পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

იტს• প্রবাসী yరి8్స প্রধান অমাত্য সর্দার হাসিম খা দ্বিমত নেই। পঞ্চাশোৰ্দ্ধহাজার সৈন্য যে-কোনো দেশের তুল্য যুদ্ধ দিতে সক্ষম ; সমানসংখ্যক লস্কর মোমন্দ, প্রভৃতি প্রত্যেক উপজাতির মধ্যেই তৈরি আছে। এই সকল বিষয়ে আমার জ্ঞানের এবং ঔংস্থক্যের সীমা সুস্পষ্ট, তবু বুঝতে পারি আফগান জাতি যুরোপীয় স্বাধীন ছোট দেশগুলির নীতি মানছে ; প্রবল জোরে একটি ঘুষি মারবার নীতি। কুড়িটি ছোট দেশের ঘুষির জোর বৃহৎ দেশের ঘুষির সমকক্ষ। আফগানিস্থান এক বা রুমানিয়া বা চিলি পারবে না, কিন্তু পাড়ায় বড় ডাকাত নামূলে তুর্কী-ইরান-আফগান দুর্জয় কিল বসাতে পারবে । অপর পক্ষের নীতি ছোট দেশগুলিকে বিচ্ছিন্ন ক’রে নিয়ে আঘাত দেওয়া—হলাও বেলজিয়মকে পৃথক না করলে জৰ্ম্মনীর ও সাহসে বাধে—মুদ্র রাষ্ট্রগুলিও তাই বুঝে বৰ্ম্ম এটে একজোট হচ্ছে । সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতি খেলাতে হবে বৃহৎ সস্তব-শত্রুদের রাজ্যে। এ বিষয়ে আফগানিস্থান স্বদক্ষ হয়ে উঠছে যেমন সুইটজরলণ্ড । সুইস রাজ্যের মতে; এখানে নানাভাষী লোকসমষ্টিতে পাৰ্ব্বত্য অংশগুলি ভর্তি। এক দেশে প্রায় সবাই খ্ৰীষ্টান, অন্যত্র ইসলামী ; ভাষা এবং জাতির বৈচিত্র্য দুই দেশেই সৈন্তবন্ধনে উপজাতিকে কতটা একত্র করা যায় জানি না শুনতে পাই তাজিক, হাজার, উজবেক, মোমন শিনওয়ারি পূরো আফগানী হয়ে উঠছে ঐ উপায়ে ক্যাণ্টন-বিধিতে জাতি এবং ভাষার স্বাতন্ত্র্য রেখে আফগান-সজ্ঞা অক্ষুণ্ণ থাকতে পারে—সাম্যতান্ত্রিক রা! বিধানে শক্তির হ্রাস হবে এমন কথা নেই। কী ভা দেশ এগোবে জানি না, কিন্তু ঐক্যবদ্ধ হবার দিকে জো দিয়ে হাসিম খা শুভবুদ্ধি দেখিয়েছেন। ঐক্যের মৃত্যু বাড়বে যখন ভাবি এই আফগানিস্থান ভেদ ক’রে যুে যুগে সাসানীয়, তাতার, ব্যাকটিয়, গ্রীক, মোঃ আক্রমণকারীর দল হিন্দুস্থানে নেমেছে। বহু জাf এবং ভাযার বৈচিত্র্য রেখে গেছে তারা এখানকা পাহাড়ে উপত্যকায়-আফগানিস্থান আজ নৃতত্ত্বসন্ধানী স্বৰ্গতুল্য—এখন মানবিক সাধনা চাই বিভিন্নে মেলাবার । সমষ্টিগত রাজনীতি আশু ফলের লোে ধ্বংসের ভূমিকা পত্তন করে ; দয়ার আক্রমণ হ’ে আত্মরক্ষার জন্তে দস্থ্যতান্ত্রিক সভ্যতা গড়ে তোল সমূহ পরাজয় । পৃথিবী জুড়ে ছোটবড় রাষ্ট্র এই নিয়ে ভাবতে হচ্ছে । গ্রহণের যোগে ঠেকাবার বিধি বেড়ে চলেছে : মাহুষের অধিকার কে গিয়ে অস্ত্রের স্ত,পষ্ট আকাশে উঠল । সভ্যতার শ্মশা নরকঙ্কাল কুড়োবার লোকও অবশিষ্ট থাকবে না এজন্যে ক্ষুদ্র দেশের চেয়ে বৃহৎ রাজ্যসাম্রাজ্যের দায়ি অনেক বেশি, কিন্তু বলদৃপ্তের চোপ খোলে দেরিতে। অর্থনৈতিক সংস্কার এবং দেশের উৎকর্ষ-জাগরণে দিকেও হাসিম খার দৃষ্টি কম নয় । জশন-এর নিমন্ত্র আয়োজন উংসব অজস্রত্বের ফাকে ফঁাকে প্রদর্শনীপাড়া চুড়াগুলি তার সাক্ষ্য দিচ্ছে । নিশানের অরণ্য ভে ক’রে নূতন কাবুলী কৰ্ম্মশালা ঝলমল করছে। মোটt চলা অসাধা, অবশেষে পায়ে হেঁটে ভিড়ে ঢুকলাম অনেকখানি পথ । লাহোর বা দিল্লীর জনতার চেে চওড়া এবং দীর্ঘতর পুরুষ, কণ্ঠস্বর পরুষতর, পথে নারী জাতির চিহ্ন আরও কম এইটুকু বিশেষত্ব। সস্তা বিদে পণ্যের মরহুম ; রুশীয় রুমাল, ডগ ডগে রঙীন ; জাপান 2