পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88s ॰वेषांशौ Yè89 কলরব করিতেছে, এ পার হইতে ঘাটের ঠিকাদার শঙ্কিত হইয়া চীৎকার আরম্ভ করিয়া দিল—অই—অই— এরা করছে কি রে বাপু ! হে-ই ! হে-ই! কিন্তু তাহার কণ্ঠধ্বনি নদীর কল্পোল ভেদ করিয়া ওপারের দলবদ্ধ সাওতালদের কলরবের মধ্যে আত্মঘোষণা করা দূরের কথা—বোধ হয় পৌছিতেই পারিল না। শেষ পৰ্য্যস্ত বেচারা কাশিয়া সারা হইল। কাশিতে কাশিতেই সে বলিল—মর, তবে মর তোরা ডুবে। নিক কালী নিক তোদিগে ! অসীম বৈরাগ্যের সহিত সে নদীর দিকে পিছন ফিরিয়া বসিয়া নূতন করিয়া তামাক সাজিতে বসিয়া গেল । অহীনের মুখে একটি পুলকিত হাসির রেশ ফুটিয়া উঠিল, সে নৌকাভরা সাওতালদের মেয়েদের দিকে চাহিয়া বলিল—একটা মজা দেখবে দাড়াও । —হঠাৎ মজাটা কোথেকে আসবে ? —ঐ নৌকোয় চড়ে আসছে । —বল কি ? ব্যাপারটা কি ? —আমার পূজারিণীর দল আসছে। আমি ওদের রাঙাবাৰু। অমল মুগ্ধ হইয়া গেল, বলিল—বিউটিফুল । চমৎকার নাম দিয়েছে তো! কিন্তু এ যে একটা রোমান্স হে ! অহীন্দ্র হাসিয়া বলিল—রোমান্সই বটে, আবার চরটার -নাম দিয়েছে রাঙাবাবুর চর। আমার পিতামহের সাওতাল-হাঙ্গামায় যোগ দেওয়ার কথা জান তো ? তাকে ওদের প্রগাঢ় ভক্তি। তাকে বলত ওরা রাঙাঠাকুর। আমি না কি সেই রকম দেখতে ! চোখগুলো খুব বড় বড় ক'রে বলে—তেমুনি আগুনের পারা রং ! ঘাটের ঠিকাদারটি তামাক সাজিতে সাজিতে অহীন্দ্র ও অমলের কথার উপরই কান পাতিয়া শুনিতেছিল ; সে আর থাকিতে পারিল না, বলিয়া উঠিল—তা আজ্ঞে ওরা ঠিক কথাই বলে বাবুমশায়। আমাদের চকবত্তী বাবুদের বাড়ীর মত রং এ চাকলায় নাই, তার ওপর আপনকার রং—ঠিক আগুনের পারাই বটে। অমল ফিস ফিস করিয়া বলিল—মাই গড় ! লোকটা জামাদের কথা সব শুনছে না কি ? शनिग्रा अशैठ दणिज-अनछब नञ्च । कूब्रि क८ब्र পরের কথা শোনা মাছুষের একটা স্বাভাবিক প্রবৃত্তি । ঠিকাদারটি এবার বাহির হইয়া আসিয়া অহীন্দ্র ও অমলের সম্মুখে সবিনয় ভঙ্গিতে উপু হইয়া বসিয়া বলিল— বাৰুমশায়। অহীন্দ্র বলিল—বল । —আজ্ঞে। আজ্ঞে বলিয়াই সে এক বার সঙ্কোচ ভরে মাথা চুলকাইয়া লইল, তারপর আবার বলিল—আজে, বাদলের দিন, আমার কাছে সিগরেট তো নাই, তামুকও খুব কড়া, তা বিড়ি ইচ্ছে করুন কেনে! অমল খিল খিল করিয়া হাসিয়া উঠিল, অহীন্দ্রও ঈষৎ হাসিল, হাসিয়া সে বলিল-না, আমরা বিড়ি সিগারেট তামাক—এসব খাইনে, ওসব কিছু দরকার নেই আমাদের । লোকটি অপ্রস্তুত হইয়া অপ্রতিভের হাসি হাসিয়া বলিল—আমি বলি— কিছুক্ষণ অপ্রতিভের হাসি হাসিয়া সে আবার বলিল-আজ্ঞে আর একটি কথা নিবেদন করছিলাম । অমল হাসিয়া ইংরাজীতে বলিল—হোয়াট নেক্স্ট ? এ গ্লাস অফ ওয়াইন ? লোকটি কিছু বুঝিতে না পারিয়া সবিস্ময়ে প্রশ্ন করিল— আঞ্জে ? গম্ভীর ভাবে অহীন্দ্র বলিল—কিছু না । ও উনি আমাৰে বলছেন। তুমি কি বলছ বল। হাত দুইটি জোড় করিয়া এবার লোকটি বলিল— আঙ্গে ঐ চরের ওপর থানিক জমির জন্যে বলছিলাম। একটি মৃদু হাসি অঙ্গন্দ্রের মুখে ফুটিয়া উঠিল, বলিল— জমি ? —আঞ্জে হ্যা। বেশী আমার দরকার নাই, এই বিবে দশ-পনেরো । —এ কথার জবাব তো আমি দিতে পারব না বাপু । আমার মুরুকিবরা রয়েছেন, তারা যা করবেন তাই হবে। —আজ্ঞে আমার বিঘে পাচেক হ’লেও হবে—লোকটি কাকুতি করিয়া এবার বলিয়া উঠিল-আমি একটি দোকান ওপারে করব মনে করেছি।