পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(లిసి \egఆ “প্রমেথিয়া” রেশম-উৎপাদক নিশাচর প্রজাপতি সময় পর্য্যবেক্ষণ করিতে পারিলেই তাহাদের আকৃতিপরিবর্তনের কৌশল দৃষ্টিগোচর হইতে পারে। কাচের নলে শুয়োপোকা পুরিয়া যখন তখন লক্ষ্য করিয়া দেখিয়াছি —হয় ভয়োপোকাই রহিয়া গিয়াছে, নয়ত কোন ফঁাকে যে দৃষ্টি এড়াইয়া পুত্তল হইয়া বসিয়া আছে তাহ বুঝিতে পারি নাই। কোন কোন জাতের শুয়োপোকা রাত্রির শেষ ভাগেই সাধারণতঃ পুত্তলীর আকার ধারণ করিয়া থাকে। অনেক চেষ্টার পর এক দিন শেষ রাত্রিতে লক্ষ্য করিলাম-নিশ্চল শুয়োপোকাটা যেন একটু একটু নড়িয়া উঠিতেছে। ক্রমশঃ নড়াচড়া বৃদ্ধি পাইতে লাগিল । প্রায় দুই-তিন মিনিট পরে শুয়োপোকার ঘাড়ের কাছের খানিকটা অংশ চিড় খাইয়া ফাটিয়া গেল । সেই ফাট স্থানের ভিতর হইতে ঈষৎ লাল আভাযুক্ত একটা সাদা পিণ্ডাকার পদার্থ ক্রমশ: ঠেলিয়া বাহির হইতেছিল। আরও তিন-চার মিনিট অতিক্রাস্ত হইতেই নারিকেলী কুলের আঁটির মত স্বচালো মুখবিশিষ্ট একটা অদ্ভূত প্রাণী মোচড় খাষ্টতে থাইতে ঠেলিয়া বাহির হইয় আসিল । শুয়োপোকার সেই বিশ্ৰী ছালট এক পাশে পড়িয়া রহিল। খোলসটা পরিত্যাগ করিবার পূর্বেই সে দেহের প্রান্তদেশ হইতে একটু সুতায় আটকাইয়া বুলিয়া থাকে। দেখিতে দেখিতে এই পুত্তলী পরিবর্তিত হইয়া একটি

  • ফিলোসামিয়া সিস্থিয়|” রেশম-উৎপাদক নিশাচর প্রজাপতি

স্বনিদিষ্ট আকৃতি ধারণ করে এবং উপরের আবরণে উজ্জল বর্ণ আত্ম প্রকাশ করে । পুস্তলীটি সম্পূর্ণ নিশ্চেষ্টভাবে দুলের মত ঝুলিয়া থাকে। দশ-বার দিন পরে হঠাৎ পুণ্ডলীর পীঠের দিক চিড় খাইয়া ফাটিয়া যায় এবং ধীরে ধীরে সেই খোলস হইতে দুই-তিন মিনিট সময়ের মধ্যে প্রজাপতি বাতির হইয়া আসে । বাহিরে আসিবার সময় প্রজাপতিটি তাহার স্বাভাবিক অবস্থা হইতে আকারে অনেক ছোট থাকে। ডান? গুলিও থাকে অতিশয় ক্ষুদ্র, কিন্তু দেখিতে দেখিতে প্রায় আধ ঘণ্টার মধ্যেই তরতর করিয়া ডানা বাড়িয়া শরীরের আকৃতি বদলাইয় যায়। প্রায় এক ঘণ্টা সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রজাপতি উড়িয়া বেড়াইতে শুরু করে । আমরা অহরহ যে সকল বিচিত্র বর্ণের প্রজাপতি দেখিতে পাই, তাহীদের জন্মবৃত্তান্ত মোটামুটি এইরূপ । কিন্তু পৃথিবীর বিভিন্ন জাতীয় অগণিত প্রজাপতির জন্মঘটনার বৈচিত্র্যও কম নহে। আমরা সাধারণতঃ দিবাচর প্রজাপতিষ্ট দেখিতে পাই, বিচিত্র বর্ণে চিত্রিত হাল্কা ডানাওয়ালা ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির দিবাচর প্রজাপতির সারাদিন ফুলে ফুলে উড়িয়া বেড়ায় এবং সন্ধ্যার অন্ধকার ঘনাষ্টয়া আসিবার বহু পূর্বেই পত্রপল্লবের মধ্যে আশ্রয় গ্রহণ করিয়া ডানা মুড়িয়া বিশ্রাম গ্রহণ করে। কিন্তু নিশাচর প্রজাপতিরা সারাদিন কোন নির্জন অন্ধকার স্থানে ডানা প্রসারিত