পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

क्षत्डिब्र বৎসর এ ব্যবস্থা চলিবার পর আবার ফিনদের দুৰ্দ্দিন দেখা দেয় । এবারে ডায়েটের সমস্ত ক্ষমতা কাড়িয়া লওয়া হইল। মাদক দ্রব্য বর্জন, শিশুমঙ্গল, জীবনবীমা, প্রভৃতি জনহিতকর আইনগুলিও তখন আর বিধিবদ্ধ হইতে পারে নাই। কিন্তু মহাসমরের মধ্যেই রুশ-বিপ্লব ঘটিবার সঙ্গে সঙ্গে ফিনল্যাণ্ডেরও বরাত ফিরিয়া গেল । ১৯১৭ সালের ৬ই ডিসেম্বর সমগ্র ফিন জাতির মুখপাত্র-স্বরূপ ফিনিশ ডায়েট স্বাধীনতা ঘোষণা করিল। বিপ্লবী রুশিয়া ও জাৰ্ম্মানীর মধ্যে ১৯১৮ সালের ৩রা মার্চ যে ব্রেষ্ট-লিটভস্ক সন্ধি হয় তাহাতে ফিনল্যাণ্ডের স্বাধীনতা স্বীকৃত হয় । ইহার পর ১৯১৯ সালের ১৭ই জুলাই ফিনল্যাণ্ডে রিপাব্লিক প্রতিষ্ঠিত হইল। এ কাৰ্য্যে যে পুরুষ-প্রধানের কৃতিত্ব সকলের আগে স্মরণীয় উাহার নাম ব্যারণ কাল এমিল গুস্তভ ম্যানারহাইম। ফিনল্যাণ্ডের ওয়াশিংটন বলিয়া তিনি সেখানে পূজিত। তিনি পূৰ্ব্বে ফিন-বাহিনীর অধ্যক্ষ ছিলেন । বৰ্ত্তমান যুদ্ধেও তিনি ফিন-বাহিনীর পরিচালনা করিতেছেন । তাহার বয়স এখন বাহাত্তর বৎসর । নয়ওয়ে, স্বইডেন, ফ্রান্স, গ্রেট ব্রিটেন, সোভিয়েট রুশিয়া সকলেই একে একে এই রিপাব্লিক স্বীকার করিয়া লইল । ফিনল্যাও ক্রমে লীগ-অব-নেশুন্‌ ও ইহার কৌন্সিলের সভ্য হয় । গত ১৯৩২ সালে calfetti, rfeții ita cii grf, "Non-Aggression Pact” বা অনাক্রমণাত্মক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। আগামী সোভিয়েট পররাষ্ট্রনীতির স্বরূপ ও ফিনল্যাণ্ডের ভবিষ্যৎ جواويا ১৯৪৫ সাল পর্য্যস্ত ইহীর মেয়াদ । ইহা বাতিল করিতে হইলে পরস্পরকে ছয় মাস পূৰ্ব্বে নোটিশ দিবার কথা । সোভিয়েট রুশিয়ায় এখন পুরাতন নীতি অচল, তাই বোধ হয় সে ফিনল্যাণ্ড আক্রমণ করিবার পূৰ্ব্বে ছয় মাস অপেক্ষা করা যুক্তিযুক্ত মনে করে নাই। ফিনল্যাণ্ডকে এখন অনেকেই সাহায্য করিতে অগ্রসর হইয়াছে। ফ্রান্স, গ্রেট ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইটালী, দক্ষিণ-আমেরিকার কোন কোন রিপাব্লিক ফিনল্যাণ্ডে সৈন্য, রসদ ও রণসম্ভার প্রেরণ করিতেছে। কিন্তু বিশাল রুশিয়ার বিরাট আয়োজনের সম্মুখে তাহার পক্ষে যুঝ কতদিন সম্ভব হইবে বলা কঠিন। সোভিয়েট পররাষ্ট্রনীতির বর্তমান মারমূৰ্ত্তি দেখিয়া পৃথিবীতে চাঞ্চল্য উপস্থিত হইয়াছে খুবই। তাহার নিজের কথায়ই প্রকাশ, জাৰ্ম্মানীকে সে এখন আর কোন দোষ দিতেছে না। যত দোষ জাৰ্ম্মান প্রতিপক্ষীয়দের । তাহারাই এখন তাহার মতে ‘অ্যাগ্রেসর । তাহার কথার ব্যাঞ্চনা খুলিয়া বলিলে বলিতে হয়, ব্রিটেন ও ফ্রান্সই এখন তাহার মতে ‘অ্যাগ্রেসর রাষ্ট্র । তাহার এই ব্যাখ্যা এবং ইঙ্গার পশ্চাতে যে মনোবৃত্তি প্রকাশ পাইতেছে তাহ প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির মনে ভীষণ আতঙ্কের স্বষ্টি করিয়াছে। নরওয়ে, স্বইডেন, রুমানিয়া হইতে গ্রীস পৰ্য্যস্ত বলকান রাষ্ট্রগুলি, তুরস্ক, ইরাক, ইরান ও আফগানিস্তান—এই মুসলমান রাষ্ট্রগুলি এবং পূৰ্ব্বে মহাচীনও রুশিয়ার এই কাৰ্য্যে ভাবিত হইয়া পড়িয়াছে। ফিনল্যাণ্ডের জয়-পরাজয়ের উপর ইহাদের অনেকেরই ভাগ্য নির্ভর করিবে ।