পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V83 ১৮১৮ সালের প্রথম ভাগে রামমোহন ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের কর্তৃপক্ষকে একখানি পত্র লেখেন ; পত্রে তাহার নবপ্রকাশিত ‘শারীরক মীমাংসা'র কতকগুলি খও কলেজলাইব্রেরির জন্য ক্রয় করিবার অনুরোধ ছিল। তখন ছাপার হরফে মুদ্রিত বাংলা পুস্তকের সংখ্যা মুষ্টিমেয় ছিল বলিলে অত্যুক্তি হইবে না; পুস্তক-মুদ্রণও বিশেষ ব্যয়সাধ্য ব্যাপার ছিল। এই কারণে কলেজ-লাইব্রেরির উপযোগী কোন গ্রন্থ প্রকাশিত হইলেই কলেজ-কর্তৃপক্ষ তাহার কতকগুলি খণ্ড ক্রয় করিয়া লেখককে উৎসাহিত করিতেন । কলেজের সেক্রেটরী রামমোহন রায়ের পত্ৰখানি কলেজের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের অধ্যক্ষ পাদরি উইলিয়ম কেরীকে পাঠাইয়া দিয়া তাহার মতামত জানিতে চাহিলেন। উত্তরে, ১৯ সেপ্টেম্বর ১৮১৮ তারিখে কেরী যে পত্ৰখানি লেখেন, তাহা নিম্নে উদ্ধৃত করিতেছি – To Captain Lockett, Secretary to the College Council. Sir, I have delayed replying to your Note of June 21st accompanying a letter from Ram Mohun Raya, requesting to know whether the College Council will purchase a few copies of the Vedanta Durshuna lately published by him, because there was no copy of the work sent with it by which I could ascertain what particular work on the Vedanta Philosophy it is that he has published. Since that, Ram Mohun Raya has presented nie with a copy of it which en ables me to report upon it with certainty. The title of the work is SAREERIKA MEEMANGSA. It is a work of great and deserved celebrity, and is considered as a scarce work. There is a copy of a work entitled Soreerika Bhashya in the College Library, which is a comment upon the Doctrines of the Soreerika Meemangsa, but as this work itself is not in the College Library, I recommend the purchase of, at least, ten copies of it, especially as if the higher branches of Hindoo Philosophy should at any time be studied in the College, প্রেৰাজী Sలిgు يجيصدمه this must be one of the principal works used in that study. September 29th, 1818. I am, etc. Wm. Carey, কেরীর পত্রে গ্রন্থখানির নাম জানিতে পারলে, এত দিন পর্য্যন্ত রামমোহন কর্তৃক প্রকাশিত ‘শারী: মীমাংসা'র কোন সন্ধানই পাই নাই। সম্প্রতি সংযুক্ত কলেজ লাইব্রেরিতে এই গ্রন্থের দুইটি খণ্ড দেখিয়াছি । গ্রন্থখানি যে লম্বুলাল কবির সংস্কৃত যন্ত্রে f মূদ্রিত এবং ১৭৪০ শক বা ১৮১৮ সালেই প্রকাশিত, তাহার উল্লেখ গ্রন্থের পুস্পিকায় এই ভাবে দেওয়া আছে – “চত্বারিংশদধিকসপ্তদশশতশকে শ্রীমঙ্গলুলালশৰ্ম্মকবিন ংস্কৃতযন্ত্রৈরঙ্কিতমেতং ।” • College of Fort William Proceedings.-- Home Miscellaneous No. 565, pp. 155-56. এই গ্রন্থের মূল্য নির্দিষ্ট হইয়াছিল ৮৯ । কলেজ-কাউন্সিল ইহার ১• খণ্ড ৮-২ মূল্যে ক্রয় করিতে স্বীকৃত হইয়াছিলেন। কেরীর এই পত্ৰখানি আমি ১৩৪২ সালের বৈশাখ সংখ্যা ‘ভারতবর্ষে প্রকাশিত “উনবিংশ শতাব্দীর বাংলা দেশের সামাজিক ইতিহাসের উপকরণ” প্রবন্ধে (পৃ. ৭৫৮-৫৯ ) সৰ্ব্বপ্রথম (टोंकों* कfद्र ! + ১৮৯৬-৭ সালে মীর্জাপুর ত্রিলোচনঘাট-নিবাসী বাবুরাম নামে এক জন সারস্বত ব্রাহ্মণ খিদিরপুরে সংস্কৃত যন্ত্র নামে একটি মুদ্রাষন্তু স্থাপন করেন । দেশীয় লোকদের মধ্যে তিনিই সৰ্ব্বপ্রথম মুদ্রাধন্ত্ৰ স্থাপন করেন ; তাহার মুদ্রাকর ছিল মদন পাল নামে এক জন সদেগাপ। এই মুদ্রাবস্ত্রে প্রথমে দেবনাগরী অক্ষরে সংস্কৃত ও হিন্দী গ্রন্থ মুদ্রিত হইত। ১৮১৪-১৫ সনে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের ব্রজভাষার মুনশী (১৮-২ সনে মাসিক ৫-২ বেতনে নিযুক্ত) লয় লাল কবি নামে এক জন গুজরাট ব্রাহ্মণ বাবুরামের সংস্কৃত যন্ত্রের স্বত্বাধিকারী হইয়াছিলেন বলিয়া মনে হইতেছে ( ১৮১৪ সনের জুন মাসে কিরাতাজুলীয় ছাড়া বাবুরামের যন্ত্রে তৎপরবর্তী কালে মুদ্রিত অপর কোন পুস্তকের সন্ধান পাওয়া যায় নাই ) । লয় লালের ছাপাখানাও সংস্কৃত যন্ত্র নামে পরিচিত ছিল, এবং পূৰ্ব্বোক্ত মদন পালই তাহার মুদ্রাকর ছিল। সংস্কৃত বা হিন্দী পুস্তক ছাড়া বাংলা পুস্তক মুদ্রণের ব্যবস্থাও লয়,লাল করিয়াছিলেন। তাহারই মুদ্রাযন্ত্রে ব্রাহ্মসমাজের সর্বপ্রথম আচাৰ্য্য পণ্ডিত রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশের প্রথম গ্রন্থ ‘জ্যোতিযসংগ্রহসার’ ১৮১৭ সনের জান্নয়ারি মাসে মুদ্রিত হয়। লয় লালের সংস্কৃত যন্ত্র পটলডাঙ্গায় অবস্থিত ছিল ।