পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ట్రtry প্রবাসী \ల్సి অনেকগুলি গবেষণা ও আবিষ্কারের সংবাদ সম্প্রতি দৈনিক কাগজে বাহির হইয়াছে। কলিকাতা বিজ্ঞান কলেজের রজত জুবিলি পচিশ বৎসর পূৰ্ব্বে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। ইহার রজত জুবিলির আয়োজন হইতেছে। সেই উপলক্ষ্যে নানা দিকে ইহার বহু কৃতিত্বের বিষয় শিক্ষিত সমাজের গোচর হইবে । তাহাদের মধ্যে যাহারা সঙ্গতিপন্ন তাহারা গবেষণাবৃত্তি প্রভৃতি স্থাপন দ্বারা ইহার কার্ষ্যের উন্নতি ও বিস্তৃতির সাহায্য করিলে দেশের হিত ও শ্ৰীবৃদ্ধি হইবে। বিজ্ঞান কলেজে, বস্থবিজ্ঞান মন্দিরে, ও ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানসভা গৃহে বাংলায় সহজবোধ্য ও চিত্তাকর্ষক বৈজ্ঞানিক বক্তৃতার ব্যবস্থা করিলে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান বিস্তারের সাহায্য হয়। চাষের জমী বিক্ৰী সম্বন্ধে আইন যাহারা নিজের হাতে চাষ করে, চাষ যাহাঁদের কৌলিক বৃত্তি, জমী তাহাদের হাত হইতে এরূপ লোকদের হাতে যদি যায় যাহারা নিজের চাষ করে না, ভাগে জমী বিলি করিয়া বা মজুরি দিয়া অন্তের দ্বারা চাষ করায়, তাহা হইলে যাহারা স্বাধীন কৃষিজীবী ছিল তাহারা ভূমিখুন্ত ক্ষেত-মজুর, কলকারখানার মজুর, রাস্তাঘাটের বাজারের মজুর, ইত্যাদিতে পরিণত হয়। ইহা বাঞ্ছনীয় নহে। অন্ত দিকে ইহাও ঠিক যে, ঐ রকম সব মজুরেরও প্রয়োজন আছে। তাহা হইলেও যাহারা স্বাধীন কৃষক ছিল, তাহদের মজুরে পরিণত হওয়া অবাঞ্ছনীয়। এই জন্য, যাহার স্বয়ং কৃষক তাহাদের জমী অকৃষক যাহাতে কিনিতে ন-পারে সেই উদ্দেশ্বে ভারতবর্ষের কোন কোন প্রদেশে আইন হইয়াছে, বঙ্গেও হইবার কথা উঠিয়াছে। এরূপ কোন আইনের কোন বিধির দোষগুণ আলোচনা এখানে আমাদের উদ্দেশ্য নহে । আমরা কেবল একটি সাধারণ নীতির উল্লেখ এখানে করিষ। ভারতবর্ষের শাস্ত্রীয় বিধি অনুসারে শিল্প কৃষি ব্যবসা বাণিজ্য কেবল বৈশ্বদের করিবার কথা । কার্য্যতঃ কখনও পূর্ণমাত্রায় এই নিয়ম পালিত হইত কি না বলা যায় না। কিন্তু দেখিতেছি, বহু কাল হইতে বৈশ্ব ছাড়া আৰু লোকেরাও চাষ কারিগরী ব্যবসাবাণিজ্য করিতেছে। আবার বৈশ্বেরাও সরকারী চাকরী ওকালতী মোক্তারী ব্যারিষ্টারী অধ্যাপকতা শিক্ষকতা ডাক্তারী ইত্যাদি করিতেছে। ইহা নিবারণ করিবার নিমিত্ত কোন আইন হয় নাই, হওয়া উচিত একথাও কেহ বলেন না। অর্থাং বৃত্তিগত জাতিভেদ যে ভাঙিয়া গিয়াছে ও যাইতেছে, তাহার বিরুদ্ধে কেহ কিছু বলিতেছেন না, করিতেছেন না, বৃত্তিগত জাতিভেদ রক্ষা ও পুনঃপ্রতিষ্ঠা করিবার চেষ্টাও কেহ করিতেছেন না । কেবল ক্লষকদিগকেই চাষের জমী রাখিতে দেওয়া হইবে, চাষের জমী বিক্ৰী করিতে হইলে কেবল তাহদিগকেই বিক্ৰী করা চলিবে, এরূপ আইন করিলে কৃষক বলিয়া একটি জাতির ("caste"এর) স্থষ্টি করা হইবে না কি ? খ্ৰীষ্টিয়ান ইংরেজরা এবং মুসলমানরা বলেন, তাহার জাতিভেদের বিরোধী। কিন্তু এই যে নূতন জাতিভেদের স্বাক্টর আয়োজন হইতেছে, রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক কারণে তাহার বিরুদ্ধে ও কেহ কিছু বলিতেছেন না ? হিন্দু ও ব্রাহ্ম নেতাদের মধ্যে অনেকে “ব্যাক টু দি ল্যাগু” ( “আবার চাষবাসে লেগে যাও” ), এই নীতির সমর্থন করেন। তাহার অর্থ, যে-সব পরিবারের লোকেরা স্বহস্তে চাষ করিত না, করে না, তাহদেরও কতক কতক লোককে চাষী হইতে বলা । আমাদের তাহাতে আপত্তি নাই। কিন্তু অকৃষক যদি চাষের জর্মী না পায়, তাহা হইলে *ফিরে চাও মাটির পানে” পরামর্শের অমুসরণ ত হইতে পারে না। বড় বড় ভূখণ্ড ট্র্যাক্টরের সাহায্যে না চষিলে হয়ত অনেক স্থলে কৃষি লাভজনক হইবে না। কিন্তু আমাদের দেশের চাষীদের এক এক গৃহস্থের এত টাকা ও জমী নাই যে, তাহারা ট্র্যাক্টর ক্রয় ও ব্যবহার করিতে পারে । অপেক্ষাকৃত সঙ্গতিপন্ন ও শিক্ষিত ভদ্রলোকে যে তাঙ্গা পারে, তাহার একটি দৃষ্টান্ত কিছু কাল পূর্বে মডার্ণ রিভিস্থ ও প্রবাসীতে লক্ষ্মেীর অধ্যাপক ডাঃ নন্দলাল চট্টোপাধ্যা’