পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांहृछब् বৰ্ত্তমান বর্ষে বিজ্ঞালে নোবেল-প্রাইজ ৬৪৯ ভিটামিন এ ও স্বাভাবিক ভিটামিনের মধ্যে কোনই নিমিত্ত ১৯৩৯ সালের নোবেল-প্রাইজ দেওয়া পার্থক্য নাই । হইয়াছে। অধ্যাপক কুনের ভিটামিন২ এবং ফ্ল্যাভিন রসায়নশাস্ত্রের এক অপূৰ্ব্ব আবিষ্কার। দুধ হইতে ছানা এবং চব্বি পৃথক্ করিয়া লইলে ঘোলের মধ্যে এক প্রকার সবুজাভ রং দেখিতে পাওয়া যায়। কুন্‌ এই রঞ্জক পদার্থ পৃথক্ করিয়া ইদুর প্রভৃতি প্রাণীর উপর পরীক্ষার ফলে দেখিতে পাইলেন, ইহা ভিটামিন২ জাতীয় পদার্থ। তিনি ইহার নাম দিলেন ‘ল্যাক্টোফ্ল্যাভিন’ । আরও অধিক পরীক্ষায় তিনি নি:সন্দিগ্ধভাবে প্রমাণ করিয়া দেখাইলেন যে, উহা নূতন ধরণের এক প্রকার স্বাভাবিক রঞ্জক পদার্থ। তৎপরে তিনি ডিম, লিভার ও মুত্রাশয় হইতেও অনুরূপ রঞ্জক পদার্থ পৃথক্ করিতে সমর্থ হইয়াছেন। কুন কৃত্রিম উপায়ে ল্যাক্টোক্ল্যাভিন উৎপাদন করিয়া দেখাইয়াছেন যে, ইহা আইসো-য়্যালোক্সেঞ্জিন’ ও ‘রিবোজ’ নামক পদার্থের সমবায়ে গঠিত। ল্যাক্টোফ্ল্যাভিন এক প্রকার হলুদ ও জরদ রঙের মিশ্র পদার্থ। ইহাই জলীয় মিশ্রণকে সবুজাভ রং প্রদান করে। ইহা প্রোটিন-জাতীয় পদার্থের সহিত মিলিত হইয়৷ ‘হলদে এনজাইম’ নামক পদার্থ গঠন করে। অধ্যাপক কুন কৃত্রিম উপায়ে দানাদার ভিটামিনঙও প্রস্তুত করিতে সমর্থ হইয়াছেন । কাইজার উইলহেল্ম ইনষ্টিটিউটের বাইওকেমিষ্ট্রির ডিরেক্টর অধ্যাপক এ. বুটেন্যান্ট এবং জুরিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব-রসায়নের অধ্যাপক এল. রুঞ্জিক, এই হই জন বৈজ্ঞানিককে রসায়নশাস্ত্রে যৌন-হরমোন আবিষ্কার ও কৃত্রিম উপায়ে তাহ উৎপাদন করিবার ১৯২৯ সালে বুটেন্যান্ট এবং ডয়েসি প্রায় সমকালেই স্বাধীন ভাবে গর্ভবতী স্ত্রীলোকের মূত্র হইতে 'থিলিন অথবা অয়েষ্ট্রোন নামে এক প্রকার দানাদার হরমোন পৃথকৃ করিতে সমর্থ হন । তংপরে তাল-জাতীয় ফলের শাস হইতেও এই পদার্থ উৎপাদন করিয়াছিলেন । সালে তিনি ‘কপাল লিউটিয়াম’ হইতে ‘প্রোজেষ্টারোন নামে এক প্রকার স্ত্রী-যৌন-হরমোন পৃথক্ করেন । ইহা নিষিক্ত ডিম্বকে নিদিষ্ট স্থানে সংলগ্ন রাখিয়া বৃদ্ধি করিবার সহায়ক জরায়ু-পর্দার পুষ্টি সাধন করিয়া থাকে। এই বৎসরেই তিনি সয়াবিন হইতে প্রাপ্ত 'ষ্টিগমাষ্টেরল হইতে কৃত্রিম উপায়ে এই হরমোন প্রস্তুত করিয়া তাহার রাসায়নিক উপাদান ও গঠন নিরূপণ করেন। তিনি পুরুষের মূত্র হইতে 'য়্যাণ্ডোষ্টেরোন' নামে পুং-যৌনহরমোন ও অন্যান্য কতকগুলি যৌগিক পদার্থ প্রস্তুত করিয়া প্রভূত যশ অর্জন করেন। ইহার পর প্রায় তিন মাসের মধ্যেই ডেভিড এবং অন্যান্য বৈজ্ঞানিকগণ ষণ্ডের অণ্ডকোষ হইতে টেষ্টোষ্টেরণ’ নামে অধিকতর কাৰ্য্যশক্তিসম্পন্ন এক প্রকার পুং-যৌন-হরমোন প্রস্তুত করেন। বুটেন্যান্ট কৃত্রিম উপায়ে এই জিনিস উৎপাদন করিয়া তাহার রাসায়নিক গঠন ও সংস্থান নিরূপণ করেন । 'য়্যাণ্ডোষ্টেরন প্রেজেষ্টেরোন-জাতীয় পদার্থে রূপান্তরিত হইতে পারে অর্থাং পুং-যৌন-হরমোন স্ত্রী-যৌনহরমোনে পরিবর্তন এবং 'য়্যাণ্ডোষ্টেরনে’র সহিত ‘কার্টকোষ্টেরন"-জাতীয় পদার্থের পারস্পরিক সম্বন্ধ বিষয়ক বুটেন্যান্টের গবেষণা জৈব-রসায়নে এক নব যুগের সুচনা করিতেছে । Xసెwరి8