পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবাবিষ্কৃত রামমোহন রায়-প্রকাশিত ‘শারীরক মীমাংসা শ্ৰব্ৰজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮১৪ সনের মাঝামাঝি সময়ে রামমোহন রায় কলিকাতার স্থায়ী বাসিন্দা হন এবং শাস্ত্রচর্চায় বিশেষভাবে মনঃসংযোগ করিবার অবসর পান । এই সময় বাংলা দেশে "বেদান্তশাস্ত্রের অপ্রাচুর্য্য" ছিল । তিনি ব্রহ্মজ্ঞান প্রচারের উদেখে HJBS BBB SBBB KKSS SSL SSBBBBBS BBBK করিলেন । 'বেদান্ত গ্রন্থ’ সম্বন্ধে তাহার গ্রন্থাবলীর সম্পাদকদ্বয়, রাজনারায়ণ বসু ও আনন্দচন্দ্র বেদাস্তবাগীশ লিথিয়াছেন : বেদস্তি গ্রস্থ অর্থাৎ বেদাস্ত সুত্র । ইহার অঙ্গ নাম ব্ৰহ্মপুত্র, শারীরক মীমাংসা বা শারীরক স্বত্র। যাগ যজ্ঞাদি কৰ্ম্ম সমাপ্ত এই ভারতবর্ষে যদবধি ত্রশস্তানের উদয় হইয়াছে, তদবধি আৰ্য্যদিগের মধ্যে ঐ কৰ্ম্ম ও জ্ঞান সম্বন্ধে একটা বাদামুবাদ চলিয়। আসিতেছে । ঋষিগণ ঐ দুই বিষয়ের বিস্তর বিচার করিয়৷ গিয়াছেন । কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাস ব্ৰহ্মজ্ঞান পক্ষায় ছিলেন । তিনি যে সকল বিচার করিয়াছিলেন, প্রচলিত ব্যাকরণের স্বত্রের জ্ঞায় তিনি ঐ সকল বিচারোদ্বোধক কতকগুলি সুত্র রচনা করিয়া যান । বহু কালের পর শ্ৰমং শঙ্করাচাৰ্য্য সেই সকল সুত্রের অস্তনিহিত তাৎপৰ্য্য ব্যাখ্যা পূৰ্ব্বক ব্ৰহ্মতত্ত্ব ও ব্রস্কোপাসনার উপদেশ পণ্ডিতমণ্ডলীমধ্যে প্রচার করেন । ঐ সকল স্বত্রে এবং শঙ্করাচাৰ্য্যকুত তাহার ব্যাখ্যানে বা ভায্যে বেদব্যাসের সমস্ত ব্ৰহ্মবিচার প্রাপ্ত হওয়া যায় । মহাত্ম রাজা রামমোহন রায় উক্ত বেদাস্তস্বত্র গ্রন্থের ঐরূপ গৌরব ও মাহাত্ম্য প্রতীতি করিয়া প্রথমে ঐ গ্ৰন্থখানি বাঙ্গাল আহ্ববাদ সমেত প্রকাশ করেন । উহাতে ব্যাস মতে সমগ্ৰ বেদ ও সকল শান্ত্রের মর্শ্ব ও মীমাংসা থাকাতে এবং লোকমান্ত শঙ্করাচাৰ্য্যকৃত ভায্যে সেই সকল মৰ্ম্ম সুস্পষ্টরূপে বিবৃত থাকাতে রামমোহন রায়ের ব্রহ্মবিচার পক্ষে উকা ব্ৰহ্মাস্ত্র স্বরূপ হইয়াছিল । কিন্তু কেবলমাত্র বাংলা অম্বুবাদসহ বেদান্তস্বত্র প্রকাশ করিয়াই রামমোহন ক্ষাস্ত হন নাই । তিনি ১৮১৮ সালে শাস্কর ভাষ্য—“শারীরক মীমাংসা’ বঙ্গাক্ষরে মুদ্রিত করিয়া প্রচার করিয়াছিলেন । এই সংবাদ এত দিন পর্য্যন্ত • অনেকে বেদাস্তসার’ পুস্তকের প্রকাশকাল ১৮১৬ সাল বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন, কিন্তু উহ। ১৮১৫ সাল বলিয়া গণ্য করিবার সঙ্গত কারণ আছে ৷ ‘বেদাস্তুসারে’র ইংরেজী অনুবাদ— Translation of an Abridgment of the Pedant Strye সালের জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত হয় ( ১ ফেব্রুয়ারি ১৮১৬ *W*C* The Government Gazette ##13 outrastsin করেন ) । এই ইংরেজী অনুবাদ প্রকাশের পূৰ্ব্বে ষে 'বেদাস্তসার বাংলায় রচিত ও প্রকাশিত হইয়াছিল, তাহার উল্লেখ ইংরেজী অম্ববাদ-পুস্তকের ভূমিকায় আছে। این سیستم جb আমাদের অবিদিত ছিল । সাত-আট বৎসর পূর্বে সরকারী দপ্তরখানায় ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের নথিপত্র দেখিবার সময় আমি এই সংবাদটি প্রথম জানিতে পারি। BENG.A. LEE TRANSLATION’ V E D A N T, RESOLUTION 7 IE /D S; THE MOST CELEBRATED AND REVERED WORK to F B Ꭱ Ꭿ1 Ꮋ ᎫᎷ Ꮋ JNᏉ Ꮋ Ꭴ' A L ΤΗ Ε ο Lo G Υ,, ESTABLISHING THE UNITY 夺芷 Ube šupreme 36eing. Ꭺ$IᏴ THAT HE IS THE ONLY OBJECT OF WORSHIP. Grof: ETHER WITH -A P R E F A C E, B Y T H E T R A N S I A T O R. c A L C U T' TA • FROM THE PRESS OF FERRIS AND GO. ജബ് $ 8 - 5. ১৮১৫ সালে মুদ্রিত ‘বেদান্ত গ্রন্থে'র আখ্যা-পত্রের প্রতিলিপি । ইহাই রামমোহন রায়ের সর্বপ্রথম বাংলা গ্ৰন্থ । ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ ১৮০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিলাত হইতে নবাগত সিবিলিয়ানরা কৰ্ম্মক্ষেত্রে প্রবেশ করিবার পূর্বে এখানে মূলত: এদেশীয় ভাষা শিক্ষা করিতেন।