পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিচিত্রবর্ণ নিশাচর প্রজাপতি, “সেক্রোপিয়া মথ” নিশাচর প্রজাপতি শ্ৰীগোপালচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য শশুসুলভ থেয়ালের বশে কিছু দিন মাটির খুরি চাপা দয়া রাখিবার পর একটা শুয়োপোক ফড়িং হইয়৷ গয়াছে, সমবয়সীর এই অদ্ভূত অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়া বিস্ময় বোধ কৰিলেও ঘটনাট সম্পূর্ণ বিশ্বাস করিতে পারি নাই। অলক্ষ্যে দৈবাং একট। ফড়িং ঢাকনার নীচে গপা পড়া আশ্চয্য ময় এবং কোন গতিকে হয়ত শুয়োপাকাটা বাহির হইয়া গিয়াছিল। কোন ঘটনা বোধগম্য না হইলে এরূপ সিদ্ধান্ত করা স্বাভাবিক। তথাপি প্রত্যক্ষদশীর দৃঢ় উক্তিও একেবারে উপেক্ষা করা চলে না। কিন্তু কেমন করিয়া এরূপ একটা ঘটনা স্তব হইতে পারে ? কারণ ফড়িঙের সহিত শুয়োপাকার কোন সাদৃপ্ত বা সম্বন্ধ খুজিয়া পাওয়া যায় না। পরীক্ষার সাহায্যে সত্য মিথ্য নিরূপণ করা ব্যতীত এ সম্বন্ধে কৌতুহল নিবৃত্তির অন্য কোন উপায় ছিল না, অথচ শুয়োপোকা সম্বন্ধে একটা ভয়মিশ্রিত ঘৃণা এই 够8=准 সাধারণ পরীক্ষা সম্পাদন করিবার পক্ষে যথেষ্ট অস্তুরায় হইয়া উঠিয়াছিল। এক বার গাছে চড়িতে গিয়া হাতের নীচে কি যেন নরম নরম বোধ হইল। চাহিয়া দেখি— ভীষণ দুখ। প্রায় চার-পাচ ইঞ্চি লম্বা অসংখ্য শুয়োপোকা গায়ে গায়ে ঠেসাঠেসি করিয়া গাছের গুড়ির খানিকট অংশ ঘিরিয়া রহিয়াছে। গায়ের রং ঠিক গাছের বাকলের রঙের মত ; চট্‌ করিয়া কিছুই বুঝিবার উপায় নাই । হাত লাগিবামাত্রই সাপের মত ফণা তুলিয়া যেন এক প্রকার অফুট শব্ব করিতে লাগিল। এই বিষাক্ত প্রাণীগুলি পূর্ববঙ্গে ছেঙ্গা-বিছা নামে পরিচিত । ইহাদের শুয়োগুলি হাতে বিধিয়া কয়েক দিন অসহ যন্ত্রণা ভোগ করিতে হইয়াছিল। এই ঘটনা হইতেই শুয়োপোকা সম্বন্ধে একটা বিজাতীয় ঘৃণা ও ভয় যেন বদ্ধমূল হইয়া গিয়াছিল। কাজেই সন্দেহভঞ্জনার্থ পরীক্ষা করাও হইয়া উঠে নাই। অবশেষে দৈবাৎ