পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাখ e সিনেমা-টিনেমা কিছুই দেখা হয় নি । এবার তো কলকাতা থেকে নিৰ্ব্বাসন হবে, তার আগে একটু ফুৰ্ত্তি ক’রে নেওয়া যাক । তুমি আসতে পারবে কি ? এলে বেশ হ’ত । না যদি আসতে পার অন্তত গোটা-কুড়ি টাকা আমাকে পাঠিও, মা বাবার কাছে টাকা চাইতে লজ্জ করে । এত দিন ত ওঁরাই সয খরচ দিয়েছেন, বিয়ে হবার পরও কত টাকা দিয়েছেন, আর কিন্তু নেব না। টাকা তুমি নিশ্চয় পাঠিও । আমার মাকে চিঠি লেখ না কেন তুমি ? আমার চিঠি পাওয়া মাত্র তাকে ভাল ক'রে একখান চিঠি দেবে, নইলে তোমার চিঠি আমি চাই না । মা আবশ্ব মুখে কিছু বলেন না, কিন্তু মনে মনে দুঃখিত হন তা বুঝতে পারি। আমাকে খালি খালি চিঠি দাও অথচ আর কাউকে দাও না, এমন লজ্জা করে আমার, মাকে নিশ্চয় চিঠি দিও। তোমার প্র্যাকটিস ওখানে একটু একটু বাড়ছে শুনে সুখী হলাম ! কত টাকা জমালে ? অামার কিন্তু একটা জিনিসের শখ আছে, তাবিজ এক জোড়, সেট। বুড়ে হবার আগেই চাই । দেবে তো ? তোমাব বন্ধু অমরবাবুর স্ত্রী বিনোদিনীকে চিনি আমি । লয়েটোর মেয়ে, খুব সুন্দরী । ম্যারেজ”—মেয়েদের মধ্যে ওদের হ-জনকে নিয়ে অনেক গল্প প্রচলিত আছে। রাগ করে না, কিন্তু তোমাব বন্ধুটি লোক মোটেই ভাল মন । বেশী মিশে না তুমি ওঁর সঙ্গে । বিনোদিনী এসেছিল নাকি এক দিন ? ঢের ভাল । তোমার বাসায় বেশ চমৎকার দেথতে, নয় ? অামার চেয়ে কি কি গল্প কবলে তার সঙ্গে লিখে । মেয়েটি লেখাপড়াতেও খুব ভাল । অনাস নিয়ে বি. এ. পাস করেছে । অনেক যাজে কথা লিখে কাগজ ভরালাম । এইবার উঠি, সন্ধ্যের শো'তে ‘ওয়ে অব অল ফ্লেশ দেখতে যাব । শুনেছি খুব ভাল হয়েছে নাকি বইখানা ! পপি আমার টেবিলের নীচে বসে পায়ের তলায় সুড়সুড়ি দিচ্ছে । পপিকে মনে আছে ত ? আমার সেই ছোট্ট লোম-ওল৷ কুকুরটা এমন সুন্দর হয়েছে দেখতে আজকাল । আমি কিন্তু পপিকে নিয়ে যাব, ওকে ছেড়ে থাকতে পারব ۔ ہ ء f iۃ পরেশ-দা বলিলেন—চ জুড়িয়ে যাচ্ছে যে ভায়া । 8 صد هجه নিৰ্কোক । ওদের তো "লভ, 86? বিমল চিঠিটা মুড়িয়া পকেটে রাখিল এবং গভীরভাবে চায়ের পেয়ালাটা তুলিয়া একটা চুমুক দিল । পরেশ-দা বলিলেন—কি হে অত গম্ভীর হয়ে গেলে কেন, দুঃসংবাদ নাকি কিছু ? -न1 ।। একটু হাসিবার চেষ্টা করিয়া বিমল চা পান করিতে লাগিল। যোগেন বসিয়া চিঠি ‘সর্ট করিতেছিল, সে বিমলের হাতে আর একখানি চিঠি দিল । এখানি একটি পোস্টকার্ড । পিতৃবন্ধু নিবারণবাবু লিখিয়াছেন, “তোমার পৈত্রিক জমির খাজনা প্রায় চল্লিশ টাকা বাকী পড়িয়াছে । টাকাটা পাঠাইয়া দিয়া খাজনাট শোধ করিয়া দিও। ভাল ভাল জমি, বাকী খাজনার দায়ে যেন নিলাম না হইয়া যায়।” মণিমালার জন্য অবিলম্বে কুড়ি টাকার এবং অনতিবিলম্বে বাজুর বন্দোবস্ত করিতে হইবে, জমির খাজনার জন্যও চল্লিশ টাকার ব্যবস্থা করিতে হইবে । দুইটি চিঠিরই মৰ্ম্ম—টীক চাই । বিমল উঠিয়া পড়িল । পরেশ-দা বলিলেন—এর মধ্যেই উঠছ যে ? —বাঃ, হাসপাতাল যেতে হবে না, সাতটা তো বাজে । —হাসপাতালে ওষুধের কিছু হ’ল ? —এই যে । বিমল পাচ শত টাকার চেকটা পরেশ-দা’কে দেখাইল । সমস্ত শুনিয়া উল্লসিত পরেশ-দা বলিলেন -বলেছিলাম তো তোমাকে আগেই, বদিবাবু ইচ্ছে করলে সব করতে পারেন। থিয়েটার আর করছ না তাহ’লে ? বিমল একটু হাসিয়া বলিল—করছি। বদিবাবুকে বলেছি সব } —তার মানে ? —পরে বলব, আপনি কাজ করুন । —না, না ব’লে যাও ভাই—পরেশ-দা চেয়ার ছাড়িয়া দাড়াইলেন। অগত্যা বিমলকে সংক্ষেপে সব কথা বলিতে হইল । সমস্ত শুনিয়া পরেশ-দা বলিলেন—মনী কিন্তু চটবে । — দেখা যাক । বিমল হাসপাতালে পৌঁছিয়া দেখিল একমুখ হাসি লইয়া সেই বুড়ী বসিয়া আছে। ইনজেকশন লইয়। তাহার