পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হঠযোগ ও রাজযোগ শরীর ও প্রাণের সংযোগে আমাদের অন্নময় কোষ বা স্থল দেহ গঠিত; মাহুষের মধ্যে প্রকৃতির সমুদয় ক্রিয়ার ভিত্তি হইতেছে এই শরীর ও প্রাণের সমন্বয়। হঠযোগের লক্ষ্য হইতেছে এই ছুইটিকে বশীভূত করা। জড় পৃথিবীতে যখন vital force অর্থাৎ প্রাণশক্তির প্রথম আবির্ভাব হয় তখন হইতেই জড়ের সহিত প্রাণের নিরস্তর দ্বন্দ্ব চলিতেছে । প্রাণ\জড়কে ধরিয়া নানারূপে নিজেকে প্রকট করিতে চাহিতেছে, এই ভাবে অসংখ্য প্রকারের জীবকোষ এবং তাহাদের সমবায়ে নানা উদ্ভিদ জন্তু এবং শেষ পর্যন্ত মানবের রিকাশ হইয়াছে। অন্য দিকে জড় চাহিতেছে প্রাণের এই বন্ধন হইতে মুক্ত হইতে, তাহার নিজস্ব নিক্রিয়, নিশ্চল, নিমাড় শাস্তিতে ফিরিয়া যাইতে । যেখানেই প্রাণের উপাওড় জয়ী হইতেছে সেইখানেই মৃত্যু সংঘটিত হইতেছে। প্রাণও অনবরত জীবন স্বষ্টি করিয়া মৃত্যুর সহিত তাল রাখিয়া চলিতেছে। প্রকৃতির নিরস্তর চেষ্ট হইতেছে স্কুইয়ের সমন্বয় সাধন করা এবং এ భ কৃতকাৰ্য হইয়াছে। বৃক্ষের মধ্যে এবং কোন কোন জন্তুর মধ্যে জড় ও প্রাণের মিলন বন্ধুকাল স্থায়ী হইয়াছে ; আর মানুষের যে স্বল্প মধ্যেই প্রকৃতি অন্নময় কোষ, মন ও আর্কার অনেক ঐশ্বৰ্য্য বিকাশ করিতে সমর্থ হইয়াছে, এবং ইহা হইতেই মানবের অপূৰ্ব্ব সভ্যতা ও সংস্কৃতি গড়িয়া উঠিয়াছে। কিন্তু প্রকৃতির এই কাৰ্য্য এখনও সম্পূর্ণ হয় নাই। মানুষ বয়সের সহিত ভিতরে যত বিকশিত হয়, যত জ্ঞানে বিজ্ঞানে বৰ্দ্ধিত হইয়া উঠে, তাহার স্কুল শরীর তত ক্ষীণ হইয়া আসে এবং শেষ পৰ্য্যস্ত আর প্রাণশক্তির কার্য্যকে ধরিয়া রাখিবার তাহার । সামর্থ্য থাকে না, সে ভাঙিয়া পড়ে, এবং ইহাই হুইতেছে মৃত্যু। বৰ্ত্তমানে মাস্থ্য সাধারণতঃ স্থায়ী যৌবন এবং এক সাধারণ মানুষ প্রকৃতির এই বিধানেই যোগী ইহার উপরে উঠিতে চাহিয়াছে এবং অনেকখানি\কৃতকাৰ্য্যও হইয়াছে। পৃথিবীতে জড় ও প্রাণের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব চলিতেছে এক দিন এক্ট ਬੋੜ শেষ হইবে, পৃথিবীতেই অমৃতত্বের প্রতিষ্ঠা হইবে, এই স্বপ্ন মাহ্য অনেক দিন হইতেই দেখিয়া আসিতেছে। পাশ্চাত্য দার্শনিক বার্গস তাহার " Evolution jugț¢ stati ef*f* করিয়াছেন α' এমন এক দিন আসিবে যখন প্রাণ সম্পূর্ণভাবে/জুড়ের উপর জয়ী হইবে, কিন্তু কি হইবে তাহার কোন আভাস তিনি পারেন নাই । পাশ্চাত্য বৈজ্ঞানিকেরা দেহ প্রাণের উচ্চতর সমন্বয় সাধন করিয়া জীবন ও যৌবনকে দীর্ঘস্থায়ী করিবার অনেক রকম প্রয়াস তেছেন । কিন্তু ভারতের প্রাচীন হঠযোগীরা এই মূলতত্ত্বটি ধরিয়াছিলেন। তাহারা দেখিয়াবিশ্বে প্রাণশক্তির সীমা নাই, অস্ত নাই । মানুষ এখন এই অসীম প্রাণশক্তির সামান্য মাত্রই গ্রহণ করিতে, ধারণ ༽་ནི་ཚ পারে। হঠযোগীর উদ্দেশ্য হইতেছে মামুষের ষ্টকে এমন ভাবে গড়িয়া তোলা যেন তাহা নিজেকে বিশ্বেত্ব অফুরন্ত প্রাণশক্তির দিকে খুলিয়া দিতে পারে এবং মধ্যে তাহা গ্রহণ করিতে পারে । হঠযোগীর প্রধান প্রক্রিয়া হইতেছে আসন ও প্রাণায়াম। আসনের সংখ্যা চৌষট্টি, তাহাঙ্গের মধ্যে পদ্মাসন, ভূজঙ্গাসন, ময়ুরাসন, শীর্ষাসন প্রভৃতি কয়েকটি হইতেছে প্রধান। সাধারণ মামুষের দেহ চঞ্চল ও অস্থির,