পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रांघ পক্ষে”র অর্থাৎ ইংরেজদের ঘাড়ে চাপাইতে চান, সে বিষয়ে সাভারকর অনেক স্পষ্ট কথা বলিয়াছেন। তাহার ७को मृष्टास्त्र आउँन । “সহস্ৰ সহস্ৰ কংগ্রেসী হিন্দু যেন কি একটা নেশার ঘোরে আচ্ছন্ন হইয়া অতি অযৌক্তিক রাজনৈতিক ভ্রান্তু বিশ্বাসের বশবৰ্ত্তী হইয়া পড়িয়াছেন । মহম্মদ বীন কাশীম, গজনীর সুলতান, মহম্মদ ঘোরী, আলাউদ্দীন এবং ঔরঙ্গজীবের দল ষেন এই "তৃতীয় পক্ষ ব্রিটিশের স্বারা প্ররোচিত হইয়াই ভারতবর্ষ আক্রমণ করিয়াfছল এবং দুৰ্দ্দাস্ত মত্ততার দ্বারা হিন্দু ভারতকে বিধ্বস্ত করিয়াছিল । বিগত এক সহস্র বর্ষ ধরিয়া হিন্দু এবং মুসলমানের মধ্যে যে অবিরাম যুদ্ধ চলিয়াছিল সে কথা যেন ঠিক মহে, সে কথা যেন ইতিহাসে প্রক্ষিপ্ত আলি ভ্রাতারা বা fমঃ জিন্না অথবা স্ত্যার সেকেন্দার হায়াং খ" যেন পাঠশালার ছাত্র আর কি ! দুষ্ট ব্রিটিশ ছোকরার তাহাদিগকে চিনির মণ্ডার লোভ দেখাইয় তাহাদের প্রতিবেশীদের বাড়ীতেই ঢ়িল ছুড়িতে উস্কাইয়। দিয়াছে । তাহারা বলেন--"ব্রিটিশরা এদেশে আসার পূৰ্ব্বে হিন্দু মুসলমান দাঙ্গার কথা কখনও শুনা যায় নাই । যায়ই ত নাই ; কেমন করিয়। যাইবে ? তখন ত আর হিন্দু মুসলমানে দাঙ্গা’ হইত না, হইত অবিরাম যুদ্ধ।” মুসলমান রাজত্বকালে হিন্দু মুসলমানে দাঙ্গা হইতই না, ইহা ঐতিহাসিক সত্য নহে । “নেশ্বান’ কাহাকে বলে ? সংস্কৃত ও বাংলা “জাতি” শব্দটি নানা অর্থে ব্যবহৃত হয় । সচরাচর উহ। ইংরেজী রেস্ ( race ), কাস্ট, caste ), নেশ্বান ( nation ) প্রভৃতি শব্যের প্রতিশব রূপে ব্যবহৃত হয় । তাহাতে কথন কথন ভ্ৰাস্ত ধারণার উৎপত্তি হয় । আমাদের মতে সাভারকর মহাশয়ের "নেশুন” সম্বন্ধীয় ধারণা ভ্রান্ত । এ বিষয়ে তাহার উক্তির কিয়দংশের অনুবাদ নীচে উদ্ধত হইল । “নাগপুরে আমার সভাপতির অভিভাষণে আমি সাহস করিয়া সৰ্ব্বপ্রথম বলিয়াছিলাম যে, কংগ্রেসের আদর্শের মূলেই ভুল রহিয়া গিয়াছে । কেনন। কংগ্রেস অজ্ঞতাবশে ধরিয়া লইয়াছেন যে, একভৌমত্ব, এবং একদেশে বসবাস হইলেই একটা জাতি হর । কংগ্রেসের মতে তাই হওরা উচিত । এই ভৌগোলিক জাতীয়তাবাদই ইয়ুরোপ হইতে আমাদের দেশে আমদানী হইতেছিল। এখন সেই ইয়ুরোপই এই ভৌগোলক জাতীয়তাবাদে প্রচও আঘাত পাইয়াছে। বর্তমান যুদ্ধ ঐ ভ্রান্ত ধারণ একেবারে উড়াইয় দিয়াছে এবং আমার কথার যথার্থতা প্রমাণিত হইয়াছে। 