পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

夺博可 আছে ; মহা উৎসাহ তাদের, আপনাদের ভাষায় অতিমাত্রায় মুখর পাখীর মত একসঙ্গে কলকল করিয়া বকিয়৷ চলিয়াছে। ঘোষ বলিল—ওরে বাপরে । মুরগী আজ তোরা খাবি না কি ? সারী বলিল—কেনে, উ কথা বুলছিস কেনে ? তুর লোভ হছে না কি ? ঘোষ বৈষ্ণুষ মানুষ, সে ঘৃণায় থুথু ফেলিয়া বলিয়া উঠিল—রাম, রাম, রাম ! অ্যা, ই হারামজাদা মেয়ে বলে কি গো ? সারী বলিল—তবে তু থাবার কথা বুললি কেনে ? উ আমরা দেবতাকে দিবো। কাটব এই দেবতা থানে । তার পরে কুটি কুটি ক’রে একটি মাটিতে পুতব—আর সবগুলা রাধব । আগে থেকে থাবার কথা তু বুলছিল কেনে ? এতগুলো ঘোষ মুখ বিকৃত করিয়া বলিল—চলুন মশাই, চলুন, আমার গা ঘিন ধিন করছে । বিমল বাৰু দেখিতেছিলেন সারাকে, চলিবার জন্য প৷ বাড়াইয়া তিনি মেয়েটির দেহখানি Sofo, tall—graceful—youth personified সারী ক্রকুঞ্চিত করিয়া বলিল—কি বুলছিস তু উ সব ? মৃদু হাসিয়া বিমলবাবু অগ্রসর হইয়া গেলেন, কথার কোন উত্তর দিলেন না। নদীর পারঘাটের পাশেই অপেক্ষাকৃত বড় বড় সাওতাল ছেলেগুলি গরু মহিষগুলিকে পরিপাটি করিয়া স্নান করাইতেছিল। কয়ট ছেলে আজও লম্বা লাঠি লইয়া জলের ধারের গৰ্ত্তগুলিতে খোচা দিয়া শিকারের সন্ধান করিয়া ফিরিতেছে । 礙 碑 礙 ঘোষ ও বিমলবাবু চলিয়া যাইতেই শ্ৰীবাস গভীর চিস্তান্বিত মুখে দোকানের সামনে ঘুরিতে আরম্ভ করিল। এথানে চিনির কল হইবে । সঙ্গে সঙ্গে বাড়ীঘর লোকজনে ভরিয়া যাইবে । হ্যা—দোকানটা বড় করিতেই হইবে । বর্ষার শেষেই একখানা লম্বা তিনকুঠারী ঘর আরম্ভ করিয়া দেওয়া চাইই ! কিন্তু বনিয়াদ ও মেঝেটা পাকা করিলেই ভাল হয়! ষে ইন্দুরের উপদ্রব ! ঐ বাবুর ইট তো অনেক হইবে—পনর লাখ ! তাহা বলিলেন—বা: कांजिणौ Փք»Ֆ হইতেই তো ভাঙাচোরা যাহা পড়িয়া থাকিবে তাহাতে একটা প্রকাও দালানই তৈয়ারী হইতে পারিবে । আর লোকজনের সঙ্গে—একটু যাহাকে বলে স্বখ—সেই স্বখ থাকিলে,—সঙ্গে সঙ্গে শ্ৰীবাসের ঠোটের ডগায় অতি মৃদ্ধ একটি হাসির রেখা ফুটিয়া উঠিল। পরমুহূৰ্ত্তেই আবার সে গম্ভীর হইয়া উঠিল। আঃ, আরও খানিকটা জমি যদি সে দখল করিয়া রাথিত । জমির দাম হু-হু করিয়া বাড়িয়া যাইবে । দুই-শ আড়াই-শ টাকা বিঘার তো কথাই নাই ! সাওতালের দল শ্ৰীবাসের অপেক্ষাতেই বসিয়াছিল, তাহাদের কাজকৰ্ম্ম বন্ধ হইয়া রহিয়াছে । হিসাবের খাতায় টিপছাপ দিবার পর ধান মাপ হইবে । ওদিকে ‘রোয় পর্বের সমারোহ তাহাদের বর্বর মনকে মুহমুহ আকর্ষণ করিতেছে। তাহারা ক্রমাগত নড়িয়া চড়িয়া বসিতেছিল আর ব্যগ্র দৃষ্টিতে শ্ৰীবাসকে লক্ষ্য করিতেছিল । তাহার উপর এই আকস্মিক টাকা প্রাপ্তিতে পৰ্ব্বট আরও রঙীন হইয়া উঠিয়াছে। চূড়—সেই কাঠের পুতুলের ওস্তাদ রসিক সাওতালটি দেখিয়া শুনিয়া বলিয়া উঠিল—এ বাবা গো ! মোড়লের আমাদের হ’ল কি ? ডসি মাছিতে কামড়াচ্ছে না কি গো ? এমন করে ঘুরছে কেনে ? ও সর্দার ! তোমার মুখ কি কেউ সেলাই ক’রে দিল নাকি ? কমল এবার ডাকিল—মোড়ল মশাই গো ! শ্ৰীবাস ঈষৎ চকিত হইয়া বলিল—কি ? ও—যাই । সে ফিরিয়া আসিয়া তক্তপোষের উপর বসিল । কমল বলিল, লেন গো—টিপছাপগুলা লিয়ে লেন গো । ইয়ার বাদে আবার ধান মাপতে হবে । —হু”। হিসাবের খাতাটা সম্মুখে টানিয়া আনিতে আনিতেই শ্ৰীবাসের মাথার মধ্যে একটা কথা বিদ্যুৎচমকের মত থেলিয়া গেল। জমির দাম বাড়িবে টিপছাপ থাতায় না লইয়া একেবারে বন্ধকী দলিল করিয়া লইলে—কিন্তু বৰ্ব্বরের দল বড় সন্দিগ্ধ! আবার একটা গে। ধরিয়া অনবুঝের মত বলিবে—কেনে গো, উটিতে ছাপ কেনে দিব গো । তু যি বুললি—খাতাতে ছাপ দিতে হবে 1 পরমুহূৰ্ত্তেই সে দোয়াতটা খাতার উপর