পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w8b ॰धबभॆौ Soo করিতেছে, আবার তড়িৎক্ষেত্রটি প্রতি পূর্ণবৃত্ত ভ্রমণে দুই বার করিয়া কণিকাটির গতিবেগ একটু একটু করিয়া বৃদ্ধি করিতেছে, কাজেই চৌম্বক ক্ষেত্র এবং র্যাত দুটির পরিধি যত বিস্তৃত করা যাইবে কণিকাটিকে ততই অধিকতর গতিশীল করান সম্ভব হইবে। কিন্তু বাস্তবক্ষেত্রে চৌম্বক ক্ষেত্র যদুচ্ছ প্রসারিত করিবার অসুবিধা অনেক, কাজেই কণিকাটিকে অভাবনীয় শক্তিসম্পন্ন করা সম্ভব হইবে কিনা তাহা ভবিষ্যতের উপর নির্ভর করে । এই সংক্ষিপ্ত বর্ণনা হইতে মনে হইতে পারে, সাইক্লোট্রনের কার্য্যাবলী অতি সহজেই সম্পন্ন হইয়া থাকে ; কিন্তু তাহা নহে। কারণ ঠিক সময়মত র্যাত৷ দুইটির তড়িতাবেশ পরিবর্তন করা যে কিরূপ কঠিন ব্যাপার, তাহা সহজেই অনুমেয় । সাইক্লোট্রনের র্যাত দুটির ব্যাস প্রায় ত্রিশ ইঞ্চি । এক-একটি অৰ্দ্ধ-গোলকের যাতার পরিধি প্রায় পঞ্চাশ ইঞ্চি । একটি কণিকা যদি সাইক্লোট্রন হইতে আলোর গতির এক-দশমাংশ অর্থাৎ প্রতি সেকেণ্ডে প্রায় ১৮৬০০ মাইল বেগ প্রাপ্ত হয়, তবে যাতার অভ্যস্তরে একটি অৰ্দ্ধবৃত্ত রচনা করিতে ইহার মাত্র “০ • • • • •৩ সেকেণ্ড সময় লাগিবে । এরূপ অল্প সময়ের মধ্যে র্যাতার তড়িৎ পরিবর্তন করিবার জন্য তারহীন তড়িৎবাৰ্ত্তার ষান্ত্রিক কৌশলের অনুরূপ ব্যবস্থা রহিয়াছে। বৰ্ত্তমানে আমেরিকায় প্রায় ত্রিশটি সাইক্লোট্রন যন্ত্র নিৰ্ম্মাণের পরিকল্পনা গৃহীত হইয়াছে। ইহার কয়েকটি ইতিপূৰ্ব্বেই নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। ইউরোপ, কোপেনহেগেন কেম্বি জ এবং লিভারপুলে এক-একটি সাইক্লোট্রনে কাজ চলিতেছে। প্যারিস, জুরিক, ষ্টকহলম, লেনিনগ্রাড এবং চারকে প্রভৃতি স্থানে এক-একটি সাইক্লোট্রনের নিৰ্ম্মাণকাৰ্য্য চলিতেছে । জাপানে একটি সাইক্লোট্রনে কাজ হইতেছে এবং আর একটি নিৰ্ম্মিত হইতেছে । জাৰ্ম্মেনীতেও দুইটি সাইক্লোট্রন নিৰ্ম্মাণের পরিকল্পনা গৃহীত হইয়াছে। রসায়নশাস্ত্র কাইজার উইলহেল্ম ইনষ্টিউটের হাইডেলবার্গের ভেষজতত্ত্ব-সম্পকিত গবেষণাগারের ডিরেক্টর অধ্যাপক রিচার্ড কুনকে রসায়নশাস্ত্রের সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট গবেষণার জন্য ১৯৩৮ সালের নোবেল-প্রাইজ দেওয়া হইয়াছে। উইলস্টেটারের শিষ্যবৃন্দের মধ্যে তিনিই যে সৰ্ব্বাপেক্ষ মেধাবী ছাত্র, তাহার প্রথম জীবনের কার্য্যাবলী হইতে ইহা সুস্পষ্টরূপে প্রমাণিত হইয়াছিল। ‘এনজাইম’ সম্বন্ধে তিনি অনেক অভিনব তত্ত্ব আবিষ্কার করিয়াছেন । ক্যারোটিনয়েডস, ফ্ল্যাভিনস, ভিটামিন এ এবং বি, সম্বন্ধে অতি উচ্চাঙ্গের গবেষণার জন্য তিনি এই পুরস্কারের অধিকারী হইয়াছেন বর্তমানে তিনি স্বাভাবিক রঞ্জক পদার্থ সম্বন্ধে অনেক বিস্ময়কর তথ্যাবলী উদঘাটন করিয়া বৈজ্ঞানিক জগতের বিস্ময় উদ্রেক করিয়াছেন । এতদ্ব্যতীত তিনি ক্রিপ্টোজ্যাস্থিন রডোজ্যাম্বিন, ‘রুবিজ্যাম্বিন’, ‘স্যাফ্রন’ এবং ‘য়্যাজাফ্রিন’ প্রভৃতির উপাদান ও রাসায়নিক সংগঠন সম্বন্ধে অভিনব তথ্যাবলী আবিষ্কার করিতে সমর্থ হইয়াছেন। চিংড়ির শরীর হইতে তিনি "য়্যাষ্টাসিন’ নামক এক প্রকার রঞ্জক পদার্থও পৃথক্ করিয়াছেন। গাজর হইতে প্রাপ্ত ‘ক্যারোটিন’ নামক এক প্রকার রঞ্জক পদার্থের গবেষণার ফলে তিনি অতি মূল্যবান আবিষ্কার করিয়া যশস্বী হন । সাধারণ ‘ক্যারোটিন’ হইতে তিনি আলফা, বিটা ও গামা এই তিন প্রকারের ‘ক্যারোটিন পৃথক করিতে সমর্থ হন এবং পরীক্ষার ফলে দেখিতে পান যে, বিট ক্যারোটিনের সঙ্গে ভিটামিন এ-র অতি নিকট সম্বন্ধ বিদ্যমান অর্থাৎ খাদ্য দ্রব্যে ভিটামিন এ-র পরিবর্তে বিটা-ক্যারোটিন ষ্যবহার করিলে ইহা শরীরভ্যস্তরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হইতে পারে। তার পরে তিনি দেখিতে পাইলেন—‘ক্যারোটিন’ই যে কেবল ভিটামিন এ-তে পরিবর্তিত হইতে পারে তাহা নহে, ‘ক্রিপ্টেজ্যান্থিন' নামে রঞ্জক পদার্থও খাদ্য দ্রব্যে ভিটামিন এ-র পরিবর্তে ব্যবহৃত হইতে পারে । শীর্ষস্থানীয় বৈজ্ঞানিকগণের নিকট এত দিন যাহা একটা মহাসমস্তার বিষয় ছিল, ১৯৩৭ সালে তিনি কৃত্রিম উপায়ে সেই ভিটামিনএ প্রস্তুত করিয়া রসায়নশাস্ত্রের গবেষণায় যুগান্তর আনয়ন করেন। ইদুর প্রভৃতি প্রাণীর উপর পরীক্ষায় নিঃসন্দিগ্ধভাবে প্রমাণিত হইল যে, কৃত্রিম উপায়ে প্রস্তুত