পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাস্তুল বেণু অপেক্ষা কম পড়ান হয় না। পাশ নম্বর শতকরা পঞ্চাশ । <s! #fçt agrotat R! external degree si# xR #tfẹ =## ! তথাপি যদি রাজনৈতিক কারণে ভারতীয় উপাধি উপেক্ষা করা হয় তবে রাজনীতিবিদরা ইহার প্রতিকার করুন, আর যদি মান নীচু বলিয়া পরিগণিত হয় তবে তাহা উচ্চ করিবার ব্যবস্থা হউক। ছাত্রাবস্থায় শুনিয়াছিলাম ধে আমাদের তৎকালীন অধ্যক্ষ ( মি: ম্যাকডনাল্ড ) যাহাতে বি. ই. উপাধি Institution of Civil Engineers কর্তৃক স্বীকৃত হয় এবং যাহাতে এখানে বি. ই. পরীক্ষা পাস করিয়া সরাসরি বিলাত গিযু যুদ্ধ t( পোষ্টগ্রাজুয়েট ট্রেনিং ও গবেষণার জন্য যোগ্য বিবেচিত হওয়া যায়, তজ্জন্ত তিনি নাকি চেষ্টা করিয়াছিলেন । ইহার ফলাফল জানি না । যাহা হউক, ইহা অধ্যক্ষ হিসাবে - ছাত্রদের জন্য প্রচেষ্টা ; ভারতীয়দের কলঙ্ক দূর করিবার জঙ্ক ভারতবাসীর প্রয়াস নয়। ব্রিটিশ মেডিক্যাল কাউন্সিল যাহাতে এম-বি উপাধি মাঙ্গ করে তজ্জঙ্গ অনেক আন্দোলন ও পরিশেষে ইণ্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল হইয়াছে । ভারতীয় এঞ্জিনীয়ারিং উপাধির জন্য কি উপায় অবলম্বন করা সঙ্গত ? যুদ্ধ শ্ৰীসুধীরচন্দ্র কর পুরানো সে ফটোখানা রয়েছে টেবিলে । —মনে পড়ে গেল, শুধু প্রভূরে সেবিলে সংসারে শাস্তি না র’বে সব দিকে ধা-কিছু দু-এক পাতি দিতে হবে লিখে । রাত বাজে সাড়ে দশ ; ঘুমাবার মুখে লিখে দেব,—পত্রিকা পড়া যাক চুকে । দিনে নেই অবসর, রাতে যদি মিলে খবরের কাগজেই নেয় সেটা গিলে । মোট হেড লাইনের ধাক্কার ঝড়ে খবরের পারাগ্রাফে মন ঝুকে পড়ে । তুমি আমি নেই সেথ, অফিস কি বাসা, পুরুষ নারীকে নিয়ে নেই বাদ হাস । জাতে জাতে আড়াআড়ি, জমায় খবর যখন জাকিয়ে ওঠে শ্মশান কবর । কাগজট পড়ে থাক, এই বেলা ওঠে, সঘনে ইসার করে ঐ দেখ ফোটে । আরাগুয়া বন্দরে “গ্রাফ স্পে” আটক । নব অভিমমুI—সে জমাক নাটক ! আজ আর মন দেওয়া চলে না কাগজে ! সিগ ফ্রিড ম্যাজিনোতে মজুক যে মজে। ও সকল বড়ো কথা বড়ো বড়ো ঘরে ভারহীন সারবান পাঠকের তরে ! আমাদের ছোটোদের কেজো সংসারে ছোটো ছোটো ঘটনাতে ঠাসা একেবারে ! নিজেদেরি কত-আছে ব্যাপার জরুরি ; আমাদের অবসর সময়ের চুরি’ ! ফিনদেরে সাজা দিতে তেড়ে আসে রুষ, তারো বড়ো তাড়া ঘরে,—সবে হোলো হুষ ।

  • د سے ہٹاپb

চিঠি তুমি লেখ নি সে কত দিন আজ ! তোমার এ নীরবতা ‘গুলি' নয় ‘বাজ’ ! উঠে মনে হঠাৎ এ ছোটো ঘটনাটি পত্রিকা-পড়া আজ করে দিল মাটি ! দূরে থেকে মাচা আড়ি যা করেছ শুরু, হিটলারি পায়তাড়া চেয়েও এ গুরু ! লিখি বসে এই রাতে সে খবরই আমি, ধরে এ ঘরোয় রণে এ টেলিগ্রামই ! এ দিকের ঘটনা যা বুঝতেই পারে। — তুমি নেই, ঘুম নেই, রাত বাজে বারে! সডিনের খোচা ও কি ? ও কি শুনি ?—বোমা ? আঁৎকে বোলো না তুমি—“ওম, কি হোলো মা !” তার মানে, বাঘা শীত, চারদিকে মশা ; বলি তবে সে থবর তোমারো কি দশা!— হয়তে বা ব’লে দেবে সবি তা বানানো, যুদ্ধের থবরের মহিমা সে,—জানো ? শোনে। তবে—খাওয়া-দাওয়া সারা হ’ল কবে, পান খেয়ে ঠোটখানি টুক্‌টুকই হবে । খোকনেরে ঘুম থেকে তুলে টেনেটুনে দুধটুকু জাল দিয়ে তোলা সে উমুনে খাইয়ে মুছায়ে মুখ শোয়ালে আবার। আর কোনো কাজ নেই বাইরে যাবার । তামাকটি সেজে দিলে শ্বশুরে তোমার পা মুছে, বিছানাতলে মশারির ধার গুজে নিলে ; শুতে যাবে লেপের তলায়, দেখে নিলে হারছড়া আছে তো গলায় ! মৃদু ডেকে বলছেন মাতা ঠাকুরাণী— বেীমা, দুপুরে কাল লিখো চিঠিখানি ।