পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vరిసిky প্রবাসী t Oළු8VH জাতিতে গন্ধবণিক হইলেও এক পুত্রের বিবাহ দিয়াছেন ব্রাহ্মণ শ্ৰীযুক্ত চক্রবর্তী রাজাগোপালাচার্য্যের কন্যার সহিত। হিন্দু মিশন বহু অসবর্ণ বিবাহ দিতেছেন, তাহার নেতা স্বামী সত্যানন্দ এক্ট মত অসঙ্কোচে প্রকাশ করেন যে, জাতিভেদ সমূলে ভাঙিতে হুইবে । বঙ্গীয় প্রাদেশিক কনফারেন্সের শেষ যে অধিবেশন খুলনায় হইয়া গিয়াছে, তাহাতে অসবর্ণ-বিবাহ-সমর্থক প্রস্তাব গৃহীত হইয়। রহিয়াছে। পুরোঠি ততন্ত্র আর এক দিক দিয়াও ভাঙিয়া পড়িতেছে --দুর্গাপূজা, কালীপূজা, সরস্বতীপূজা ‘সর্বজনীন হওয়ায় যে-কোন জাতের লোক মন্থ পাঠ, অঞ্জলি দান, ভোগ রন্ধন এবং ভোঁজে পরিবেষণ করিতেছে। অতএব আধুনিক কালে ব্রাহ্মসমাজ সমাজকে কাঠামোতে ও গড়নে গণতান্ত্রিক করিবার যে চেষ্টা আর গু করেন, তাহী ক্রমশ ব্যাপকতর হইতেছে । মুসলমানদের শাস্ত্র অনুসারে পৌরোহিত্য নাই তাঙ্গ আগে বলিয়াছি, তদন্তুসারে মুসলমান সমাজে জাতিভেদণ্ড ( এবং অপুখ্যতাও । নাই ; কিন্তু ব্যবহারে রহিয়াছে । গণতান্ধিকতা পাক করিতে হইলে মুসলমান সমাজে পৌরোহিত্য, জাতিভেদ ও অস্পৃশ্যতার উচ্ছেদ করিতে হইবে । খ্ৰীষ্টীয়ান সমাজে ও এইরূপ অগণতান্ত্রিক যাহা আছে, তাহার লোপ সাধন করিতে হঠবে। আগে ইয়োরোপের দৃষ্ঠাস্থ হইতে দেখাষ্টয়াছি যে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করিতে হইলে পুরোহিতত ও সামস্ততস্থের উচ্ছেদ আবখ্যক । ভারতবর্ষেও সেই উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্ত পুরোহিততস্থ ও সামস্ততন্ত্রের লোপ আবখ্যক । পুরোহিততন্ত্রের কথা উপরে বলিলাম। এখন সামস্ততন্ত্রের কথা । বাংল। বিহার প্রভৃতি প্রদেশে যে সকল জমিদার আছেন, তাহারা সামস্ত নহেন । তাহারা এক সময়ে তাঙ্গদের জমিদারী শাসন করিতেন বটে ; কিন্তু র্তাহার সাধারণতঃ নৃপতিবংশোদ্ভূত নহেন, শাসকবংশোদ্ভূত নহেন। এখন ভারতবর্ষে যে-সকল দেশী রাজ্য আছে, তাহার নৃপতিরা সামস্তে পরিণত হইয়াছেন—যদিও তাহাদের অনেকের পূর্বপুরুষেরা স্বাধীন রাজা ছিলেন। হয়ত যখন ভারতবর্ষে পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হইবে, তখন দেশী রাজ্যগুলির স্বতন্ত্র অস্তিত্ব থাকিবে না। কিন্তু আপাতত এমন একটি মধ্য অবস্থা অকুমান করা যাইতে পারে যাহা গণতন্ত্রের সহিত সামঞ্জস্যহীন নহে । ব্রিটেনে রাজা আছেন, অথচ ব্রিটেন যে মোটেই গণতন্ত্র নহে, এমন বলা যায় না । সেইরূপ, ভারতবর্ষের যে সব দেশী রাজ্য আগে স্বাধীন নৃপতির শাসিত স্বাধীন দেশ ছিল, সেই সকল দেশ রাজ্যের লুপতির নিজ নিজ রাজ্যে যদি ব্রিটেনের অক্ষুরূপ শাসনপ্রণালী প্রবর্তন করেন এবং নিজেরা ইংলণ্ডেশ্বরের মত নিয়মতান্ত্রিক ভূপতি (constitutional ruler ) &l, Kofol of $1&TCW: রাজ্যগুলি গণতন্ত্র ভূখণ্ডে পরিণত হইতে পারে। অবশু অতিক্ষুদ্র যে-সব দেশ রাজ্য আছে, সেগুলি আধুনিক উন্নত গণতান্ত্রিক শাসনপ্রণালীর ভার বহনে অসমর্থ ; আমরা যে গণতান্ত্রিক মধ্য অবস্থা অকুমান করিয়াছি, সেই অবস্থাতেও তাতাদের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব থাকিবে না। জনাব জিন্ন সাহেবের মুক্তি মল্পীরা আটটি প্রদেশে পদত্যাগ করার জনাব জিন্না সাহেব উল্লসিত হ , আগামী ৬ষ্ঠ পৌষ ( ২২শে ডিসেম্বর । মুসলমান সম্প্রদায়কে তাহার স্মারক “মুক্তি দিবস’ পালন ইঙ্গ কিরূপ মুক্তি তাহার আলোচনা করিবার পূৰ্ব্বে তাহাকে স্মরণ করাইয়া দেওয়| আবখ্যক যে, কংগ্রেসী মন্ত্রীর আকুতকার্য্য গুইয়া পদত্যাগ করিতে বাধ্য হন নাই, কেই তাহাদিগকে তাড়াইয়া দেয় নাই, ভারতসচিব হইতে আরম্ভ করিয়া গবর্ণর পর্য্যস্ত রাজপুরুষেরা তাহীদের কার্যের প্রশংসা করিয়াছেন, তাহার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করিয়াছেন, এবং তঁাহাদের সম্মতি পাইলে গবর্ণরেরা এখনই আবার তাহাদিগকে মন্ত্রী করিবেন । সুতরাং জনাব জিন্ন সাহেব এখনও বলিতে পারেন না ষে, আটটি প্রদেশের মুসলমানরা মুক্তি পাইয়াছে। যে-কোন সময়ে তাহাদের “মুক্তি”র পরিবর্তে “বন্ধন” আসিতে পারে । জনাব জিন্ন সাহেব কিংবা তাহার কোন মুসলমান সহকর্মী বা অনুচর এ পর্য্যস্ত প্রমাণ করিতে পারেন নাই কংগ্রেসী করিতে অকুরোপ করিয়াছেন।