পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

夺博丽 বোমা ? কাল থেকেই পেটটা এষ্ট্র নরম হয়েছে, তবু অনেক দিনের সাধ তাই মটর ডাঃ রাধতে বলেছিলাম। পুড়েছে, আপদ গেছে। আজ কি আর সাধে চান করে ফিরতে এত দেরি হ’ল ! পেটের কামড়ানিটা যেন বেড়েছে ।” মোক্ষদা শশব্যন্তে বলিল, “একটু গাদাল পাতার ঝোল काव्र निझे ना, भां ।” শাশুড়ী বলিলেন, “না, না, বিধবার খাওয়া— একটু ভাতে ভোতে, এক ছিটে ঘি আর এক ফোটা দুধ হ’লেই—,” ছেলেকে উদ্দেশ করিয়া বলিলেন, “তা হারে, কালি, কবে যাত্রা করবি ? মাইনে দেবে কত ?” কালিচরণ প্রসন্ন মুখে বলিল, “যাত্রা কাল কি পরশু করতে হবে-শুভদিন দেখে । দাড়াও।” বলিয়া সিন্দুকের উপর হইতে পাজি ও একখানা পুরাতন খবরের কাগজ লইয়া আসিল । মা উজ্জল মুখে পাজির পানে চাহিয়া রছিলেন, বধু ঘোমটা টানিয়া কালিচরণের বহুদিনের হারানো মূর্তিটিকে দেখিতে লাগিল । পাঞ্জি রাখিয়া কালিচরণ খবরের কাগজ খুলিয়া বলিল, “এই শোন কি লিখেছে : আজকাল চারিদিকে প্রাদেশিকতার ধুয়া উঠিয়া ভারতবাসীকে যে-ভাবে বহুধা বিভক্ত, দুৰ্ব্বল ও অবসাদগ্রস্ত করিয়া দিতেছে—তাহার বিষময় ফল বোধ হয় চিন্তাশীল ব্যক্তি মাত্রই অচুভব করিয়া থাকেন। জাতি বিলুপ্ত হইবার পূর্বাভাস বলিয়া অনেকে মনে মনে শিহরিয়াও উঠেন। আমরা তাহাদের আশ্বাস দিয়া বলিতেছি, ভয় নাই । নিখিল-ভারত বেকার-সমস্ত নিবারণী সঙ্ঘের চেষ্টায় দেশব্যাপী এই নৈরাপ্ত ও মানিকে দূর করিবার জন্য বিপুল আয়োজন হইতেছে। হিমালয় হইতে কুমারিকা পৰ্য্যস্ত সারা ভারতবর্ষের প্রতিভূ লইয়া এই নিখিল-ভারত বেকার-সমস্ত নিবারণী সজ গঠিত হইয়াছে। এই সঙ্ঘ বিরাট একটি কৰ্ম্মক্ষেত্র গঠনের প্রচেষ্টায় জাতিধৰ্ম্মনিৰ্ব্বিশেষে প্রত্যেক ভারত সস্তানকেই নিজ নিজ গুণানুসারে কৰ্ম্মে নিযুক্ত করিবার ব্যবস্থা করিয়াছে। প্রত্যেক জেলা এবং প্রত্যেক শহরে ইহার শুভযাত্রায় ফলাফল শাখা কাৰ্য্যালয় স্থাপিত হইবে। সারা বিশ্বের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই কাৰ্য্যালয়ের যোগ থাকিৰে । স্বতরাং বুঝুন কি বিরাট আয়োজন হইতেছে। কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ না হইলে ও দেশবাসীর সর্বাঙ্গী৭ সহানুভূতি না পাইলে এই বিরাট পরিকল্পনাটি সার্থক হওয়া সম্ভব নহে। সেই জন্তু আমাদের বিনীত নিবেদন যে, প্রত্যেক পদপ্রার্থী ব্যক্তি নূ্যনতম পক্ষে এক শত টাকা জমা দিয়া আমাদের তথা বেকার বন্ধুদের সাহায্য করুন। প্রথম দুই মাসের বেতন হইতেই তো এই যৎসামান্ত টাকা উঠিয়া যাইবে অথচ কত বড় একটি মহৎ প্রতিষ্ঠান গঠনের গৌরব আপনাদের থাকিবে। টাকা ইচ্ছা করিলে আবেদন-পত্রের সঙ্গেও পাঠাইতে পারেন, নতুবা চাকরি গ্রহণের পূর্বদিন আপিলে জমা দিতে পারেন। মনে রাখিবেন, প্রত্যেক মাসে নিদিষ্ট সংখ্যক পদের জন্ত প্রত্যেক সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়া হইবে এবং ক্রমিক নম্বর অনুসারে নিয়োগ-কাৰ্য্য চলিবে। দুই আনার ষ্ট্যাম্প দিয়া আবেদন করিলে বিনামূল্যে আমাদের নিয়মাবলী সম্বলিত 'বেকার নিবারণী পুস্তিকা পাঠাইয়া থাকি। আশা করি আপনাদের সহৃদয়তা ও সহানুভূতি হইতে বঞ্চিত হইব না।. কালিচরণ থামিলে মা বলিলেন, “সব কথা বুঝতে পারলাম না, বাবা । কিন্তু কোন চাকরিই যদি দেবে তো টাকা চায় কেন ?” কালিচরণ বলিল, “টাকা নইলে অত বড় আপিস চালাবে কিসে? ভারি তো টাকা! দু-তিন মাসে স্বদ সমেত উঠে আসবে। জান, চল্লিশ টাকার নীচেয় কোন চাকরি ওরা দেবে না ।” মা বলিলেন, “আহা, বাছাদের স্বমতি হোক । কানে জল দিয়ে যদি জল বেরোয় তো মন্দ কি । তা বউমার হাতের ক্ষয়া চুড়ি কগাছা বাধা দিয়ে কি আর অত টাকা কেউ দেবে!” টাকার কথা উঠিতেই মোক্ষদা সে-অঞ্চল পরিত্যাগ করিয়াছিল। স্বামীর অকল্যাণ করিয়া সধবা মামুষের কি আর হাত খালি করা ভাল দেখায় ? বিশেষতঃ এ চুড়ি বিৰাহের সময় তাহার বাপ-মা দিয়াছেন।