পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6სr8 ঝুটিআ⇒বুড়া আঙুলে পরা হয়। পায় আলতা পরা হইত। চুপুলিজন্য সব জাঙলের গহনা। প্রসাধন—“কুঙ্কুম চন্দন কপূর। লেপন সৰু অঙ্গর” { পূচ, ৮)। গোপীরা স্বানের পূর্বে গায়ে হলুদ মাখিতেন ( গো. ভ ৫ ) । স্নানের সময় মাথায় আমলকী ফল বা আয়েলা ঘষা হইত (সা. ম. মধ্যপর্ব)। স্নানের পর স্বগন্ধ দ্রব্যে দেহ স্ববাসিত করা হইত। বস্ত্র-গোপীরা “মুবীন বসনী" অর্থাৎ সূক্ষ্মবস্ত্রপরিহিতা ছিলেন। র্তার নীলাম্বরী বা নীল ঘন পট (ম. ম. ২৪ ), পীতাম্বরী বা বসন্ত পতনী (র. ক. ১৮ ), ও দুকুল (ম ম: ৯ ) বা গরদের শাড়ী পরিতেন। শাড়ী চোঁদ হাত লম্বা হইত ( প্রে. প.—২, ৯ )। সেকালে কালো কাচল ( গো ভা, ১৩ ) বা লাল র্কাচল ( র. ক. ১৮) দ্বারা বুক ঢাকা হইত। কাচলে রূপার জরী বসান হইত। এই বার গোপী ভাষা ( ত্রয়োদশ অধ্যায় ) হইতে এক গোপীর বেশভূষার বর্ণনা উদ্ধৃত করা হইল । শয়ন করাই প্রাণনাখন্ধু। বেশ হোইলি মোহর মনকু। জড় বান্ধিণ করাকাঠি লাই। খোপি ঝিঞ্জিরী বেড়াইলি তষ্ঠি । অলকা গোটি এ মস্তকে দেলি । নেই করি ফুল গভী খঞ্জিলি ॥ ফুল পরে দেলি টাতিআ পুণ । বাস করাই মল্পীগভা ক্ৰাশ । সিন্দুর বিন্দু কপোলরে দেলি । নয়নে রঞ্জন নেই রঞ্চিলি । কাপ মলকড়ী থঞ্জিলি কর্ণে। চন্দ্ৰফাfসজা লগাই বহনে ॥ N8్చ চক্ৰফাসিআ ( বর্তমান নাম বাছলি ফাসিআ ) নাসারে বসণী গুণ খঞ্জিলি । তহি পাখে নেথ গোটিএ দেলি । বেকত্রে বাঞ্জিলি পদক মালা । ছেচ কষ্ঠি সঙ্গে হরিড় বেড়া । চাপসল্পী মাল উপরে লাই । চঞ্জহার তহি তলে লুলই । কল। কাঞ্চল বন্ধ স্থলে মোর । রূপা জরী লাগি আছি তহির । কলা পীতাম্বরী পাটে পিন্ধিলি । বাহুৱে বাহুটি ভাড় লাক্টলি ॥ বেনি হস্তে শোহে সুবর্ণ চুড়ী । মুখ দিশিলা যেহ্নে চম্পাকড়া । পাছড়া নেপুর খঞ্জিলি পাদে । অঙ্গুষ্ঠি মানস্করে মুদি খঞ্জে । অলত দুই পাদরে থেনিৰ্ণ । বেশ তোইলি দুই ঘড়ি জাণ । { লাই=লাগাইয়া। নেই করি — অনিয়া। থঞ্জিলি — স্বন্দর ভাবে লাগাইলাম। রঞ্চিলি=লেপন করিলাম। লুলই – দোলে। শোহে=শোভে ৷ কড়ি=কুড়ি । ] প্রাণনাথ বেচারা যদি খাইয়া-দাইয়া বারটার মধ্যে ঘুমাইয়া থাকে, তাহা হইলে অভিসারিকা গোপীর বেশভূষা শেষ করিতে অস্থত: দুই ঘণ্টা সময় লাগিয়াছিল। এই সকল পুরাতন অলঙ্কার বাংলা দেশে একেবারে অজানা ছিল না। কয়েকটি প্রাচীন গ্রন্থ হইতে উদ্ধৃত করিয়া এই তুলনা সংক্ষেপে সারিতে চাই । শ্ৰীকৃষ্ণ কীৰ্তন— “খোপা ভরয়। ভিড়িয়া বাধে লোটণে " “ফুলে জড়ি বান্ধি কেশ পাশে ।” “জাগর চলন অঙ্গে মাই—কাজলে রঞ্জিল ছঈ আই।"