পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

# o 鹅 কীৰ্ত্তিক কালিন্দী 8} . দেখলাম । এবার আর ওতে হাত দিতেও পারবেন না । এ দিকে আবার ধানচাষ এসে পড়ল হু-হু ক’রে । ংলাল বলিল--এবার ভাবছি সাওতালদিগেই ভাগে দিয়ে দেবি । ওরাই চাষ থোড় করুক, যা পারে লাগাক, যা খুশি হয় আমাদের দেবে। তাই এলাম একবার মোড়লের কাছে । শুনছিস মোড়ল ? কমল মাঝি দুই হাতে মাথা ধরিয়া বসিয়াছিল, সে বলিল—তা তো শুনলম গো ! — তা কি বলছিস ? –উ-হু—সি আমরা লারব । তুরা তো আবার কেড়ে লিবি। আমরা তবে কেনে তুদের জমি ঠিক ক’রে দিব ? আমাদিগে পয়সা দিয়ে খাটায়ে লে কেনে । —কেনে, গরজ বুঝছিস না কি ? --তুরাই তো দেখাইছিস গো । আমরা খাটব, জমি করব, আর তুরা তখন সিটি কেডে লিবি ৷ নূতন লোকটি এবার বলিল--তা হলে আমি উঠছি মাঝি। ওই কথাই ঠিক রইল । হ’ল ; মাঝি বলিল—হু, সেই তে। ঠিক ? আপুনি আসবি --ঠিক আসব আমি । তার পর রং লাল ও নবীনকে বলিল—বেশ তা হ’লে কথাবাৰ্ত্তা বলুন আপনারা, আমি 5.1 লোকটি চলিয়া গেলে রং লাল বলিল—ইfা মাঝি, তোরা ওর কাছে ধান লিবি ? তোদের গলা কেটে ফেলাবে । খবরদার খবরদার । এক মণ ধানে ও আধ মণ সুদ নেয়, খবরদার ! মাঝি ঘাড় নাড়িয়া বলিল—উ হু, উ সুদ লিবে না বললে। উ আমাদের পাড়াতে দোকান করছে। একটি খামার করছে । আমাদিগে জমি দিলে ভাগে । আমরা উয়ার জমি কেটে চষে ঠিক ক’রে দিব । রংলাল বিস্মিত হইয়া বলিল—পাল এখানে জমি নিয়েছে নার্কি ? —ই গো। ওই তো তুদের জমিটােই উ লিলে । বাবুদিগে টাকা দিলে, দলিল ক’রে লিলে, চেক লিলে ! و& কাল সব আমরা পাড়া মৃদ্ধ ওই জমিতে লািগব । ডান আসবে লোক জন নিয়ে।. রংলাল নবীন উভয়েই বিস্ময়ের আঘাতে স্তম্ভিত হইয়া মাটির পুতুলের মত দাড়াইয়া রঙ্গিল । কমল পাড়ার এক প্রাস্তে প্রকা ও একটা খড়ের চাল দেখাষ্টয়া বলিল, উক্ট দেখ কেনে—উ দোকান করেছে উইখানে। উয়ার কাছে যা কেনে তুরা। রংলাল নবীন উভয়েই হতাশায় ক্রোধে অস্থির চিত্ত্বে দোকানের দিকে অগ্রসর হইল । লোকটি সোজা লোক ন। এখানে সদগোপদের মধ্যে শ্ৰীবাস পাল বদ্ধিষ্ণু লোক । বিস্তুত চাষ তো আছেই, তাতার উপর নগদ টাক; এবং ধানের মহাজনীও করিয়া থাকে। বড় ছেলে করে নটকোনার দোকান, মেজ ছেলে একটা মনিহারীর দোকান খুলিয়াছে। সাঁওতাল-পল্লীর এক প্রাস্তে বেশ বড় একখানি চালা তুলিয় তাহার চারি পাশ ঘিরিয়া ছিটা-বেড়ার দেওয়াল দিয়া কয় দিনের মধ্যেই শ্ৰীবাস দোকান খুলিয়; ফেলিয়াছে। এক পাশে নটকোনার দোকান, মধ্যে একটা তক্তপোষের উপর, দস্তার গহনা, কার, পুতির মালা, রঙীন নকল রেশমের গুছি, কাঠের চিরুণী, আয়না—এই সব লইয়া কিছু মনিহারীও সাজানো রহিয়াছে, এ-দিকের এক কোণে তেলে- ভাজা খাবার বিক্রয় হইতেছে। ভিড় করিয়া দাড়াইয়ু জিনিষ কিনিতেছিল । রং লাল আসিয়া ডাকিল—পাল মশাই ! পালের ছোট ছেলে মুখ তুলিয় তাহাদিগকে দেখিয়া বলিল, বাবা তো বাড়ী চ'লে গিয়েছেন । রং লাল সঙ্গে সঙ্গে ফিরিল, পথ বাছিল মা—জঙ্গল ভাঙিয়াই গ্রামের মুখে ফিরিল। পালের ছেলে বলিল— এই রাস্তায় রাস্তায় যান গো, বরাবর নদীর ঘাট পয্যন্ত রাস্তা পড়ে গিয়েছে। সত্যই সবুজ ঘাসের উপর একটি গাড়ীর চাকার দাগ-চিহ্নিত পথের রেশ বেশ পরিষ্কার ফুটিয়া উঠিয়াছে ইহারই মধ্যে, কিছু জঙ্গল কাটিয়াও ফেলা হক্টয়াছে। পথ বাছিয়া চলিবার মত মনের অবস্থা তখন রংলালের নয়, সে জঙ্গল ভাঙিয়াই গ্রামের দিকে অগ্রসর হইল । পল্লীর মেয়েরা r.l