পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a - প্রবাসী يا 8 عالا $ 8 ংলাল মনের ক্ষোভে রক্তচক্ষু হইয়াই শ্ৰীবাসের বাড়ীতে হাজির হইল। শ্রীবাস তথন পাশের গ্রামের জন কয়েক মুসলমানের সঙ্গে কথা বলিতেছিল। ইহারা এ অঞ্চলের দুর্দান্ত লোক, কিন্তু শ্রীবাসের খাতক । বর্ষায় ধান, হঠাৎ প্রয়োজনে দুই-চারিট টাকা ধার দেয় ; স্বদ অবশ্ব লয় না, কারণ মুসলমানদের ধৰ্ম্মশাস্ত্রে মুদ্র লওয়া মহাপাতক । কেহ কেহ হাসিয়া শ্ৰীবাসকে বলে—ঘরে ভো টিন দিয়েছেন ঘোষ মশায়, আর ও বেটাদের মুদ ছাড়েন কেন ? শ্ৰীবাস উত্তর দেয়–কিন্তু দরজা যে কাঠের রে ভাই, রাত্রে ভেঙে টুকলে রক্ষা করবে কে? তা-ছাড়া ও রকম দু-দশটা লোক অমুগত থাকা ভাল। ডাকতে-হঁাকতে অনেক উপকার মেলে হে । রংলালের মূৰ্ত্তি দেখিয়া শ্ৰীবাস হাসিল, কিন্তু এতটুকু অবজ্ঞা বা বিরক্তি প্রকাশ করিল না। মিঃ হাসিমুখে আহবান জানাইয়া বলিল—আসুন আহন । কষ্ট, দরকার ছিল তো ওখানে কই কোন কথা বললেন না ! তামাক সাজ, তামাক সাজ দেখি ! বিন ভনিতায় রং লাল কথাটা প্রকাশ করিয়া বলিল— এর মানে কি ঘোষ মশায় ? শ্ৰীবাস একেবারে যেন আকাশ হইতে পড়িল, বলিল— সে কি, ওই জমিটাই আপনার নেবার জন্তে কোপ মেরে রেখেছেন না কি ? কিন্তু আমার বন্দোবস্ত যে আপনাদের অনেক আগে পাল মশায় । আপনারাষ্ট্র তা হ’লে আমার জমি নিতে গিয়েছিলেন বলুন। রং লাল সবিস্ময়ে বলিল --তার মানে ? আমরা ছোট দাদাবাবুর সামনে সেদিন— বাধা দিয়া শ্ৰীবাস বলিল-আমর বন্দোবস্ত বড় দাদাবাবুর কাছে পাল মশায় । ননী ঘেদিন বিকেলে খুন হ’ল, সেই দিন সকালে আমি বন্দোবস্ত নিয়েছি। কেবল, বুঝলেন কিনা—এই ঝগড়ী-মারামারির জন্যে ওতে আমি হাত দিই নাই । রংলাল উত্তেজিত হইয়া উঠিল—এ কি ছেলে ভোলাচ্ছেন ঘোষ—ন, পাগল বোঝাচ্ছেন ? আমি ছেলে ওরে মানুষ, না, পাগল ? বড় দাদাবাবু আপনাকে জমি বন্দোবস্ত ক’রে গিয়েছেন ? শ্ৰীবাস শাস্ত ভাবে বলিল—বক্ষন বহন । বলি, পড়তে শুনতে তো জানেন আপনি! কই দেখুন দেখি এই চেকরসিদ খানা। তারিখ দেখুন, সন সাল দেখুন। তার পর উণ্টে পিঠে জমির চৌহদ্ধি দেখুন ; সে সময়ের লায়েব আমাদের মজুমদার মশায়ের সই দেখুন। তার পরে, তিনিও আপনার বেঁচে রয়েছেন, তার কাছে চলুন ! তিনি কি বলেন শুকুন ! বলিয়া শ্ৰীবাস একখানি জমিদারী সেরেস্তার রসিদ বাহির করিয়া রংলালের সম্মুখে ধরিল। শ্ৰীবাসের কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্য, অন্ততঃ রসিদখানা সেই প্রমাণ দিল । কিন্তু রং লাল বলিল—আমরাও ধানচালের ভাত খাই ঘোষ, এ আপুনি মজুমদারের সঙ্গে ষড় এ আপনার জাল রসিদ । আমর। ও-জমি ছাড়ব না, এ আমি আপনাকে ব’লে দিলাম । শ্ৰবাস হাসিয়া বলিল—ক’লে না দিলেও সে আমি জানি পাল মশায় । বেশ, তা হ’লে কাল সকালে যাবেন চরের উপর, কাল ঘাস কেটে জমি সাফ করতে আমার লোক লাগবে, পারেন উঠিয়ে দেবেন । তার পর তাহার অতুগত মুসলমান কয়জনকে সম্বোধন করিয়া বলিল—এই শুনলে তো মামুদ, তা হ’লে খুব ভোরেই কিন্তু তোমরা এস! বুঝছ তো, তোমরাই আমার ভরসা ! মামুদ শ্ৰীবাসকে কোন উত্তর না দিয়া, রং লালকে বলিল—ত হ’লে তাই আসব পাল ! ভয় নেই, পুরু ঘাসের উপর পড়লি পরে – দরদ লাগবে ন গায়ে । বলিয়। সে খিল-খিল করিয়া হাসিয়া উঠিল । রং লাল নিৰ্ব্বাক হইয়া রহিল, কিন্তু নবীন এবার হাসিল । ক’রে করেছেন । 牵 豪 籌 নবীন সমস্ত ক্ষণ নিৰ্ব্বাক্ হইয়া রংলালের অমুসরণ করিতেছিল । শ্রীবাসের বাড়ী হইতে বাহির হইয়া সে বলিল-পাল, আমি তোমাদের এই সবের মধ্যে নেই কিন্তু ! রংলালের বুকের ভিতর অবরুদ্ধ ক্রোধ হু-হু করিতে ছিল, শ্ৰীবাস ও মজুমদারের প্রবঞ্চনার ক্ষোভ, সঙ্গে সঙ্গে