পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাত্তম সংস্কৃত কলেজ লাইব্রেরিতে রক্ষিত দুইখানি শারীরক মীমাংসা’রই আখ্যা-পত্ৰ ( টাইটেল-পেজ ) না থাকায় উহা যে রামমোহন রায় কর্তৃক প্রকাশিত হইয়াছিল, তাহা এত দিন অজ্ঞাত ছিল । অাখ্যা-পত্র মোটেই ছিল কি না এবং থাকিলেও রামমোহন রায়ের নাম ছিল কি না, এ-কথা জোর করিয়া বলা যায় না ; কারণ, তাহার সৰ্ব্বপ্রথম বাংলা গ্রস্থ—“বেদাস্ত গ্রস্থে’র আখ্যা-পত্রেও র্তাহার নাম নাই। সুতরাং নাম না থাকিলেও, ১৮১৮ সালে প্রকাশিত এই শারীরক মীমাংসা’ই যে ২৯ সেপ্টেম্বর ১৮১৮ তারিখের পত্রে কেরী কর্তৃক উল্লিখিত হইয়াছে, সে ষিয়ে সন্দেহ করিবার কোন অবকাশ আছে বলিয়া মনে করি না । এইবার গ্রন্থখানি সম্বন্ধে কিছু বলিব । গ্রন্থখানি বঙ্গাক্ষরে মুদ্রিত ; রয়েল আকারের ৩৭৭ পৃষ্ঠায় সম্পূর্ণ। ইহার প্রথম পৃষ্ঠার অনুলিপি দিতেছি – বে । প্রে । প্র । ভt এ ১ ও তৎসং । চিদাত্মনে নমঃ । যুগ্মদম্মৎপ্রত্যয়গোচরয়োবিষয়বিষরিশোস্তম:প্রকাশবদ্বিরুদ্ধস্বভাবয়োরিতরেতরভাবান্নপপত্তেী সিদ্ধায়াং তদ্ধৰ্ম্মাণামপি সুতরামিতরেতরভাবামুপপত্তিরিত্যতোহম্মং বৰ্ত্তমান বর্ষে বিজ্ঞালে মোবেল-প্রাইজ $8é প্রত্যয়গোচরে বিষয়িণি চিদাত্মকে যুদ্ধৎপ্রত্যয়গোচরস্য বিষয়ত তদ্ধমণিাঞ্চাধ্যাগস্তদ্বিপর্যয়েণ বিষয়িণস্তদ্ধমৰ্পণাঞ্চ বিষয়েইধ্যাসো মিথ্যেতি ভবিতুং যুক্তং । তখাপ্যন্যোন্যস্মিন্নন্যোন্যাত্মকতামন্যোন্যধমাংশ্চাধ্যস্তেতরেতরাfষবেকেনাত্যস্তবিবিজ্ঞয়োধম’ধমিণোমিথ্যাজ্ঞাননিমিত্ত: সত্যামৃতে মিথুনীকৃত্যাহমিদং মমেদমিতি নৈসর্গিকোয়ং লোকব্যবহারঃ । আহ কোয়মধ্যাসোনামেতি উচ্যতে স্মৃতিরূপ: পর্যন্ত্ৰ পূৰ্ব্বদৃষ্টাবভাস । তং কেচিদক্ষত্রানাধৰ্ম্মাধ্যাস ইতি বদস্তি। কেচিত্ত যত্র বদধ্যাসস্তম্বিবেকাগ্রহণনিবন্ধনে ভ্রম ইতি । অন্যেত্যু বত্র যদধ্যাসস্তস্যৈব বিপরীতধৰ্ম্মত্বকল্পনামাচক্ষতে । সৰ্বথাপিতু অন্যস্তান্যধৰ্ম্মবিভাসতাং ন ব্যভিচরতি । তথাচ লোকেহমুভবঃ । শুক্তিক হি রজতবদবভাসতে একশ্চন্দ্রঃ সদ্বিতীয়বদিতি ৷--- গ্রন্থখানি চারি অধ্যায়ে সমাপ্ত । উদ্ধৃত করিতেছি :– ইতি শ্ৰীমচ্ছারীরকমীমাংসাভায্যে শ্রীমৎ পরমহংসপরিত্রাঞ্জকাচার্ধ্যক্রমদেগাবিন্দভগবৎপূজ্যপাদশিষ্যপ্রমচ্ছঙ্করভগবৎপূজ্যপাদকৃতে) চতুর্থাধ্যায়স্ত চতুর্থ পাদ: সমাপ্ত । সমাপ্তমিদং শাস্তুং || • ॥ ৯ 敵 尊 錄 CSS SSS BBBB 0S0S SSSB BBBBS 00 S S S S S S S রামমোহন রায়ের পূৰ্ব্বে ছাপার হরফে মুদ্রিত আর কোন ব্রহ্মসূত্র ও শাস্কর ভাষ্য আমি দেখি নাই । শেষ কয় পংক্তি বর্তমান বর্ষে প্রদত্ত বিজ্ঞানে নোবেল-প্রাইজ শ্ৰীগোপালচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে ছয় জন বৈজ্ঞানিককে এবার পাচটি নোবেল-প্রাইজ দেওয়া হইয়াছে। ইহাঙ্গের মধ্যে তিন জন জাৰ্ম্মান—দুই জন রাসায়নিক এবং এক জন জীবতত্ত্ববিদ । কিন্তু বৰ্ত্তমান জাৰ্ম্মান গবর্ণমেণ্ট ঘোষণা করিয়াছেন যে, কোন জাৰ্ম্মানকেই নোবেল-প্রাইজ গ্রহণ করিতে দেওয়া হইবে না। যাহা হউক, বৰ্ত্তমানে যে-সকল বৈজ্ঞানিক গবেষণা সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট বিবেচিত হওয়ায় নোবেল-প্রাইজ পাইবার উপযুক্ত বলিয়া নিরূপিত হইয়াছে, তৎসম্বন্ধে সংক্ষিপ্ত বিবরণ লিপিবদ্ধ করিতেছি। পদার্থ-বিজ্ঞান আমেরিকার কালিফোৰ্ণিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ই, ও, লরেন্স ১৯৩৯ সালের জন্য পদার্থ-বিজ্ঞানে নোবেলপ্রাইজ লাভ করিয়া যশস্বী হইয়াছেন । ‘সাইক্লোটুন’ নামক এক অপূৰ্ব্ব যন্ত্র উদ্ভাবনের ফলেই তিনি এই সম্মানের অধিকারী হইলেন । দড়ির এক প্রান্তে একটি ভারী ঢ়িল বাধিয়া ঘুরাইতে ঘুরাইতে হঠাৎ ছাড়িয়া দিলে টিলটি যেমন ভীমবেগে ছুটিয়া গিয়া লক্ষ্যস্থলে আঘাত করে, এই যন্ত্র সাহায্যে কতকটা অনুরূপ উপায়ে পরমাণুর কেন্দ্রীয় পদার্থকে বিপুল গতিশক্তিসম্পন্ন করিয়া ছুড়িম্বা