পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8&8 আর উপরে ঐ টিউবগুলো। আচ্ছা, কোকেন কতটা আছে দেখি— কোকেন দেখা ও ওজন করা হইল—ঠিকই আছে। সিভিল সার্জন গুপিবাবুকে একটা ধমক দিলেন— তোমার নিক্তি এত ময়লা কেন, আজই পরিষ্কার করবে। --ধে আজ্ঞে । সিভিল সার্জন বাহির হইয়া আসিয়া বিমলকে প্রশ্ন করিলেন—আপনার ইনডোরে কি একটা ফিমেল কেস সম্প্রতি মারা গেছে ? —হঁ্যা, নিমোনিয়া হয়েছিল । —হার্টট ফেল করল শেষকালে বুঝি ? —হঁ্যা, ভয়ও পেয়েছিল হঠাৎ ৷ বিমল ভিখারীর ঘটনাট আহপূৰ্ব্বিক বলিল । সিভিল সার্জন জগদীশবাবুর দিকে চাহিয়া বলিলেন— তাহলে বেনামী চিঠিতে যা লিখেছে তা একেবারে মিছে প্রবাসী ১৩৪৬ দেবেন না, আর হাসপাতালে নাস যখন নেই, তখন রুগীর শুশ্রুষা করবার মত আত্মীয়স্বজন না থাকলে ভৰ্ত্তিও করযেন না। অনর্থক বদনাম হয়। আপনার নামে এক বেনামী চিঠি গিয়ে,হাজির এক দিন আমার কাছে, আচ্ছা আপনার ভিজিটাস বুকটা বার করুন। বিমলের কথায়-বাৰ্ত্তায় কাৰ্য্যে সিভিল সার্জন সন্তুষ্ট হইয়াছিলেন—বেনামী চিঠি সত্ত্বেও বিমলের প্রশংসাসূচক মন্তব্যই করিলেন । তাহার পর হাত-ঘড়িটা আর এক বার দেখিয়া বলিলেন–জগদীশ চল তোমার কেসটা এবার দেখা যাক। জগদীশ কেমন যেন একটু বিমর্ষ হইয়া পড়িয়াছিলেন। বলিলেন–চল । উভয়ে চলিয়া গেলেন। সেদিন রাত্রে গুপিবাবুর বাসায় বসিয়া হরেন বোস সাগ্রহে সিভিল সার্জনের আগমন-বৃত্তান্ত শুনিলেন, কিন্তু খুব খুশী হইলেন না। বেনামী চিঠি লিখিয়া লোকটাকে কথা নয়। ওরকম ভিকিরি-টিকিরিকে আর আশ্রয় জব করা গেল না তো! ক্রমশঃ কুহেলি-নীলায় ঐধীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় কুহেলি-নীলায় মনে পড়ে দূর চোখে জাগে কোন কল্পলোকের তুষার-দেশের কাহিনী, কুহেলিকাময়ী জ্যোছনা, ভেসে আসে কোন স্বদূর জীবন বাহিয়া স্মিরিতি-বাহিনী । ধূপছায়া-মাখা ভাঙা জোছনায় অফুট আলোর স্বপন-মায়ায় ছায়াছবিসম ভেসে ওঠে ছবি, ভেসে আসে বন-রাগিণী । কোন মায়াবিনী ধূপছায়া রঙে করিছে স্বপন-রচনা ? কে ছড়ায় আজি স্মিরিতির ফুল, ছায়া-হযমায় স্বপনের ভুল ? শীতের সন্ধ্যা নীলকেশে তার, স্বপন-মুগ্ধলোচনা।