'হাদেব মধ্যে ঐক্যের কোন বন্ধন নাই, তাহাদিগকে লইয়া *গোলিক নক্সায় জাতি গঠন করিতে গেলে যাহা হয় "ই হইয়াছে। ঐরুপভাবে গঠিত জাতি নিপীড়িত এবং বিনষ্ট বিবিধ প্রসঙ্গ—“মেখল” কাহাকে বলে 6:30 হইয়াছে—খেলাঘর ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছে। বিভিন্ন স্বভাবাপন্ন লোককে লইয়। ভৌগোলিক জাতীয়তার ফস্কা বালুকার ভিত্তিৰ উপর একটা জাতি গঠনের চেষ্টা যে মৃঢ়তা, তাহার প্রমাণ পোল্যাণ্ড এবং চেকোস্লোভাকিয় । যাহাঁদের ভিতর সংস্কৃতিগত, জাতিগত ও ইতিহাসগত সাম্য নাই, তাহাদের পক্ষে সংঘবদ্ধ হইয়া একটা জাতিতে পরিণত হওয়ার অভিপ্রায়ও সম্ভব নহে। প্রথম ধাক্কাতেই সন্ধিজাত জাতিগুলি ছিন্নভিন্ন হইয়া গিয়াছে।” আমাদের বিবেচনায় নেশুনের যে ‘একভেীম সংজ্ঞা ও ধারণা আছে, তাহাই ঠিক এবং তাহাই সমগ্র মানবজাতির বাঞ্ছনীয় ভবিষ্কং ঐক্যের অমুকুল । কংগ্রেস যে ভারতবর্ষের নানা ধৰ্ম সম্প্রদায় ও রেস্ (race) লইয়া নেশুনে (মহাজাতি) গড়িতে চাহিয়াছেন, সেই আদর্শ ও প্রয়াস আমরা ঠিক মনে করি। কিন্তু কংগ্রেস যে মুসলমানদিগকে দুর্বলতাপ্রস্থত ও অন্যায় প্রশ্রয় দ্বারা তাহা করিতে চাহিয়াছেন, তাহা ভ্রান্ত মনে করি । সাভারকর পোল্যাণ্ড ও চেকোস্লোভাকিয়া রাষ্ট্রের দৃষ্টান্ত দ্বারা নিজের মত সমর্থন করিবার প্রয়াস পাইয়াছেন। কিন্তু পোল্যাণ্ড রাষ্ট্র ও চেকোস্লোভাকিয়া রাষ্ট্র গত মহাযুদ্ধে জয়ী মিত্ৰশক্তিরা কৃত্রিমভাবে জবরদস্তী দ্বারা গড়িয়াছিল, সেই জন্য উহার ভাঙ্গন সহজ হইয়াছে । ভারতবর্ষ ওরূপ কৃত্রিমভাবে গড় রাষ্ট্র বা দেশ মহে । চেকোস্লোভাকিয়া ও পোল্যাণ্ডে ভিন্ন ভিন্ন দেশের ও রেসের ( race ) লোক ছিল । ভারতবর্ষ এক দেশ। এখানকার হিন্দু ও মুসলমানের মূলত: ভিন্ন ভিন্ন রেসের ( race-এর ) লোক নতে । শতকরা নব্বইয়ের উপর মুসলমান ধমন্তিরিত হিন্দুয় বংশধর । এমন কি পঞ্চাব, উত্তর-পশ্চিম সীমাস্ত প্রদেশ ও সিন্ধুদেশেরও অধিকাংশ মুসলমান ধমস্তিরিত হিন্দুবংশজাত । ভারতবর্ষের সর্ষত্র হিন্দু যে যে ভাষায় কথা বলে, মুসলমানও সেই সেই ভাষায় কথা বলে। যে-সব অঞ্চলে উদুর চলন আছে, সেখানকার হিন্দুরাও তাহা ব্যবহার করিতে পারে ও করে । নাগরী ও ফাসী অক্ষর আলাদা বটে, কিন্তু বিস্তর শিক্ষিত হিন্দুও ফাসী অক্ষর ব্যবহার করে । যদি মান্দ্রাজের তামিল অক্ষর ব্যবহৃত। হিন্দু এবং বঙ্গের বাংলা অক্ষর ব্যবহত হিন্দু এক নেশ্বানের লোক হয়, তাহা হইলে ফাসী হরফ ব্যবহৃত। এবং নাগরী অক্ষর ব্যবহতাও এক নেশুনে হইতে পারে। ভারতবর্ষের যে সকল ভাষার সাহিত্য আছে, তাহাদের সাহিত্যগুলির প্রধান লেখকদের মধ্যে হিন্দু ও মুসলমান উভয়ই আছে ; তাঙ্গার পাঠকদের মধ্যেও উভয়ই আছে। হিন্দুর ও মুসলমানের সংস্কৃতি সংগীতে ও চিত্রাঙ্কণ-বিষ্ঠায় এক। সাধারণ হিন্দু ও মুসলমান লোকদের ধর্মবিশ্বাস ও ধমানুষ্ঠানে অনেক বিষয়ে ঐক্য আছে। মধ্যযুগের