পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাত্তন বিবিধ প্রসঙ্গ—ভারতীয় মুসলমানদের বংশ-পরিচয় מרצו ছিলাম কিনা মনে নাই। কিন্তু ১৩৪৫ সালের ফাঙ্কনের ‘প্রবাসীতে উহার আংশিক বিরুদ্ধ আলোচনা করিয়াছিলাম মনে আছে ; বর্তমান ১৩৪৬ সালের মাঘ সংখ্যাতেও তাহা করিয়াছি। কিন্তু এই লেখাগুলি বাংলায়,—গান্ধীজীর চোখে পড়িবার কথা নয় । ইংরেজী মডান রিভিয়ুর বর্তমান বৎসরের জানুয়ারী ংখ্যা ১৯৩৯ সালের ৩০শে ডিসেম্বর প্রকাশিত ও ডাকে প্রেরিত হয় । সম্ভবতঃ ইহা কিংবা ইহার সম্পাদকীয় অংশ মহাত্মাজীর সেক্রেটরী তাহাকে দেখান নাই। ইহাতে স্বাধীনতা-দিবসের প্রতিজ্ঞার বিস্তারিত সমালোচনা আছে। কোন কংগ্রেসী নেতা এই সমালোচনার সমালোচনা করেন নাই। ইহার আগেও কোন বৎসর আমরা হয়ত মডান রিভিয়ুতে স্বাধীনতা-দিবসের প্রতিজ্ঞার সমালোচনা করিয়া থাকিব, কিন্তু তাহা মনে নাই । গান্ধীজী মি: জেমসের প্রতিবাদের যে উত্তর ‘হরিজনে' দিয়াছেন, তাহাতে আমাদের কোন মন্তব্য মিথ্যা প্রমাণিত হয় না। সুতরাং গান্ধীজীর প্রবন্ধটি সম্বন্ধে আমরা কিছু বলিব না। আমরা ‘প্রবাসী’তে ও মডান রিভিয়ুতে যাহা লিখিয়াছিলাম, তাহার পুনরুক্তি অনাবশ্যক। কেবল আমাদের এই সিদ্ধাস্তের পুনরুল্লেখ করিতেছি যে, ইহা সত্য নহে যে, ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক সর্বনাশ হইয়াছে । ইহাও পুনঃ পুনঃ বলা আবশ্বক মনে করি যে, ব্রিটিশ রাজত্বে যদি ভারতীয়দের কোন দিকেই সর্বনাশ বা ক্ষতি ন হইত, তাহা হইলেও আমাদের স্বাধীন হইবার চেষ্টা করা ও স্বাধীন হওয়া আবশ্বক হইত। সুতরাং স্বাধীন হইবার প্রতিজ্ঞার পূর্ণ সমর্থন আমরা করি। সম্পাদক স্টেড ও ভারতীয় একবিধ আধ্যাত্মিকতায় ব্রিটেনের সুবিধা প্রসিদ্ধ মাসিক রিভিয়ু অব রিভিয়ুজের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম সম্পাদক পরলোকগত উইলিয়ম টি স্টেড পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর বন্ধু ছিলেন। শাস্ত্রী মহাশয় যখন বিলাত যান, তখন উভয়ের বন্ধুত্ব হয়। তাহার *আত্মচরিত’ বতিতে স্টেড সাহেবের সম্বন্ধে কয়েকটি আখ্যান আছে। একদিনকার আহারের পরের একটি আখ্যান এই :– জাহারের পর আমি আসামের কুলিদের অবস্থা বর্ণন করিতে প্রবৃত্ত হইলাম। আমি চেয়ারে বসিয়া বলিতেছি, ট্রেড, ঘরের এধার হইতে ওধারে বেড়াইতেছেন, এবং “তার পর”, “তার পর” করিতেছেন । ইহা লইয়া একটা হাসাঙ্গাসি উপস্থিত হইল । আমি হাসিয়া বলিলাম, “তুমি যে আমাকে জুয়লজিক্যাল গার্ডেনের বাঘের কথা স্মরণ করাইতেছ। একটু বসে না।” ষ্টেণ্ড, *foots, “I cannot inake my mind sit down” ( “আমি আমার মনকে বসাইতে পারি না” । ) আমি তাসিয়া বলিলাম, "আধ ঘণ্টা বসিবে, তাও পার না ? আমার সঙ্গে ভারতবধে চল, আমি দেখাইয় দিব, আমাদের দেশের সাধুরী প্রাতঃকাল হইতে সন্ধ্যা পৰ্য্যস্ত ধ্যানে বসিয়া আছেন।” ষ্টেড, করতালি দিয়া হাসিয়া বলিলেন, “ও, বুঝিয়াছি, বুঝিয়াছি। আমি ভাবিতাম, এত কোটি মানুষকে আমরা কি করিয়া জিনিয়া লইলাম ? এত দিনের পর বুঝিলাম, তোমরা চোখ মুদিরা থাকিয়াছ, অাময় পশ্চাৎ হইতে মারিয়া লইয়াfছ।” ইহা লইয়৷ খুব হাসাহাসি চলিতে লাগিল । ইহা হইতে অনেকে অনুমান করিতে পারিবেন, ভারতীয় আধ্যাত্মিক ভার সর্বনাশ না করিয়া উহার বধ নচেষ্টা করাতেই ইংরেজদের লাভ ! ভারতীয় মুসলমানদের বংশ-পরিচয় ভারতীয় মুসলমানেরা যে অধিকাংশ স্থলে ধমস্তিরগ্রাহী হিন্দুর বংশ হইতে উদ্ভূত, এই সত্য কথা বলিলে তাহারা অনেকেই চটিয়া যান। অবশ্য কেহ কেহ চটেন না। যাহারা চটেন, তাহারা বলেন যে, বার-বার মুসলমানদিগকে তাহাদের উৎপত্তির কথা স্মরণ করাইয়া দিয়া কী লাভ হয় ? আমরা বলি, তাহারা ইহা মনে করিয়াও ত খুশি হইতে পারেন যে, হিন্দুরা নিরুষ্টজাতীয় বলিয়া বাদশাহ নবাব ওমরা ও ভূতপূৰ্ব্ব বিজেতা জাতির লোকদের সহিত জ্ঞাতিত্ব স্থাপন দ্বারা বড় হইতে চাহিতেছে, এবং ইহা মনে করিয়া হিন্দুদিগকে সকৌতুক কৃপার চক্ষে দেখিতে পারেন। চটিবার কি প্রয়োজন ? মুসলমানের ষে বংশ-পরিচয়ে চটেন, অল্প দিন আগে তাহার একটা প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে। যথা— MoRADABAD, Jan. 31 “Can it serve any useful purpose to remind the Indian Muslims, as Mahatma Gandhi has