া ফেলিতে হইয়াছিল। এই সকল অস্ত্যধিক ক্লেশকর পরীক্ষার ভিতরেও তিনি আশ্চর্য সাহস, ধৈর্যা ও উপায়োস্তাবনী শক্তি প্রদর্শন করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । যখন ঠাহীর দক্ষিণ বাহু কষ্ঠিত হইয়াছিল, তখন তিনি বাম হস্তের সাহায্যে লিখিতে শিক্ষা করিয়াছিলেন , কিন্তু যখন কনুইয়ের উপর পর্যস্ত বাম বাহুও কাটা শুইল, তখন তিনি দুষ্টটি যন্ম উদ্ভাবনপূর্বক একটির সাহায্যে দক্ষিণ বাহু দ্বার। লিপিতে এবং অপরটির সহায়তায় বাম বাস্থ দ্বারা পুস্তকের পাতা উল্টাক্টতে পারিতেন । এই ভাবে, যে চিকিৎসকের সঙ্গে তিনি বাস করিতেন, তাহার সহকারী লেখিকার কার্য্য করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । বিগত ২৮ বৎসর কাল ঠাহীর শারীরিক যন্ত্রণা অত্যন্ত তীব্র থাকিলেও, তিনি সকল সময়েই উৎফুল্ল, আনন্দিত এবং ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতাপূর্ণ থাকিতেন ।” তিনি খ্ৰীষ্টীয়ধৰ্ম্মাবলম্বিন, কিন্তু তাহার আত্মজীবনী সকল ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের লোকদের পক্ষেই শিক্ষাপ্রদ । や。