পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ • তাহার পর ‘অ-মুসলমান’ আরও কমিয়াছে। গবন্মেণ্ট বাধ হয় মনে করিতেছেন "অ-মুসলমানগণ অধিকতর কংগ্রেসী ও অহিংসাবাদী হইতেছে। “অন্ধকূপ হত্য” ও হলওয়েল স্মৃতিস্তম্ভ নবাব সিরাজুদ্দৌলা কলিকাতা দখল করিয়া বহুসংখ্যক ইংরেজকে একটা ছোট কামরায় বন্ধ করিয়া রাখায় তা:াদের অনেকেই মারা পড়ে, ইংরেজদের ইতিহাসে এই আখ্যান অন্ধকূপ হত্য নামে পরিচিত। হলওয়েল নামক এক ব্যক্তি এই আখ্যান রটাইয়াছিল । আধুনিক ঐতিহাসিকদের মধ্যে অনেকে ইহা মিথ্যা মনে করেন, কেহই সম্পূর্ণ সত্য মনে করেন না । তথাপি লর্ড কার্জন ইহাকে ধ্রুব সত্যের মর্য্যাদা দিবার নিমিত্ত কলিকাতার লালদীঘির নিকট একটা স্মৃতিস্তম্ভ বানাইয়া রাখিয়া গিয়াছেন । ইহাতে আর কোন ফল হউক বা না হউক, সাক্ষাংভাবে সিরাজুদ্দৌলার প্রতি এবং পরোক্ষ ভাবে মুসলমান-সম্প্রদায়ের প্রতি ংরেজদের ক্রোধ জাগাইয়া রাখা হয় । অতএব, ঐ স্মৃতিস্তম্ভট না থাকাই উচিত । কয়েক মাস পূর্বে হক মন্ত্রীদের দ্বারা পুরস্কৃত মৌলানা আক্রম থার সভাপতিত্বে কলিকাতায় নবাব সিরাজুদ্দৌলার স্মৃতি-উৎসব হইয়া গিয়াছে । অতএব ইহা আশা করা যাইতে পারিত যে, উক্ত মন্ত্রীরা উক্ত নবাবের পক্ষে অপমানজনক স্মৃতিস্তম্ভট অপস্থত করিবার প্রস্তাবে সায় দিবেন, কিন্তু আইনসভার প্রশ্নের উত্তরে খুজিা সত্ব নাজিমুদিন এ বিষয়ে তাহাদের ক্ষমতাহীনতা ও সাহসাভাব ঢাকিবার নিমিত্ত বলিয়াছেন—বোধ হয় ‘রসিকতা’ করিয়া—স্থতিস্তম্ভটাকে সিরাজুদ্দৌলার কলিকাতা-বিজয়ের মকুমেণ্ট মনে করিলেই হয়। ভাল কথা । সেই মমের একটা সাইন বোর্ড তাহার গায়ে ঝুলাইয়া দেওয়া হউক । তাহার ব্যয় নির্বাহাৰ্থ আমরা চাদা দিতে ও সংগ্ৰহ করিতে প্রেস্তুত । - ক্রমশ বেকার নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্য নানা প্রকার কাজের যোগ্যতাবিশিষ্ট যুবকদিগের む。一ー>8 বিবিধ প্রসঙ্গ-বঙ্গে আড়াই হাজারের অধৰ্বপুস্তক রিদ্ধ gఅరి নাম রেজিস্টরাভুক্ত করিবার, তাহাদিগকে কম খালির খবর দিবার, এবং তাহাদিগের কাজ জুটাইয়া দিবার নিমিত্ত কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বোর্ড আছে। এই বোর্ডের উদ্যোগে ১৯৩৭-৩৮ সালে ৬০ জন, ১৯৩৮-৩৯ সালে ৯০ জন কাজ পাইয়াছে । যে-যে সওদাগরী আপিসে বা কারখানায় তাহার কাজ পাইয়াছে তাহার তালিকা হইতে বুঝা যায় যে, কোন কোন রকমের কাজ ভারতীয়েরা এই প্রথম পাইল, এবং কোন কোন কাজে আগে গ্র্যাজুয়েট বলিয়াই গ্র্যাজুয়েট লওয়া হইত না, এখন লওয়া হইল । কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কাজটি সামান্য মনে করিলে চলিবে না। বিলাতী বিশ্ববিদ্যালয়গুলির চাকরী জুটান বোর্ডের প্রথম বৎসরের কাজ ইহা অপেক্ষা বৃহত্তর হয় নাই । প্রথম বংসরে কেন্থিজের বোর্ড পচিশ জন, লীড সের ছয় জন, এডিনবরার দশ জন, ম্যাঞ্চেষ্টারের দশ জন, অক্সফোর্ডের উনচল্লিশ জন ( ১৯৩৬ সালে ) যুবককে কাজ জুটাইয়া দিতে পারিয়াছিল। তুলনায় কলিকাতার কাজ প্রশংসনীয় হইয়াছে । বঙ্গে আড়াই হাজারের অধিক পুস্তক নিষিদ্ধ বাংলার আইনসভায় নিম্ন কক্ষে প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী খুজি সবু নাজিমুদ্দিন জানাইয়াছেন, হইতে ১৯৩৪ সাল পর্য্যস্ত বাংল-গবন্মের্ণট ২৩১৯ খানি বহি এবং ১৯৩৪ হইতে ১৯৩৬ পর্য্যস্ত ২১২ খানি নিষিদ্ধ বলিয়া ঘোষণা করেন, মোট ২৫৩১ । ১৯৩৬এর পর এ পর্য্যন্ত আর কতগুলি নিষিদ্ধ হইয়াছে, তাহাও জানান উচিত ছিল যাহা হউক, আড়াই হাজারও বড় কম নয়। এত বহি নিষিদ্ধ হওয়াতে বুঝা যায়, দেশে খুৰ অশাস্তি আছে এবং সরকারী মনোভাবও অ-সাধারণ । খুব অল্পসংখ্যক বহি গবন্মেণ্ট নিষিদ্ধ-তালিকা হইতে কিছু কাল পূর্বে বাদ দিয়াছেন । সেগুলি এখন বিক্ৰী হইতে পারে । তাহাতে গবন্মেণ বিপৰ্য্যস্ত হয় নাই । ভারতবর্ষের স্বরাজযোগ্যতা-প্রতিপাদক সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ বহি সাগুলোও সাহেবের “ইণ্ডিয়া ইন বণ্ডেজ" ( “শৃঙ্খলিত 3 పెఫి రి