পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

平t電平 বিবিধ প্রসঙ্গ—অগণিত স্থানে স্বাধীনভা-দিবসের প্রতিজ্ঞা গ্রহণ ♥ፃግ এখানে ইহা অবশুৰ্ম্মৰ্ত্তব্য ও অবশুবক্তব্য যে, স্বন্ধুর ও তাহার নিকটবৰ্ত্তী গ্রামসমূহের সব মুসলমান বদমায়েস মহে । তাহীদের মধ্যে কেহ কেহ কোন কোন আক্রান্ত হিন্দুকে আশ্রয় ও অন্যবিধ সাহায্য দিয়াছিলেন। ইহাদের ব্যবহার অতীব প্রশংসনীয়। ব্রিটিশ সরকারের প্রস্তাবে ও কংগ্রেসের দাবীতে বিশেষ পার্থক্য গত ৫ই ফেব্রুয়ারী বড়লাটের সহিত মহাত্মা গান্ধীর সাক্ষাৎকারের পর যে কমু্যনিকে বা জ্ঞাপনী বাহির হয় ৬ই ফেব্রুয়ারী তাহা দেখিয়া আমরা কিছু মন্তব্য প্রকাশ করি। তখন ব্যাপাপ । বেশ ভাল করিয়া বুঝা যায় নাই বলিয়া আমরা জ্ঞাপনীটিকে ছদ্মাবরণী বলিয়াছিলাম । তাহার পরদিন, ৭ই ফেব্রুয়ারী, গান্ধীজীর বিবৃতি হইতে কিছু বুঝা গেল, আবরণ কিছু উন্মোচিত হইল। মহাত্মাঞ্জীর বিবুতির সারমর্ম গোড়ার যে কথাগুলিতে আছে তাহা এক্ট :– ংগ্রেসের দাবী ও বড়লাটের প্রস্তাবের মধ্যে মুল পার্থক্য হইল এই যে, বড়লাটের প্রস্তাবে ব্রিটিশ সরকারই ভারতের অদৃষ্ট চূড়ান্তভাবে নির্ণয় করিবে বলিয়া ধরা হইয়াছে, কিন্তু কংগ্রেস ইহার ঠিক বিপরীতটি চাহিঠেছে । কংগ্রেসের বক্তব্য হইল যে, ভারতবাসিগণ বাহিরের হস্তক্ষেপ ব্যতীত নিজেরাই ভারতের অদৃষ্ট নিয়ন্ত্ৰণ করিবে, ইহাই প্রকৃত স্বাধীনতা লাভের পরীক্ষা। যত দিন এই পার্থক দূর না করা BB BB BBBB BB BBBBB BBBS B BBBB BDK BBB BBBB দিবার সময় হইয়াছে, ইহা যত দিন ব্রিটেন স্বীকার না করে, তত দিন ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে কোনরূপ শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক আপোষের কোনও সম্ভাবনা আমি দেখি না। এই পার্থক দূর করিলে এবং ব্রিটেন পূৰ্ব্বোক্ত দৃষ্টভঙ্গ গ্রহণ করিলে দেশরক্ষা, সংখ্যালঘু, রাজন্তবর্গ এবং ইউরোপীয়গণের থার্থসংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলির সমাধান মিলিবে । কংগ্রেসের দাবী এবং ব্রিটিশ গবন্মে টি যাহা দিতে চান তাহার মধ্যে প্রভেদ ত আগে হইতেই জানা ছিল । ইহা জানিবার নিমিত্ত মহাত্মাজীর বড়লাটের সহিত দেখা করিবার আবশ্যক ছিল না। আনন্দবাজার পত্রিকার ও হিন্দুস্থান স্টাণ্ডার্ডের নিজস্ব সংবাদদাতা ৬ই ফেব্রুয়ারী নয় দিল্লী হইতে ঐ দুষ্ট কাগজে যে সংবাদ পাঠাইয়াছেন তাহাতে কিছু নূতনত্ব আছে । তবে তিনি যে স্থত্রে যাহা জানিতে পারিয়াছেন তাহা নির্ভরযোগ্য হইলেই সংবাদগুলির মূল্য আছে, নতুবা নাই। তিনি