পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ ভ্রমণ-সাহিত্য গ্রীসৌরীন্দ্র মিত্র আমাদের সাহিত্যে অভাব বিস্তর, ভ্রমণ-রচমার অভাব তাদেরই একটা প্রধান ।---আমর ভ্রমণকাহিনী লিখতে পুরি না তার কারণ, আর কোন বিষয়ে না হ’লেও, ভ্রমণের ব্যাপারে আমরা বড় বেশী সীfরয়াস । সত্য কথা বলতে কি, ভ্রমণ কবতেই আমরা জানি না । শতাধিক বইসর ধরে কুক্‌-কোম্পানীর জাহাজ চড়ে জ্ঞানার্থী বা ‘অর্থকরী বিদ্যাথী’ যাত্রীর যুরোপে গেছেন এবং একই পথে ফিরে এসেছেন, কিন্তু তাদের এ যাওয়া ও আসার মধ্যে খানিকটা রপ্তান ও আমদানির ভাব ধরা পড়ে-- যেন বাক্সবন্দী পাশেলের চালান হয়ে বাওয়া এবং আসা । স্পষ্টই বোঝা যায়, চোখ এবং BB BBB BSBB BBB BBB BBB BB BBBS BB করেছেন, নইলে ভ্রমণ-সাহিত্যের এমন দুভিক্ষ সম্ভব হত না ।--- এক হিসাবে আমাদের পর্য্যটকদের দুই ভাগে ভাগ কর। to own Ho, Tal Critique of Pure Reason foci বেরোন ; দ্বিতীয় দল, যার গলায় ক্যামের ঝুলয়ে বেরোন । প্রখম দল জ্ঞানাম্বেষণে এতই ব্যস্ত থাকেন যে কিছুই দেখবার অবসর পান না । দ্বিতীয় দলও কিছু দেখেন না, কেননা ক্যামেরার কাচের দিকে চেয়ে-চেয়েই তাদের সময় কেটেছে । ভ্রমণ ব্যাপারটা প্রথম দলের কাছে ইকবাট স্পেন্সারের একটি প্রবন্ধের মতোই শ্রদ্ধেয়, কেনন। বাল্যকাল থেকে তার। শুনে এসেছেন যে ভ্রমণ মনোবিকাশের পক্ষে শ্রেষ্ঠ টানক, বুদ্ধিবুশুর জড়ত ভাঙার পক্ষে কড়া রকমের কফি, এবং কুসংস্কারের অন্ধকার দূরীকরণের পক্ষে একেবারে চকুমকি পাথর । দ্বিতীয় দলের কাছে ভ্রমণ ব্যাপারটা অন্য পাঁচ রকম খরচের মতোই একটা বিশেধ রকমের খরচ, সুতরাং তাদের লক্ষ্য আখ থেকে ৰতটা সম্ভব রস fনষ্কাষণ করে নেয়। । তাই ক্যামের। আর নোটবুক নিয়ে তারা সৰ্ব্বদা ব্যস্ত -- এরাই ফিরে আসেন দেশে, তাঁদের প্রবাসের বুত্তাস্ত লিপিবদ্ধ করেন । ... এই সব রচনাকে ও তুই দলে ভাগ করা যায়, এদের রচয়িতাদেরই মতো। প্রথম বিভাগে পড়ে সেই জাতের লেখা ষার মুখ্যত শেখাতে চায়। এ ধরণের বই পড়ে স্পষ্টই বোঝা যায় ষে, মুদীর্ঘ তিন-চার শ পাতার অগণিত বাক্যে ও শব্দে এই কথাটাই লেখক জানাতে চান যে, দীর্ঘ প্রধাসের পর তিনি ফিরে এসেছেন ভয়ানক রকম পাণ্ডিত্য এবং ভীষণ রকম উদার কষ্টিপাথর רצ8" পরিপ্রেক্ষিত নিয়ে, মনে বিদ্যার আর সুরুচির ছলতে, পয়লানম্বর বানিশ চড়িয়ে ; এবং বইখানি র্তার আর কিছু নয়, দেশের অfশক্ষিত ও স্বল্পশিক্ষিত জনগণের জঙ্গ কিঞ্চিং জ্ঞান বিতরণের আয়োজন। পদে পদে নৃতত্ত্ব, ভূতত্ত্ব, ইতিহাস, শিল্প ও সাহিতোর আলোচনায় আর বিদেশী বাক্যে ও উদ্ধ তিতে এ-জাতীয় বই পঞ্চতপ ব্রহ্মচারীর পক্ষে ও ধৈর্য্য ধরে পড়া কঠিন । দ্বিতীয় দলের লেখাকে এক কথায় বল ধায় এক-একটি গাইডবুক বিশেব,—তবে, উচ্চাঙ্গের গাইডবুক, সন্দেহ নেই । ... ভ্ৰমণকাহিনী এক হিসাবে লেখকের আত্মজীবনী ছাড়া কিছু নয়,—সমগ্র না হলেও আংশিক ; নতুন দেশ, নতুন মানুষ, শুধু পটভূমিক। আমি তো মনে করি সেই বইকেই আমরা প্রথম শ্রেণীর ভ্রমণ-রচনা বলতে পারি, যেখানে আমরা পাই একটা নতুন পারিপাশ্বিকের ভিতর একটা জীবস্ত মামুষের কয়েকটা দিনের ইতিবৃত্ত। নইলে, নিজের কথা ছেড়ে লেখক যদি নিরপেক্ষ ভাবে বিদেশের বর্ণনা দেন, সে-লেখা গাইডবুক হতে বাধ্য, কিম্বা যদি সব ছেড়ে বিদেশলব্ধ অভিজ্ঞতার কথা লিখতে বসেন, সে-রচনা বক্তৃতা ছাড়া আর কিছু হতে পারে ন! ।-- - আমাদের সাহিত্যের অঙ্কাঙ্গ অংশের মতে, এ-অংশেরও প্রথম সংস্কার করলেন রবীন্দ্রনাথ । “ছিল্পপুত্র’ ‘ধাত্রী রাশিয়ার চিঠি ‘জাপানযাত্রীর পত্র প্রথম খাড়া করলে উচ্চাঙ্গের ভ্রমণ-রচনার আদর্শ । এ-বই গুলির মূল কথা বিদেশ নয়, কৰি নিজে। এ-বই পণ্ডলে যে রাখা বা জাপান বা জাভার পথঘাট জলবায়ু আমাদের নখদপণে এসে যাবে বা সেখানকার সমাজের আচার-ব্যবহার, . আইন-কান্থন খুটিনাটি আমাদের ওষ্ট-প্রাস্তকে এসে আশ্ৰয় করবে, এমন আশা নেই ।--কিন্তু এই বই গুলিতে আমরা পাই রবীন্দ্রনাথকেই,--শিলাইদহ থেকে পিটাস বাগ এবং বাটাভিয়া থেকে কিয়োটোর বিচিত্র ও বিভিন্ন পটভূমিতে । কবি ভ্রমণে ৰেরিয়েছিলেন, অনেক কিছু নতুন ও সুন্দর জিনিষ তার চোখে পড়েছে, অনেক কিছু ভালো লেগেছে, অনেক লাগে নি । কিন্তু যা ভালে লেগেছে এবং ষ ভালো লাগে নি হুই-ই গুঞ্জন তুলেছিল কবির মনে, দুই-ই ফুটিয়েছিল সাবানের কেনার মতো ভাব নাব হালক। বুদ্ধ এবং এই গুঞ্জনের রেশ মিলিয়ে যাবার আগে, ভাবনার এই বুদ্ধ দ ফেটে হওয়ায় হারিয়ে যাবার আগে কবি সেগুলিকে ধরে রেখেছেন কাগজে আর কালতে, চিঠিতে আর ডারেরির পুষ্ঠায় ।... রূপ ও রীতি ] كجsجيجسبيكة ভ্রম-সংশোধন DD DDDDD DDDD SDBDD BBBS BBBS BBB BBS BB BBB SBB BBBB BBBB BBBBS BBB BBS ২১শে অক্টোবরের হরিজন” পড়িতে হুইবে ।