পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*. কীৰ্ত্তিক কালিলী 鹤 ” في مي § \లిపి পরিষ্কার কর পথের উপরেও ঘাস জন্মিয়াছে, কুশের অস্কুরে কণ্টকিত হইয়া উঠিয়াছে । তীক্ষাগ্র কুশের উপর চলিতে চলিতে বিব্রত হইয়া ংলাল বলিল—এ বেটারাও বাবু হয়ে গিয়েছে নবীন, রাস্তাটা ক’রে রেখেছে দেখ দেখি ! নবীন বলিল—ওদের প৷ আমাদের চেয়ে শক্ত হে ! পল্লীর প্রান্তে সাওতালদের জমির কাছে আসিয়া তাহারা কিন্তু অবাক হইয়া গেল । ইহারই মধ্যে প্রায় সমস্ত জমি সবুজ ফসলে ভরিয়া উঠিয়াছে। চষিয়া খুড়িয়া নিড়ান দিয়া তাঙ্গারা ভূটা, শন, অড়হর বুনিয়া শেষ করিয়া ফেলিয়াছে, জমির ধারে ধারে চারায় চারায় তাহাতে সীম, বরবটী, খেড়ে, কাকুড়ের অঙ্কুর বাহির হইয়া পড়িয়াছে। ধানের জমিগুলি চাম দিয়া সার ছড়াইয়া একেবারে প্রস্তুত করিয়া রাখিয়াছে। বাড়ীঘরের চালে নুতন খড় চাপানো হইয়া গিয়াছে, কাচা সোনার রঙের মত নূতন খড়ের বিছানি অপরাষ্ট্রের রৌদ্রে ঝকমক করিতেছে। ইহাদের প্রতি তীব্র বিদ্বেধ সত্ত্বেও বৃংলাল এবং নবীন মুগ্ধ হইয়া গেল। রং লাল বলিল—ব-বা-বা! বেটার ত্যা ! ঘাস-টাস ঘুচিয়ে বিশ বছরের চর্য জমির মত সব তক তক করছে ! নবীন ক্টেট হইয়া ফসলের অঙ্কুরগুলিকে পরীক্ষা করিয়া দেখ্রিস্টেটল এরষ্ঠ মধ্যে ক’রে ফেলেছে কি হে ! C বলিল—অড়হরের কেমন জাত দেখ একটি বীজও বাদ যায় নেই তে । তার পর একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া বলিল—আর আমাদের জমিতে হয়তে ঢুকতেই পারা যাবে না। দেখলে তো বেন। আর কাশ কি রকম বেড়ে উঠেছে ! দেখি ! আরও খানিকটা আসিয়া অহীন্দ্র যে জমিট খাসে রাখিয়াছে সে অংশটার ভিতর তাহারা আসিয়া পড়িল । তখনও সেখানে কয়জন জোয়ান সাওতাল মাটি কোপাইয়া বেনা ও কাশের শিকড় তুলিয়া ফেলিতেছিল। এ অংশটারও অনেকটা তাহারা সাফ করিয়া ফেলিয়াছে, তবুও নূতন বলিয়া এখানে ওখানে দুই-চারিটা পরিত্যক্ত শিকড় হইতে ঘাস গজাইয়া উঠিয়াছে, এখনও জমির আকারও ধরিয়া উঠে নাই, এখানে ওখানে উচু নীচু অসমতল ভাবও সমান হয় নাই। তবু তাহারই মধ্যে যে } অংশটা অপেক্ষাকৃত পরিষ্কার হইয়াছে তাহারই উপর । ভূটা বুনিয়া ফেলিয়াছে। সে জমিটা অতিক্রম করিয়া আপনাদের জমির কাছে আসিয়া তাহারা থমকিয়া দাড়াইয়৷ গেল। সত্যই বেনা ঘাসে কাশের গুল্মে নানা আগাছায় সে যেন দুর্ভেদ্য হইয়া উঠিয়াছে। বেনা ও কাশ ইহার মধ্যে প্রায় এক কোমর উচু হইয়া বাড়িয়া গিয়াছে। এই জঙ্গলের মধ্যে লাঙল চলিবে কেমন করিয়া ! নবীন বলিল-ঘাস কেটে না ফেললে আর উপাস্ব নেক্ট মোড়ল । রং লাল চিস্তিত মুখে বলিল—তাই দেখছি। নবীন বলিল—এক কাজ করলে হয় না মোড়ল ? সাওতালদিগেই এ বছরের মত ভাগে দিলে হয় না ! এবার ওরা কেটেকুটে সাফ করুক, চ'ষে খুড়ে ঠিক করুক, তার পর আসছে বছর থেকে আমরা নিজের লাগব । যুক্তিটা রংলালের মন্দ লাগিল না । সে বলিল—তাই চল, দেখি বেটাদের ব’লে । সেই পরামর্শ লক্টয়াই তাহারা আসিয়া সাওতালদের পল্লীর মধ্যে প্রবেশ করিল। ঝকঝকে তকতকে পল্লী, পথে বা ঘরে আঙিনায় কোথাও এতটুকু আবর্জন নাই . পল্লীর আশেপাশে তখনও গরী মহিষ ছাগলগুলি চরিয়া বেড়াইতেছে । সারের গাদার উপর মুরগীর দল খুটিয়! খুটিয়া আঙ্গর সংগ্রহে বাস্ত । আঙিনার পাশে পাশে মাচার উপর কাঠসীম, লাউ, কুমড়ার লতা বাসুকির মত সহস্রফণা বিস্তার করিয়া বাড়িয়; উঠিয়াছে যেন । বাড়ীগুলির বাহিরে চারি দিক ঘিরিয়া সরল রেখার মত ছোট একটি বাধ তৈরী করিয়াছে, তাহারই উপর এখানে ওখানে দুইচারিট জাফরি বসানো । ভিতরে আম কাঠাল মহুয়ার গাছ পুতিয়া ফেলিয়াছে, মধ্যে মধ্যে সজিনার ডাল এবং মূল সমেত বাশের কলম লীগাইয়া চারি পাশে কাটা দিয়; ঘিরিয়া দিয়াছে । রং লাল বলিল—বাকী আর কিছু রাখে নাই বেটার", ফল ফুল সজনে বঁাশ একেবারে ইন্দ্ৰভুবন ক’রে ফেলাইছে হে । জাত বটে বাবা ! প্রথমেই সেই পুতুলনাচের ওস্তাদ চুড় মাঝির ঘর ; মাঝি ছুতারের যন্ত্রপাতি লইয়া উঠানে বসিয়া লাঙল