পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

gt". aधंथांजौ Aegv পদকর্তী কাস্থ্যাস ও গোবর্ধন দাস মেদিনীপুরেরই भाश्ष । ... . . . . . . স্নেহ ও আশ্রয় দিয়া মেদিনীপুর আবার বহু মহাপুরুষকে আপন করিয়া লইয়াছে। কার রামেশ্বর চক্রবর্তীকে আশ্রয় দিয়াছিলেন কর্ণগড়ের রাজা যশোবন্ত সিংহ। শীতলার পালা-রচয়িত নিত্যানন্দ চক্রবর্তী ছিলেন কাশীজোড়ার রাজেন্দ্রনারায়ণের আশ্রিত। মহাভারত-রচয়িতা কাশীরাম দাস ছিলেন আওসগড়ের রাজার আশ্রয়ে। দামুন্তার কবি মুকুন্দরাম আশ্রয় পাইলেন ঘাটালের অন্তর্গত আরডার রাজার আছে । ভক্ত কবি বাসুদেব ঘোষ শেষ জীবন তমলুকেই অতিবাহিত করেন । ধৰ্ম্মমঙ্গলের কবি ঘনরাম বৰ্দ্ধমানের লোক। র্তাহার উপরেও মেদিনীপুরের দাবি আছে। দামোদর পণ্ডিতের শিষ্য কামুরাম শ্রামানন্দ-সম্প্রদায়ী, কাজেই মেদিনীপুরের সঙ্গে যুক্ত । বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম প্রচারে শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্রভূ, শ্ৰীমদ অদ্বৈত ও ও ভ্রমন নিত্যানন্দের সঙ্গে একত্রে কাজ করিয়াছেন। পরে ঐইনিবাস শ্রীনরোত্তম ও ঐশু্যামানন্দ এই তিন মহাত্মা আসিয়া এই কাজে যোগ দিলেন । শু্যামানন্দের স্বান হইল মেদিনীপুর জেলায় ঝাড়গ্রাম মহকুমার অন্তর্গত গোপীবল্লভপুর গ্রামে, থানাও গোপীবল্লভপুর। স্ববর্ণরেখা নদীর তীরে গোপীবল্লভপুরস্থ গোবিন্দজীর মন্দির ও বিগ্রহ পরম স্বন্দর । অনেকে বলেন প্রবৃন্দাবনের গোবিন্দজীর বিগ্ৰহ হইতেও এই বিগ্ৰহ দেখিতে মনোহর। গোপীবল্লভপুরকে সাধারণ লোক গুপ্তবৃন্দাবন বলিয়াই জানে । শু্যামানন্দ ছিলেন জাতিতে করণ । জাতি হিসাবে করণ বলিয়া খামানন্দ পূজ্য নহেন, পূজ্য তিনি আপন গুণে । মসুর মতে ব্রতভ্রষ্ট ক্ষত্রিয় হইতে ঝল্প, মঙ্গ, লিচ্ছবি, নট, করণ, খস ও দ্রবিড় জাতির উদ্ভব । টীকাকার কুল্লুক ভট্টও তাহাই বলেন । ব্রহ্মবৈবৰ্ত্ত পুরাণ মতে বৈশ্বের ঔরসে শূদ্রকন্যার গর্তে করণের জন্ম ( ব্রহ্মখণ্ড, ১০, ১৮) । কোষকার মেদিনীর মতেও ভাই। কায়স্থের মত ইহাদেরও লিখনৰ্বত্তি বলিয়া মেদিনীকোষ কায়স্থ অর্থেও করণ শব্দ ধরিয়াছেন। অথচ, বৈঞ্চব ধর্মের প্রভাবে ও মহাপ্রভুর প্রতাপে ৰন্থ কায়স্থ ও ব্রাহ্মণ ইহঁাদের শিষ্য। এই জেলাতে ম্বে লব ব্রাহ্মণ বৈষ্ণবধর্মাবলম্বী, তাহাদের প্রায় সকলেরই গুরু এই করণ-বংশীয় গুণমানন্দের সস্তান । জাতিতে করণ হইলেও গুরুর প্রাপ্য সকল সন্মান তাহারা ব্ৰাহ্মণকায়স্থাদি শিষ্য হইতে পান। গুরুর পাদবন্দন প্রসাদগ্রহণ না করিলে শিষ্য আর করিল কি ? এই সবই কিন্তু ঘটিয়াছে বৈষ্ণব ধর্মের প্রভাবে ও ঐইমহাপ্রভুর প্রতাপে । এই হামানন্দের নাম হিন্দুস্থান, রাজপুতান, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, কর্ণাট প্রভৃতি দেশেও খ্যাত । র্তাহারা খামানন্দকে জানেন “বঙ্গোংকল” বলিয়া । মেদিনীপুরটি বঙ্গ ও উৎকলের যোগসেতু বলিয়া “বঙ্গোংকল” কথাটি চমৎকার । “বঙ্গোৎকল শু্যামানন্দ ভগতি ভাব পরবীণ ।” ভক্ত রসিকমুরারি হইলেন এষ্ট খামানন্দেরই শিষ্য। খামানন্দ ও রসিকমুরারির রচনাতে মেদিনীপুরেরই পুণ্য কীৰ্ত্তি। এই কারণেই গোপীজনবল্পভের রসিকমঙ্গলে মেদিনীপুরের দাবি রহিয়াছে। রসিকানন্দ ছিলেন রাজা অচ্যুতানন্দের পুত্র। ময়ূরভঞ্জের রাজবংশও এই হামানন্দ-সম্প্রদায়ের কাছেই এখনও দীক্ষা গ্রহণ করেন । এখন এই বংশে নন্দনন্দনদেব গোস্বামী মহাপণ্ডিত ও সাধক গুরু বলিয়া সৰ্ব্বত্র সমাদৃত। তাহার পিতৃব্য এক জন অতিশয় প্রবীণ পণ্ডিত ছিলেন। “বাৰু” গোস্বামী নামেই তিনি ছিলেন সর্বত্র পরিচিত। বড় বড় মহাপণ্ডিত ও বৈষ্ণব তাহার সঙ্গ ও প্রসাদ লাভ করিয়া নিজেকে ধন্য মনে করিতেন । খামানন্দের প্রধান শিষ্য রসিকমুরারি। রসিকমুরারির বংশ এখন প্রায় লুপ্ত হইয়া আসিয়াছে। এখন শুনিয়াছি র্তাহার বংশে দীক্ষাগুরুর কাজ করিতে পারেন এমন পুরুধ কেহ নাই । একটি বিধবাতে আসিয়া এই বংশের শেয চিহ্ন দাড়াইয়াছে। এই বংশের বহু শিষ্য। র্তাহারা এখন গুরুবংশ লুপ্ত হওয়ার উপক্রম হওয়ায় খামানন্দের শাখার