পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झांसुञ সোভিয়েট পররাষ্ট্রনীতির স্বরূপ ও ফিনল্যাণ্ডের ভবিষ্যৎ২ wo directly or indirectly, on the integrity and রাজনীতিক পট পরিবর্তিত হইয়া টি রুশিয়া ও inviolability of the frontiers f the Sovi :" "" " " " জাৰ্ম্মানীতে ছিল এত কাল বিরোধ, তাই নিজ স্বাধীন অর্থাৎ "সোভিয়েট য়ুনিয়নের সঙ্গে সমান-সীমান-যুক্ত প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে আমরা শাস্তিপুর্ণ, ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষার পক্ষপাতী। আমাদের এই ‘পজিশ্বান’, আর ইহাতে আমরা ততদিন দৃঢ় থাকিব যতদিন উহারা সোভিয়েট রাষ্ট্রের সঙ্গে অনুরূপ সম্পর্ক রক্ষা করিবে, এবং যত দিন উচ্চার। প্রত্যক্ষে ব। পরোক্ষে ইহার সাৰ্ব্বভৌমতা অস্বীকার বা নিদিষ্ট সীমান৷ উল্লঙ্ঘন করিতে চেষ্ট না করিবে ।” মোলোটোভের ভাষায়, এসব এখন পুরনো বুলি ! মোলোটোভ তাহার পূৰ্ব্বোল্লিখিত বক্তৃতায় o বলিয়াছেন যে, জাৰ্ম্মানী এখন আর "াগ্রেসর রাষ্ট্র নহে তবে কি এতকাল জাৰ্ম্মানী যে ভাবে। পররাষ্ট্র আত্মস করিতে লিপ্ত হইয়াছিল সোভিয়েট । রুশিয়াও তাই বর্তমানে করিতেছে বলিয়া এই রকম অর্থভেদ ঘটিয়াছে ? এই বিখ্যাত বক্তৃতাটিতেই তাহা সুপরিস্ফুট। পোল্যাণ্ড সম্পর্কে তিনি বলিয়াছেন যে, হোসাঃ সন্ধির 'কুৎসিত সস্তান পোল্যাগুকে জাৰ্ম্মান-বাহিনী ও রুশ-বাহিনী এক আঘাতেই নিপাত করিয়া দিয়াছে । ে অসঙ্গত । } নিজ নির্বিঘ্নত রক্ষার Aজুহাতে পররাষ্ট্র আক্রমণ ও অধিকারই যাহাজের বৃৰ্বান নীতি তাহাজের পক্ষে ইহা । অসঙ্গতই বটে ! r সোভিয়েট রুশিয়ার নজর লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া ও ফিনল্যাও এই চারিটি রাষ্ট্রের উপর আগে হইতেই ছিল। ইঙ্গ-ফরাসী-রুশ আলোচনা যে-সব কারণে ষানচাল হইয়া যায় তাহার মধ্যে একটি হইল— এক কথায় এই বালুটিক রাষ্ট্র চতুষ্টয়ের উপর তাহার নেতৃত্ব স্বীকার করাইবার अछ बिन। ७कप्रूि জাৰ্ম্মানী, অন্য দিকে রুশিয়—কান্ত্রৈই নিজ ত্ব বজায় রাখিতে হইলে ইহাদের নিরপেক্ষ না থাকিয়া উপায় নাই। তাই ইহারা তখন রুশিয়ার প্রস্তাবে প্রতিবাদ জানাইতে বাধ্য হয় । স্তু জাৰ্ম্মানী ও -ফশিয়ার মধ্যে সন্ধি হইয়া शeशश উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে ) . . . .“ و م= 6.ن. & অস্তিত্ব সম্বন্ধে ইহার একরূপ নিঃসন্দেহ ছিল। রুশজাৰ্ম্মান সন্ধির তৃতীয় প্রত্যক্ষ ফল হইল डेड फ़ाब्रिि রাষ্ট্রের প্রথম তিনটির উপর রুশিয়ার স্বাধীনতা-পরিপন্থী প্রস্তাব । রুশিয়াকে নিজ নিৰ্ব্বিল্পত রক্ষার জন্য, উহাদের বন্দরসমূহে ও অভ্যস্তরে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সৈন্ত, বিমানও নৌ-ঘাটি স্থাপন করিতে দিতে হইবে । লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া ও এস্তোনিয়া এ প্রস্তাবে রাজী হইয়াছে। কারণ এ করা ছাড়া এই ক্ষুদ্র রাষ্ট্র তিনটির হয়ত উপায়াস্তর ছিল না । ফিনল্যাণ্ডের নিকটও যে সে ঐকুপ দাবি জানাইয়াছে মোলোটোভের উক্ত বক্তৃত হইতে সাধারণ্যে তাই প্রথম প্রকাশিত হইয় পড়ে। এই বক্তৃতার কিছু পূর্বেই সোভিয়েট রুশিয়া তাহার প্রস্তাব ফিনল্যাণ্ডের নিকট পেশ করে। উভয় রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের মধ্যে যখন আলোচনা চলিতেছিল তাহার মধ্যেই মোলোটোভ ঐ বক্তৃতায় বলিয়া বসেন যে, ফিনল্যাণ্ডের স্বাধীন সত্তা বজায় রাখিতে হইলে তাহার প্রস্তাবে তাহাকে সম্মত হইতেই হইবে। তখনই যদিও রুশিয়ার মতলব বুঝা গিয়াছিল তথাপি আরও কিছু কাল উভয় রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের মধ্যে আপোষ-আলোচনা চলে। কিন্তু শেষ পৰ্য্যস্ত রুশিয়া তাহার দাবিতে অটল থাকায় আলোচনা ফাসিয়া যায়। তাহার পর হইতেই প্রকৃত প্রস্তাবে বর্তমান ফিন-রুশ যুদ্ধ আরম্ভ হইয়াছে। ফিনল্যাণ্ডের উপর রুশিয়ার দাবির বহর এত দিনে বোধ হয় অনেকেই জানিতে পারিয়াছেন । ইহার দক্ষিণে বালটিক সাগর ও ফিনিশ উপসাগর। এই ঞ্চি দিয়া রুশিয়ার লেনিনগ্রাডে গমনাগমনের পথ । এই দুইটির কর্তৃত্ব করিতে পারিলে লেনিনগ্রাড তথMউত্তর-পশ্চিম রুশিয়ার নিৰ্ব্বিস্তুত: সম্বন্ধে সে স্থিরনিশ্চয় হইতে পারে। ইহা করিতে হইলে যেমন বলিটিক সাগরতীরের লিথুয়ানিয়া প্রমুখ রাষ্ট্রক্রয়কে হাতের মুঠায় পূরা আবশ্বক তেমনি ফিনল্যাওকেও স্বমতে আনয়ন করা প্রয়োজন । যদি আপোষে সম্ভব হর ক্ষতি নাই, যদি তাহা না হয় তাহা হইলে যুদ্ধ করিয়াও এইরূপ করা হইবে । এই মনোবৃত্তি