পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झोझुत्र আঁধারের ডাক @br》 দুলু প্রাণ দিয়া, গুপিবাৰু প্রাণের দায়ে। ঘরে ঘরে মাছির মত লোক মরিতেছে! যুবক-যুবতী, বালক-বালিকা, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা—অসহায় দীনদরিত্রের দল ! মণিমালা ভয় পাইয়া গেল ! তাহার মনে হইতে লাগিল তাহার স্বামী এ কি করিতেছে! নিজের শরীরের কাও ! একটুও ভাল লাগে না তাহার । বিমলকে বলিলে সে কথা শোনে না। সে দিনরাত পাগলের মত ঘুরিতেছে ! সবাই যে বাচিল তা নয়, অনেক মরিল, অনেক বাচিল । এই কলেরা রোগী লইয়াই বিমলের বদনাম হইয়াছিল, ইহাতেই তাহার আবার স্বনামও হইল। হাসপাতালের দিকে লক্ষ্য রাখা ত উচিত, একাই সকলকে দেখিতে হইবে নূতন ডাক্তার বাবুটির স্বখ্যাতিতে দেশ ছাইয়া তাহারই বা মানে কি। রোজগার হইলেও বা না হয় গেল । কথা ছিল, অনর্থক নিজের জীবন বিপন্ন করিয়া এ সব কি ক্রমশঃ র্তাধারের ডাক শ্ৰীশৌরীন্দ্রনাথ ভট্টাচাৰ্য্য অনন্ত আঁধার মাঝে ফুটেছিছু ক্ষুদ্র প্রাণকণা দাড়াতু আলোর তলে নেচে নেচে টলি’, চলে গেল কোন ক্ষণে সে মধুর রঙীন প্রভাত মধ্যাহ্ন আসিল রৌদ্রে জলি । ক্ষণিকের মাঝে ওরে বৈকালী আকাশ হ’ল লাল এলাইয়া কৃষ্ণকেশ সন্ধাএল দুলায়ে আঁচল, সন্ধ্যারে সরায়ে দিয়া রাত্রি এল, পুনঃ অন্ধকার খড়গ হাতে দুলি দুলি নাচিল পাগল । প্রভাত, মধ্যাহ্ন, সন্ধ্যা—ডুবাইয়া কৃষ্ণদেহ তলে মগ্ন শুধু রাত্রি চরাচর, রাত্রি, রাত্রি, দীর্ঘরাত্রি—দিবা সে পলকে নিষে যায় ক্ষুদ্র আলো কাপে থর থর । রাত্রি পুন: ডুবে যায়, ভোরে এসে স্বষ্টি রসীমায় জাগে এসে উষা-মরীচিকা, সে স্বপন কতটুকু ? আঁধারের গর্জে ওঠে শিখা কৃষ্ণরাতি অঁাকে মসীলিখা । সুখস্বপ্ন বসন্তের রঙীন আলোক—নিবে যায় সব নিবে যায়, জীবন-সমরক্ষেত্রে অন্ধকার হাকাইয়া রথ ডাকে কাল বলি—আয় আয় । যাই যাই ওগে, যাই যাই, হে আলোক, বিদায়, বিদায়, জীবনের কোন ক্ষণে সত্য কিম্বা মিথ্যা জানি নাকে৷ পেতেছিন্তু তোমাতে বিশ্রাম, আজ আঁধারের ডাকে হে আলোক ভেঙেছে স্বপন বিদায়, বিদায়, চলিলাম। অন্ধকারে ওই দূরে প্রাণবহ্নি ঘেরা তমসাতে চিরস্তন আলো ৰুবি গাহে সেথা গান, মাটির আলোর স্বপ্ন, তোর স্মৃতি আজি মিথ্যা হোক ওই, ওই অন্ধকারে ডাকে ভগবান ।