পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रं न्विन्विश्च चञ्नsट द्वं ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত্তি সাম্রাজ্যবাদ কি না পাথর-বাটি পাথরের কি না, কেহ এই প্রশ্ন করিলে লোকে তাহাকে পাগল বলিবে । কিন্তু ইংলণ্ডের হাউস অব কমন্সে সম্প্রতি এই রকমের একটি কথা প্রধান মন্ত্রী চেম্বারলেন সাহেব বলিয়াছেন । র্তাহার মতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য সাম্রাজ্যবাদী নহে! তিনি ঠিক যাহ। বলিয়াছেন তাহারই আলোচনা করা যাক।” গত ২৮শে নবেম্বর পালেমেণ্টের হাউস অব কমন্সে তর্কবিতর্কের সময় শ্রমিক-নেতা মেজর য়্যাটল ব্রিটিশ গবন্মেণ্টের নিকট বহু উচ্চ আদর্শের অমুসরণ দাবী করেন এবং তন্মধ্যে বলেন যে সাম্রাজ্যবাদ ত্যাগ করিতে শুইবে । তfতার উল্লেখ করিয়া প্রধান মন্ত্রী চেম্বারলেন সাহেব বলেন : Mr. Attlee had said that Imperialism must be abandoned, but did not say what country he had in mind as practising Imperialism today. If Imperialism means the assertion of racial superiority, suppression of political and economic freedom of other peoples, the exploitation of the resources of other countries for country. then I Bay these are not the characteristics of this country, but lhey are the characteristies of the present administration of Germany. Whatever may have been the case in the past we have no thought of treating the British Empire on the lines I described. For years ill has been the accepled dogma that the administration of the Colonial Empire is a trust which has to be conducted primarily in the the benefit of the imperinlist interests of the people of the country concerned. We have already undertaken to give free access to the inarkets and malerials of many of our most important { olonies. তাৎপর্য । মিষ্টার য়্যাটলী বলিয়াছেন সাম্রাজ্যবাদ ত্যাগ করিতে হইবে, কিন্তু তিনি বলেন নাই আজকার দিনে সাম্রাজ্যবাদের কার্যগত অনুসরণ করিতেছে এরূপ কোন দেশ মনে রাখিয়। তিনি ওরূপ কথা বলিয়াছিলেন । সাম্রাজ্যবাদ বলিতে যদি বুঝায় কথায় ও কাজে জাতিগত শ্ৰেষ্ঠতায় বিশ্বাসের অমুসরণ, অনান্য জাতির রাজনৈতিক ও আর্থিক স্বাধীনতা দাবাইয়া রাখা, অঙ্গান্ত দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ সাম্রাজ্যবাদী দেশের সুবিধার নিমিত্ত তাহার নিজের কাজে লাগান ও আত্মসাৎ করা, তাহা হইলে আমি বলি এগুল। এই দেশের ( ব্রিটেনের ) চরিত্রলক্ষণ নহে—এগুল জামেনীর বর্তমান শাসনযন্ত্রের চরিত্রলক্ষণ । অতীতে যাহাই হইয়া থাকুক, { বর্তমানে ] ব্রিটিশ সাম্রাজ্য সম্বন্ধে উল্লিখিত রূপ ব্যবহার করিবার কোন ইচ্ছ। আমাদের নাই । বহু বৎসর ধরিয়া ইত্য একটি অনুমোদিত মত বলিয়া গৃহীত হইয়াছে যে, ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য আমাদের তাতে গুস্ত একটি সম্পত্তি এবং তাঙ্গার কার্য তথাকার অধিবাসী লোকদের হিতার্থে নিৰ্বাহ করিতে হইবে । আমরা আমাদের খুব আবশ্বক উপনিবেশগুলির মধ্যে অনেকগুলিতে অন্য জাতির লোকদিগকে স্বাধীন ভাবে কেনা-বেচা করিতে দিয়াছি । অল্প কয়েকটি বাক্যের মধ্যে এতগুলি অসত্য কথা বলা ও অসত্যের আভাস দে ওয়া বাহাদুরি বটে। মেজর য়্যাটলী যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকেই সাম্রাজ্যবাদ ড্যাগ করিতে বলিয়াছিলেন, চেম্বারলেন সাহেব যদি তাহা না বুঝিয়া থাকেন, তাহা হইলে তাহার ন-বুঝিবার ক্ষমতা নিশ্চয়ই অসাধারণ । সমগ্র ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের লোকসংখ্যা মোটামুটি ৪৯ কোটি ৩৩ লক্ষ সত্তর হাজার ( ৪৯,৩৩,৭০,• • e ) ! তাহার মধ্যে ভারতবর্ষের লোকসংখ্যা পয়ত্রিশ কোটির উপর অতএব ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধিবাসীদের সাত ভাগের মধ্যে পাচ ভাগ ভারতবর্ষে বাস করে । সুতরাং ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বলিতে ভারতবর্ষকে যতটা বুঝায়, অন্য কোন দেশকে ততটা বুঝায় না । ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বলিতে ভারতবর্ষকেই প্রধানত বুঝাইবার আরও কারণ আছে । অন্য বড় বড় দেশ ব্রিটেনের অধিকৃত হইয়াছে ভারতবর্ষের উপর অধিকারের জোরে । অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা প্রভৃতি সেই সব দেশ এখন আর ব্রিটেনের সম্পত্তি নহে-তাহারা স্বরাটু ; ভারতবর্ষের ৩৫ কোটি লোক কিন্তু এখনও ব্রিটেনের দাস এবং তাহাদের দেশ ব্রিটেনের সম্পত্তি ।