পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झांग्लन নিৰ্ম্মেণক Pፃፃ একটু বিনীত অথচ অর্থপূর্ণ হাসি হাসিয়া বলিল—আজ্ঞে ই সার। —অত টাকা নিয়ে কি ফুক্তিটা করবি শুনি ? অমর হাসিয়া বলিল—অত টাকা আর কই, ও কটা টাকাতে কি-ই বা হবে, মাঝ থেকে আমার পকেট থেকে গচ্ছা লাগবে আর কি ! এক কাজ করলে হয়, সতীশখুড়োকেও দলে টানলে মন্দ হয় না, তারই বাগানবাড়ীতে জোট যেতে পারে। বিমল এ-সবের নিগৃঢ় অর্থ কিছুই বুঝিতেছিল না। সতীশবাবু নামটা কিন্তু তাহার পরিচিত, সতীশবাবুর ভায়ের সে কালাজর চিকিং করিয়াছে, সেই সতীশবাবু না কি ! জিজ্ঞাসা করিতেই অমর বলিল—হঁ্য সেই । —তোর খুড়ে হয় ? —হয় বইকি এক সম্পর্কে, আমার বোন শেফালির খুড়শ্বশুর। জ্যোতিষবাবুর ছেলের সঙ্গে শেফালির বিয়ে হয়েছে কি না! ওরা তিন ভাই—জ্যোতিয, সতীশ, অতীশ । তুই অতীশের চিকিৎসা করেছিলি । একটু থামিয়া অমর পুনরায়ু হাসিয়া বলিল—শেফালির বিয়ে হওয়ার আগে থেকেই কিন্তু সতীশবাবু আমাদের খুড়ে, উনিই ত প্রথমে হাতেখড়ি দেন আমাদের ! এক হিসেবে গুরুদেব ও । শরৎ আয়নার সম্মুখে দাড়াইয়া হাসি গোপন করিতে করিতে মুখের পেণ্ট তুলিতেছিল। অমর গম্ভীরভাবে বলিল—খুব মজলিসি লোক আমাদের সতীশখুড়ে, আলাপ ক’রে দেখিস, খুড়োরই বাগানবাড়ীতে গিয়ে জমায়েৎ হওয়া যাবে এক দিন । এতক্ষণ বিমল লক্ষ্য করে নাই, কিন্তু এইবার অমর প্রকাশু ভাবেই আলমারির পিছন হইতে ব্র্যাণ্ডির বোতলট বাহির করিয়া খানিকট পান করিয়া ফেলিল । বিমলের বিস্ময়ের সীমা রহিল না । — ছি, ছি, অমর এ কি ! অমর একটু থিয়েটারি ভঙ্গী করিয়া বলিল—কিছু নয়, কিছু নয়, কিছু কিছু নয় ! তাহার পর বলিল—তুই এখন বাড়ী যা, তিনটে চারটে নাগাদ আমি টাকা নিয়ে তোর ওখানে যাব। তুই سیستمهای : ভোরবেলা নৌকাযোগে নদী পার হইতে হইতে বিমলের কেবল অমরের কথাই মনে হইতে লাগিল । ছেলেটা সত্য সত্যই একেবারে অধঃপাতে গিয়াছে। অমন একটা দুরারোগ্য ব্যাধি শরীরে, তাহার উপর মদ ধরিয়াছে ! বেচারী বিনোদিনী! সেদিন গভীর রাত্রিতে জ্যোংস্কালোকে বিনোদিনী ও অমর তাতার বাসায় আসিয়াছিল। বিনোদিনীর জ্যোংস্কালোকিত মুখচ্ছবিটি বিমলের বার-বার মনে পড়িতে লাগিল । তাহার মনে হইতে লাগিল, বিনোদিনী কি এখনও অমরকে তেমনই ভালবাসে যাঙ্গার প্রেরণায় এক দিন সে তাহাকে লুকাইয়া বিবাহ করিয়াছিল ? অমরের অধঃপতনের কিছু মাত্র ইঙ্গিত কি তাহার অন্তযামী মন পায় নাই ! সব জিনিষই কি কথায় প্রকাশ করিতে হয়, অকথিত কত জিনিযই ত আমরা এমনিই বুঝিতে পারি। কোথায় যেন সে পড়িয়াছিল ভগবান আমাদের ভাষা দিয়াছিলেন মনোভাব প্রকাশ করিবার জন্ত নয়, গোপন করিবার জন্য। উক্তিটা হয়ত অত্যুক্তি, কিন্তু খানিকট। সভ্য আছে বইকি উহার মধ্যে । অমর কেমন স্বচ্ছন্দে বিনোদিনীকে ভুলাইয়া রাখিয়াছে । সত্যই ভুলাইতে পারিয়াছে কি ? বিমলের কেমন যেন সন্দেহ হয়। পারঘাটে নামিয়া বিনোদিনীর কথাই ভাবিতে ভাবিতে বিমল অনুমনস্ক হইয়া পথ চলিতেছিল এবং অর্থমনস্ক ভাবেই কথন নিজের বাড়ীর কাছাকাছি আসিয়া পড়িয়াছিল খেয়াল ছিল না, হঠাৎ তাহার চমক ভাঙিল যখন তাহার মেজশাল৷ শুভেন্দু তাহাকে সম্বোধন করিল ! —জামাইবাবু, আমরা এসে গেছি! দিদি, জামাই বাবু এসেছেন ! বিস্মিত বিমল বাড়ীর ভিতর ঢুকিয়া দেখিল হাতলভাঙা সেই চেয়ারটার উপর মণিমালা স্মিতমুথে বসিয়া আছে। বিমল ঢুকিতেই মণিমাল উঠিয় দাড়াইল । —তোমাকে আশ্চৰ্য্য ক’রে দেব ব’লে কোন খবর না দিয়েই আমরা এলুম—এসে নিজেরাই বেকুব । মা কিন্তু