পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোভিয়েট পররাষ্ট্রনীতির স্বরূপ ও ফিনল্যাণ্ডের ভবিষ্যৎ শ্ৰীযোগেশচন্দ্র বাগল রুশ-জাৰ্ম্মান চুক্তি বর্তমান যুগের কূটনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় রকমের বিস্ময়। গত বৎসর ২৩শে আগষ্ট সঙ্গীতসদন রেলওয়ে ষ্টেশন পালেমেণ্ট সৌধ তারিখে মস্কে শহরে রুশিয়া ও জার্মানীর মধ্যে এই চুক্তি সম্পাদিত হয়। ইহার পূৰ্ব্বে প্রায় চারি মাস যাবৎ হেলসিনকি এক দিকে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও অন্য দিকে সোভিয়েট রুশিয়া এই দুই পক্ষের মধ্যে পরস্পর সাহায্যমূলক চুক্তির উদ্বেতে আলাপ-আলোচনা চলিতেছিল। এ চুক্তির প্রধান উদেশ্ব ছিল—সকলের একযোগে জাৰ্ম্মানীর রাজ্যবিস্তার-স্পৃহাকে ঠেকানো। যখন জাৰ্ম্মানী ও রুশিয়ার মধ্যে উক্ত চুক্তি সম্পাদিত হয় তখনও কিন্তু ব্রিটিশ ও ফরাসী সমরবিভাগের প্রতিনিধি সোভিয়েট সমর-বিভাগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা চালাইবার জন্য মস্কে শহরে উপস্থিত । এই রকম পরিস্থিতির মধ্যে রুশ-জাৰ্ম্মান চুক্তি অকস্মাং সংঘটিত হওয়ায় অধিকতর বিস্ময়ের স্বষ্টি হইয়াছে সৰ্ব্বত্র। অন্যবিধ পরিমণ্ডলে এরূপ চুক্তি সম্পন্ন হষ্টলে এতটা বিস্ময়ের হয়ত কারণ থাকিত না । কি অবস্থার মধ্যে এই চুক্তি সম্পাদিত হইয়াছে তা । কৌতুহলপ্রদ হইলেও বর্তমান প্রসঙ্গে আলোচনা করিব না। রুশ-জাৰ্ম্মান চুক্তি স্বাক্ষরিত হইবার পর হইতেই জগতে কি ভীষণ অবস্থার স্বষ্টি হইয়াছে তাহা সকলে অবগত আছেন। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১৯৩৯ সালের ২৩শে আগষ্ট । পরবর্তী ৩১শে আগষ্ট রুশ প্রধান-মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র-সচিব ম: মোলোটোভ স্বপ্রীম কেন্সিলে এই চুক্তির ব্যাখ্যা করিয়া বলেন,— “অবস্থা যেরূপ তাহাতে সোভিয়েট-জাৰ্ম্মান চুক্তি আস্তর্জাতিক গুরুত্ব অস্বীকার করা কঠিন । ১৯৩৯ সালের ২৩শে আগষ্ট—এই তারিখটি ইতিহাসে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলিয়া গণ্য হইবে। ইউরোপের ইতিহাসে (এবং শুধু ইউরোপের নয় ) ইহা একটি নূতন যুগের স্বচনা করিবে।” ইহা যে একটি নূতন যুগেরই স্বচনা করিয়াছে সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। এই চুক্তি সম্পাদনের পরেই বিগত ১লা সেপ্টেম্বর জাৰ্ম্ম্যান-বাহিনী পোল্যাও আক্রমণ করে। পক্ষকালের মধ্যেই জাৰ্ম্মানীর ধ্বংস-অভিযান পোল্যাণ্ডের কেন্দ্রস্থল স্পর্শ করে। সোভিয়েট রুশিয়া তখন আর