লিখিয়াছেন : नद्रांघ्निौ, ९३ cफ्ऊब्रांद्रौ যতদূর জানা গিয়াছে, ওয়েষ্টমিনষ্টার ঔপনিবেশিক স্বায়ত্তশাসন প্রবর্তনের সময় লইয়াই মহাত্মা গান্ধী ও বড়লাটের মধ্যে আপোৰ সম্ভব হয় নাই। প্রকাশ, ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্তু গ্রহণযোগ্য সময় নিদিষ্ট করিলে এবং ইউরোপে যুদ্ধ শেষ হওয়া মাত্র ভারতে ঔপনিবেশিক স্বায়ত্তশাসনমূলক গঠনতন্ত্র প্রবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিলে গান্ধীজী কংগ্রেসকে ঔপনিবেশিক স্বায়ত্তশাসন গ্রহণের জন্তু সুপারিশ করিতে সম্মত ছিলেন । দেশরক্ষণসম্পর্কিত প্রস্তাব তিনি বিশেষ আলোচনা করেন নাই ; তিনি নাকি যুক্তি দেখাইয়াছেন যে, মূল অবস্থাটি স্বীকার করিয়ালওয়া হইলে, দেশরক্ষণ ও অষ্ঠাষ্ঠ সম্পর্কিত প্রশ্নগুলি সহজেই সকলের পক্ষে সন্তোষজনক ভাবে মীমাংস করা যাইবে । আরও প্রকাশ, মহাত্মাজী ভারতের আত্মনিয়ন্ত্রণ করিবার এবং গণপরিষদ দ্বারা নিজ গঠনতন্ত্র রচনার অধিকার স্বীকার করিয়া লইবার দাবী করেন । তদুত্তরে উহাকে নাকি বুঝাইবার চেষ্টা হইয়াছিল যে, ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্টের প্রস্তাবেই ভারতকে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার দেওয়া হইয়াছে, তবে ভারতীয় জনসাধারণু এবং রাজন্তবর্গ মিলিয়া যথাসম্ভব সৰ্ব্বসম্মত গঠনতন্ত্র রচনা করিতে হইবে । ইহাতে মহাত্মাজী পরিতৃপ্ত হন লাই, তাহ পরবত্তী কোন সময় পর্যন্ত আলোচনা স্থগিত রাখা হুইয়াছে । স্বাধীনতার সার অংশ পাইলে মহাত্মাজী তাহা লইতে রাজী হইবেন ইহা অনেক আগেই তিনি বলিয়া রাখিয়াছেন । ডোমৗনিয়ন ষ্টেটাসে যে ঐ সার অংশ অনেকটা আছে তাহ অস্বীকার করা যায় না। তবে সংবাদদাতার প্রেরিত খবর অনুযায়ী আলোচনা ও অবস্থা ঘটিয়া থাকিলে তাহ নূতন সংবাদ বটে। এবং অগণিত স্থানে স্বাধীনতা-দিবসের প্রতিজ্ঞা গ্রহণ গত ২৬শে জানুয়ারী ভারতবর্ষের নানা স্থানে নানা সভায় স্বাধীনতা-দিবসের প্রতিজ্ঞ উচ্চারিত ও গৃহীত হয় । এত জায়গায় এই অনুষ্ঠান হইয়াছিল যে ভিন্ন ভিন্ন স্থানের উহার বৃত্তান্ত এখনও দৈনিকসমূহে বাহির হইতেছে । ইহা সস্তোযের বিষয় । যে পরিমাণে আমরা কথাগুলি কলের মত উচ্চারণ না করিয়া আস্তরিক বিশ্বাস ও অনুভবের সহিত তাহা করিব এবং প্রতিজ্ঞা পালন করিতে চেষ্টা করিব, সেই পরিমাণে স্বাধীনতা নিকটতর হইবে । প্রতিজ্ঞার অস্তগত চরখা ও খাদি সম্বন্ধীয় অংশ সম্বন্ধে মতভেদ হইয়াছে। কংগ্রেসীরা এবং সংবাদপত্রসমূহ সাধারণত: "চতুবিধ সৰ্ব্বনাশ” সম্বন্ধে আমাদের বাংলা