পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পে7ব , তৰু আজো রক্ষণ আছে, পবিত্র এ দেশে অসংখ্য জন্মেছে মেরে পুরুষের বেশে । মন্দির রাঙায় তারা জীবরক্তপাতে, সে রক্তের ফোটা দেয় সস্তানের মাথে । কিন্তু যবে ছাড়ে নাড়ী, ভিড় করে আসে স্বারে ডাক্তারের গাড়ি । অঞ্জলি ভরিয়া পূজা নেন সরস্বতী, পরীক্ষা দেবার বেলা নোটবুক ছাড়া নেই গতি । পুরুষের বিদ্যে নিয়ে কলেজে চলেছে যত নারী, এই ফল তারি। মেয়েদের বুদ্ধি নিয়ে পুরুষ যখন ঠাগু হবে, দেশখান। রক্ষা পাবে তবে । ৰুঝি নে একটা কথা, ভয়ের তাড়ার দিন দেখে তৰে যেথা ঘরের বাহিরে পা বাড়ায় সেই দেশে দেবতার কুপ্রথা অস্তুত, সব চেয়ে অনাচারী সেথা যমদূত । তালে। লয়ে বাধা নেই, পাড়ায় পাড়ায় দেয় ডঙ্কা । সব দেশ হ’তে সেথ বেড়ে চলে মরণের সংখ্যা । ৰেম্পতিবারের বারকেল। এ কাব্য হয়েছে লেখা, সামলাতে পারব কি ঠেলা । অলকা ] বাণীহারা ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর इंग्नेि ८भtभै। নাহি যে বাণী আকাশে হৃদয় শুধু বিছাতে জানি । আমি আমবিভাধরী আলোকহারা মেলিয়। তারা চাহি নিঃশেষ পথপানে নিষ্ফল অাশা নিয়ে প্রাণে । বহুদূরে বাজে তব বশি সকরুণ সুর আসে ভাসি বিহবল বায়ে নিদ্রাসমুদ্র পারায়ে । ভোমারি মুরের প্রতিধ্বনি ক্ষিই যে ফিরায়ে, সে কি তব স্বপ্নের তীরে ভাটার স্রোতের মতো লাগে ধীরে অতি ধীরে ধীরে ॥ জয়শ্ৰী ] কষ্টিপাথর 8Ꮌ☾ পুরনো চিঠি ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আজ সকালে আমরা লগুনে এসে পৌছেছি। যে ঠিকানায় আরবারে ছিলুম আসছে সপ্তাহে সেইখানে যাব এখনে। সেখানে জায়গা খালি হয় নি। আমরা ওলিম্পিক ব'লে যে জাহাজে চড়ে আটলান্টিক পার হয়েছি সেই জাহাজটা বোধকরি পুথিবীর মধ্যে সব চেয়ে বড় জাহাজ । শাস্তিনিকেতন থেকে বাধ পৰ্য্যস্ত যতটা ততটা লম্বা হবে । আমরা যে ডেকের ক্যাবিনে ছিলুম সে ডেকটা পঞ্চম তলার ডেক অর্থাৎ তার উপরে থাকে-থাকে আরও চারতলা ক্যাবিল আছে এবং তার নিচেও অনেক তলার ক্যাবিন । এর থেকে বুঝতে পারবে জাহাজটা কত উচু । তা ছাড়া শয়নাসন আরাম-বিরাম আহার-বিহারের যে ব্যবস্থা সে একটা আশ্চর্য ব্যাপার । ছু-দিন মাত্র মেয়াদ কিন্তু এই ছ-দিনের জঙ্গে রাজকীয় আয়োজন। এই বিপুল ভোগের বোঝা বহন করে বেড়াবার যে শক্তি তা কল্পনা করলে বিস্মিত হ’তে হয়—কোথাও লেশমাত্র মলিনতা বা শিথিলতার চিহ্নটুকু নেই। এত বড় একটা উদ্যোগ কিন্তু কোনোখানে প্রয়াসের কোনো লক্ষণ বাইরে থেকে দেখা যায় না । আমাদের মস্তিষ্কে হৃৎপিণ্ডে পাকর্ষস্ত্রে যেমন অহরহ একটা বিচিত্র এবং বুহৎ চেষ্টা চলেছে অথচ আমরা সমস্তকে কেমন অনাৱাসে বহন করে নিয়ে হেসে খেলে বেড়াচ্ছি এ কতকট যেন সেই রকম । বে শক্তি পরিপূর্ণ মাত্রায় জাগ্রত ও সচেষ্ট থেকেও আপনাকে সুবিহিত পারিপাট্যের মধ্যে সমাবৃত রাখতে পারে তাকে দেগ্নে মনের মধ্যে সন্ত্রম জন্মায় ; বিশেষত এই জিনিষটা আমাদের দেশে আমরা দেখতে পাই নে । সেখানে শক্তির রথ গোরুর গাড়ির মত, তার সামর্থ্য আয়, সে চলে কম, সে শব্দ করে বেশি, তার বাহন বেচার। অবিশ্রাম ল্যাজ মল খায় এবং তার চালকেরও মুহূত কাল বিশ্রাম নেই। আমাদের অtশ্রম-বিদ্যালয়ের ললাট থেকে এই কুণ্ঠার কুঞ্চনরেখা এখনে ঘোচে নি। আমাদের ত্যাগের মধ্যে চেষ্টার মধ্যে ক্লেশ রয়েছে ; যত দিল আমাদের মধ্যে দীনত থাকবে তত দিন এই ক্লেশের ভার আমাদের বহন করে চলতে হবে, তত দিন এর চাকার ভিতর থেকে আত স্বর শুনতে পাব । কিন্তু তবু এ ক্লেশ স্বীকার করতে হবে ; এর থেকে পালিয়ে গিয়ে নিস্কৃতির চেষ্টা করলে চলবে না । কেননা চলতে চলতেই তবে চলবার বাধা ক্ষয় হয় । আমাদের আত্মার দীনতা ধনের দীনতার মত নয়, দান করতে করতেই তার দৈন্ত হ্রাস হতে থাকে, তার ভার বহন করবার দুঃখটা বহন করবার দ্বারাই দিনে দিনে লঘু হয়ে আসে, বস্তুত শ্রমের দ্বারাই তার শ্রাত্তি দূর হয়ে আসে। এইটেই কি আমরা আমাদের আশ্রমের সাধনার ভিতর থেকে প্রত্যক্ষ দেখতে পাই নি ? কিন্তু অধীর হলে চলবে না, জীবনের কার্ধ্য ইমারত গেধে তোলার মত নয়, কতখানি অগ্রসর হল কিছুই স্পষ্ট দেখা বায় না। এমন কি অনেক সময় বিরুদ্ধ আকারে সে আপনাকে প্রকাশ করে,