পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ z#pgt zi trainer ! M. D., M.O., M.S. z'tw5 c5Ran স্বয়ভু হওয়া ছাড়া উপায় নেই! আমাদের মনে হয়, চিকিৎসা বিষয়ে উচ্চতম শিক্ষার এবং গবেষণার যথেষ্ট ব্যবস্থার অভাবের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় দায়ী, তাহার মেডিক্যাল ফ্যাকন্টি দায়ী, নেতৃস্থানীয় চিকিৎসকেরা দায়ী, দেশের ধনী ব্যক্তিরা ও শিক্ষণনেতার দায়ী এবং সর্বোপরি দায়ী গবন্মেণট । বিশ্ববিদ্যালয় যদি বলেন টাকা নাই, তাঙ্গ ঠিক বলা হইবে না। পরীক্ষার ফী, পুস্তকবিক্রী, সরকারী সাহায্য প্রভৃতি হইতে বিশ্ববিদ্যালয় বহু লক্ষ টাকা পান। সবটাই চিকিৎসা ব্যতীত অন্তান্ত বিজ্ঞানের ও আর্টসের শিক্ষায় খরচ না করিয়া চিকিৎসার উচ্চতম শিক্ষা ও গবেষণায় একটা অংশ খরচ করা উচিত। গবন্মেণ্টের এবং উপরিলিপি * অন্ত সকল পশের এ বিষয়ে মনোযোগ দিতে হুইবে । দিল্লীর শেষ মোগল বাদশাহ ও রামমোহন রায় রাজ রামমোহন রায় সম্বন্ধে এখনও এদেশে ও বিদেশে বিস্তর অনুসন্ধান করিবার বিষয় আছে। গত বৎসর শ্ৰীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দ ও যুক্ত যতীন্দ্রকুমার মজুমদার অনেক সরকারী দপ্তরখানায় অন্বেষণ করিয়া তাহার সম্বন্ধে বিস্তর দলিল প্রকাশ করেন । তাহাতে রামমোহনের সম্বন্ধে অনেক মিথ্যা কথা খণ্ডিত হয় এবং সত্য প্রকাশিত হয় । ঐ পুস্তকটির শ্ৰীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দর লিখিত ভূমিকাও রামমোহনকে ঠিক্‌ বুঝিবার একটি উপায় । এ বৎসর যুক্ত যতীন্দ্রকুমার মজুমদার, রাজা রামমোহন রায় যে মোগল বাদশাহের দৌত্যকাযে বিলাত গিয়াছিলেন, তৎসংপৃক্ত মোটামুটি দুই শত দলিল দিল্লীর সরকারী দপ্তরখানা হইতে নকল করিয়া প্রকাশ করিয়াছেন । এই বৃহৎ পুস্তকটি ঐতিহাসিকের দৃষ্টিতে মূল্যবান । রামমোহন যে মোগলদের জন্য কি করিয়াছিলেন তাহা ইহা হইতে জানা যায়, অধিকন্তু শেষ মোগলদের ইতিহাসে ইহা নূতন আলোকপাত করে। একাধিক ভারতীয় ও বিদেশী ঐতিহাসিক শেষ মোগলদের বিষয় লিখিয়াছেন । র্তাহারা এই দলিলগুলি সব দেখিয়াছিলেন কিনা জানি না। কিন্তু অতঃপর যদি কেহ শেষ মোগলদের বিষয় লেখেন বা কোন অগ্রসর ঐতিহাসিক বিদ্যার্থী র্তাহীদের সম্বন্ধে অধ্যয়ন ও গবেষণা করেন, তাহা হইলে তাহাদিগকে এই গ্রন্থখানি দেখিতে হইবে । এই গ্রন্থের পৃষ্ঠার আয়তন ‘প্রবাসীর পৃষ্ঠার সমান। t) نام حم- s ۹ বিবিধ প্রসঙ্গ—শ্ৰীযুক্ত নলিনীরঞ্জন সরকারের মন্ত্রিত্ব ত্যাগ ●8ፃ বহু ঐতিহাসিক তথ্যপূর্ণ ইহার ভূমিকা ৬৬ পৃষ্ঠাব্যাপী । ংকলনকর্তা তাহার লেখক। ইহার একটি পরিশিষ্টের দলিল হইতে প্রমাণিত হয় যে, রাজারাম শেখ বকুম নহেন । নোয়াখালির অবস্থা নোয়াখালির হিন্দুদের নানা অভিযোগের কথা খবরের কাগজে প্রকাশ পাইয়াছে। তৎসমুদয়ের যথাযোগ্য অসুসন্ধান এবং, প্রমাণিত হইলে, প্রতিকারের চেষ্টা অপেক্ষ ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও প্রধান মন্ত্রী সেগুল উড়াইয়া দিতে চাহিতেছেন মনে হইতেছে । নোয়াখালি মহকুমার মুসলমান হাকিমের বদলীর হুকুম সরকারী গেজেটে বাহির হয় । তাহার পর আইনসভার একাধিক মুসলমান সদস্যের তদ্বিরে বদলী স্থগিত আছে ! হাকিমটির জায়গায় কাজ করিবার যোগ্য অন্য হাকিম নাকি পাওয়া যাইতেছে না—তিনি এত বেশী লায়েক ! অথচ তাতার উপর ওআলা তাহার যোগ্যতার বিরুদ্ধে কিছু লিখিয়াছিলেন কি না আইন-সভায় জিজ্ঞাসা করায় উত্তর দে গুয়া হইয়াছে, এ রকম সব চিঠি গোপনীয় (confidential) । এর মানে যা, তাই ! বঙ্গের মন্ত্রীদের কীৰ্ত্তি অতুলনীয় হইয়াছে কি না, তাহা ভাবিবার বিষয় হইয়াছে। শ্ৰীযুক্ত নলিনীরঞ্জন সরকারের মন্ত্রিত্ব ত্যাগ বাংলা-গবন্মেণ্টের ভূতপূৰ্ব্ব রাজস্ব-মন্ত্রী ঐযুক্ত নলিনীরঞ্জন সরকার মস্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়াছেন । র্তাহার সঙ্গে অনেক বার প্রধান মন্ত্রীর ও অন্য কোন কোন মন্ত্রীর মতভেদ হইয়াছে। যাহা দেশের পক্ষে কল্যাণকর ও গণতান্ত্রিক, তিনি বরাবর তাহ করাইতে চাহিয়াছেন ; নিজের মত সম্পূর্ণ বজায় রাখিতে না-পারায় রফাও কখন কখন করিয়াছেন । এবার প্রধান মন্ত্রীর যুদ্ধবিষয়ক প্রস্তাবের সর্বাপেক্ষ আপত্তিকর অংশে সায় দিতে নপারায় ইস্তফা দিয়াছেন । ঠিক্‌ করিয়াছেন। এখন তাহার যোগ্যতা-বিশেষতঃ ব্যবসাবাণিজ্যবিষয়ক অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা—পূর দেশের কাজে লাগিতে পারিবে । তিনি মন্ত্রী হইয়া দেশের সেবা করিতে পারিবেন ভাবিয়াছিলেন। এখন তাহার ভুল বুঝিতে পারিয়া থাকিবেন।