পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ৰালী (OHIV ব্ৰহ্মদেশের আধুনিক ‘চন্তু জাতীয়া যুবতী জীবন্ত মনুষ্য প্রোথিত করিয়া তাহার প্রেতাত্মাকে শাশ্বত কাল ঐ পুরী বা মন্দিরের রক্ষী রূপে নিযুক্ত রাখা হইত। ব্রহ্মদেশের এইরূপ নরবলি-প্রথাকে “মিওজাডে অনুষ্ঠান” বলে। শ্ৰীযুক্ত হারভী সাহেবের “ব্রহ্মদেশের ইতিহাসে” ৩২০ পৃষ্ঠায় এই প্রথার উল্লেখ আছে। সাধারণ গৃহস্থের বাসগৃহ নিৰ্ম্মাণে এইরূপ নরবলির ব্যবস্থা নাই, গৃহরক্ষী নাটের পূজার ব্যবস্থা আছে। ঘরের প্রথম খুটি বসাইবার সময়ে কিংবা ইষ্টকনিৰ্ম্মিত গৃহের ভিত্তিতে প্রথম ইষ্টক স্থাপনের সময়ে, মিস্ত্রীরা ঐ খুঁটি বা ভিত্তির নীচে একখণ্ড রক্তবর্ণ বস্ত্র, একটি পান, স্বপারি, এক ফানা কলা, একটি নারিকেল এবং কিঞ্চিৎ মিষ্টান্ন রাখিয়া এইন্‌-ছাউণ্ড নাটের (গৃহ-রক্ষক নাটের ) পূজা করে। বস্তু, পান-স্বপারি ও কিঞ্চিৎ মিষ্টান্ন ঐ ভিত্তির নীচেই সংরক্ষিত হয় ; অবশিষ্ট ফল ও মিষ্টান্নাদি নাটের প্রসাদরূপে মিস্ত্রীরা ভক্ষণ করে। ব্ৰহ্মদেশে যে সকল গৃহনিৰ্ম্মাতা এঞ্জিনীয়ার ও কণ্টাকৃটার আছেন তাহার। সকলেই এই প্রথা অবগত আছেন। বনে, জলাশয়ে বা প্রাস্তরস্থ বৃক্ষাদিতে যে সকল নাট বাস করে, তাহারা কোনও পূজা বা ভোজ্যের আকাঙ্ক্ষা করে না ; কোনও উচ্চ বৃক্ষচুড়ে বা পরিত্যক্ত বাস্তুভূমিতে নিজের আনন্দে বাস করে । কাহাকেও একাকী পাইলে নির্দোষ কৌতুক করিতে কুষ্ঠিত হয় না এবং তাহাদিগকে বিরক্ত না করিলে, কাহাকেও তাহারা বিরক্ত করে না। যে সকল নিকৃষ্ট প্রেতাত্মা বৃক্ষণদিতে বাস করিয়া নানাপ্রকার উপদ্রব করে, তাহাদিগকে দমন করিবার জন্য নাট-সয়া ( ওঝা )দিগের সাহায্য গ্রহণ করা হয়। ব্ৰহ্ম ব্ৰহ্মদেশের পুৰ্ব্ব-সীমাস্তের অধিবাসিনী পাণ্ডউ-জাতীয় যুবতী