পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ee রহিয়া যাইবে । যাহা হউক, নিউটন কালের পরিমাপের জন্য অনন্ত শূন্যে ভ্ৰাম্যমাণ পৃথিবীকে সময়-নির্দেশক . ঘটিকাযন্ত্র রূপে গ্রহণ করিলেন । এই কল্পনাও নিউটনের নিরপেক্ষ কালের পরিমাপের পক্ষে একেবারে নিতুল হইল না, কারণ ইহাতে ধরিয়া লওয়া হইয়াছে যে পৃথিবীর উপর কার্য্যকরী সমগ্র মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ঠিক &to so-croix (centre of mass ) Noj দিয়া চলিয়াছে । কিন্তু এই প্রাথমিক ক্রটি সত্ত্বেও নিউটনের নিরপেক্ষ কালের ধারণার সাহায্যে প্রকৃত গণনায় যে বৈষম্য দেখা যায়, তাহা এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নয় এবং জ্যোতিৰ্ব্বিদেরা কয়েক বৎসর পর্য্যবেক্ষণ করিলেই ইহা সহজেই বাহির করিয়া ফেলিতে পারেন । এই δέ wft*if;*&f<ftw* ( Theory cf Relativity ) পক্ষপাতী বৈজ্ঞানিকেরা নিউটনের কালের ধারণার তীব্র সমালোচনা করিলেও গণিতের ক্ষেত্রে উহা পরিত্যক্ত হয় নাই, এমন কি সাধারণ গণিতের গণনার পক্ষে উহ যথেষ্ট উপযোগী বলিয়াই গণ্য হইয়া আসিতেছে । অবশ্য নিউটনের সমসাময়িক পণ্ডিতেরাও র্তাহার কালের ধারণার সমালোচনা করিতে ছাড়েন নাই ; তাহারা বলিতেন যে সমস্ত গতিই সাপেক্ষ এবং উহা নিরপেক্ষ হইতেই পারে না । তাহীদের মতে এই যে স্বতন্ত্র বা নিরপেক্ষ কাল, হয়ত ইহা গণিতের ক্ষেত্রে উপযোগী, কিন্তু একেবারেই অসম্ভব কল্পনা, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অভিজ্ঞতায় উহার কোন অস্তিত্বই নাই । নিউটনের সমালোচকদিগের মধ্যে লিবনিজের (১৬৪৬-১৭১৬) সমালোচনাই সৰ্ব্বাপেক্ষণ তীব্র আকার ধারণ করিয়াছিল। তিনি বলিলেন—অবশু কালের একটা আদর্শ স্বরূপ ধারণা করিবার পক্ষে ইহার উপযোগিতা আছে, কারণ সংখ্যা যেমন গণনীয় দ্রব্য হইতে স্বতন্ত্র, ইহাও তেমনই বাস্তব বস্তুর নিরপেক্ষ, কিন্তু তাহা হইলেও নিউটনের স্বতন্ত্র কাল ও তাহার প্রবহমান ধারা মিথ্যা কল্পনা মাত্র। তিনি প্রচার করিলেন, কাল সম্পূর্ণরূপে অন্ত সম্পর্কযুক্ত ও ধারাবাহিক, ইহাই লিবনিজের কালের qfzqi Hwo movićxiw (Relational Theory) এইরূপে শতাব্দী ধরিয়া নিউটনের নিরপেক্ষবাদের প্রবাঙ্গী Megb সমালোচনা চলিল এবং যতই কালের পরিমাপ সংশ্লিষ্ট সমস্তা ও প্রশ্নের সমাধানের প্রয়োজন হইতে লাগিল, ততই ক্রমশঃ কাল সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিক আলোচনা আপেক্ষিকতাবাদের পৌছিবার পথে অগ্রসর হইতে লাগিল । যখনই আমরা কালের পরিমাপ করিতে অগ্রসর হই, তখনই আমাদিগের এমন কিছু বস্তুর আশ্রয় লইতে হয়, যাহার সহিত কালের কোনও বাহ সম্পর্ক নাই । আমরা কোনও একটা বিশিষ্ট গতি বা কতকগুলি গতির সাহায্যে কালের ধারণা করিতে চাই । এই ব্যাপারে আমরা অতীতে ও বর্তমানে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করিয়া আসিতেছি - বাতির প্রজ্জ্বলন, বালুঘড়ির প্রক্রিয়া, সূৰ্য্যঘড়ির ছায়া, নাড়িকা বা জলঘড়ি, অথবা সাধারণ যন্ত্রঘড়ি ; এই সমস্তই গতির সাহায্যে কালের পরিমাপ । এই হিসাবে স্বৰ্য্যই দিনরাত্রি বা ঋতুকাল সমস্তেরই সাধারণ নির্দেশক এবং সেই হেতু কালের পরিমাপক। আবার সৌরজগতের বাহিরে আলোকরশ্মির গতিবেগষ্ট কালের নির্দেশক হিসাবে ব্যবহৃত হইতেছে । সুতরাং কালের কোনও অংশকে এই সকল পন্থী ভিন্ন অন্য উপায়ে পরিমাপ করা যায় না । কিন্তু এগুলিও একেবারে নিতুল গণনার উপর প্রতিষ্ঠিত সেই দেশ বা কালের পরিমাপ কতকটা ( approximate ) মূনাধিক অর্থাৎ একেবারে ঠিক হয় না। জ্যোতিষীরা নক্ষত্রকে ঘড়ি কল্পনা করিয়া কালের পরিমাপ অগ্রস্থ করিলেন ; একটি নক্ষত্র একবার মাধ্যাহিকে উদিত হইয়। আবার সেই মাধ্যাহিকে দেখা দেওয়া পর্য্যস্ত যে সময়ের ব্যবধান, তাহারই উপর ভিত্তি করিয়া এই ঘটিকার কল্পনা হইয়াছে । কাজেই একটি স্থির নক্ষত্রকে নির্দেশ করিয়া পৃথিবীর নিজ অক্ষের উপর পরিক্রমণের কালকে অর্থাৎ নাক্ষত্রিক বা সাবন দিনকে কালের পরিমাপ করিবার মাণ ধাৰ্য্য করা হইল । কিন্তু ইহাও তেমন সন্তোষজনক নহে, কারণ ইহা স্থিরনিশ্চয় করিয়া বলা যায় না যে নিজ অক্ষের চতুর্দিকে পৃথিবীর দুইটি সম্পূর্ণ পরিক্রমণের সময় একই হইবে। কালের পরিমাপ ব্যাপারে অস্তর্নিহিত জটিলতা তখনই বিশেষ সুস্পষ্ট হইয়া প্রতীয়মান হয়, যখন আমরা ન , জন্যই