পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

■議類墓置 麗 জাপানের সঙ্কট গোপাল হালদার সঙ্কট মূলত চীনের, কিন্তু জাপানও বে তাহাতে জড়াইয়। পড়িয়াছে, তাহাতে সন্দেহ নাই । বৎসর আড়াই পূৰ্ব্বে, ১৯৩৭এর জুলাই মাসে চীনস্থ জাপানী সৈঙ্কদের সঙ্গে পিকিংএর নিকটে চীনা সৈন্যদের একট। সঙ্ঘর্ষ বাধে—এইরূপ সজধ পূৰ্ব্বেও এক-আধটুকু হইয়াছে, জাপান সেইরূপ সঙ্ঘর্ষ স্বত্রে চীনের উপর নিজের অধিকার আর একটুকু প্রসারিত করিয়া লইয়াছে, চীনের কুয়োমিংতাং দলের নিরূপায় নায়ক সেনাপতি চিয়াং কাই-শেক তথন বাধ্য হইয় তাহা সহা করিয়াছেন । কিন্তু সেইবারের সঙ্ঘর্যের ফলে জাপানী সৈন্তাধ্যক্ষরা যখন নূতন দাবি উপস্থিত করিলেন, চিয়াং কাইশেক তাহাতে সম্মত হইলেন না, চীনারা বাধা দিতেই প্রস্তুত হইল । জাপানীরাও বাধা দূর করিতে সচেষ্ট হইল। সঙ্ঘর্ষ এইরূপ অবস্থায় যখন বাড়িয়া চলিয়াছে তখন জাপান জার দেরি না করিয়া উত্তর চীনের পাচটি প্রদেশই করতলগত করা স্থির করিল। কারণ, চিয়াং কাই-শেকও নুতন করিয়া চীনা বাহিনী ও চীন রাষ্ট্র গঠন করিতেছিলেন, র্তাহার সেই সংগঠন সুসম্পূর্ণ হইলে জাপানের পক্ষে টনের উপর অধিকার প্রতিষ্ঠা সুসাধ্য হইবে না । অতএব, জাপান কালহরণ না করিয়া তাড়াতাড়িই চীন অধিকার শেষ করিতে চাহিল। কারণ, চীন তখনও কলহে খণ্ডিত, তুৰ্ব্বল, অসহায় ; আর জাপানের ঐশ্বৰ্য্যেয় অস্ত নাই ; তাহার সৈগুশক্তি প্রচুর আর অস্ত্র-আয়োজনে সে পুথিবীতে অঞ্চতম অগ্রগণ্য শক্তি । ঝড়ের মত প্রচণ্ড আঘাতে সে চীনকে একেবারে বিধ্বস্ত করিয়া দিয়া দেখতে-না-দেখিতে চীনে নিজেকে স্বপ্রতিষ্ঠিত করিয়া ফেলিবে এই তাহার আশা । সঙ্কট কিরূপ অtড়াই বৎসয় পরে দেখা গেল মরণাহত চীন মরে নাই, বিজয়ী জাপান এখনও নিশ্চিন্তু হইতে পারে নাই। "চীনের ঘটনা"ট ক্রমশই দীর্ঘায়ত হুইয়া পড়িয়াছে—সেই স্বত্রে জাপানের সঙ্গে পৃথিবীর বড় বড় শক্তিদের কূটনৈতিক মতাম্ভৱ ঘটিতেছে, জাপানের সৈন্তদল চীনের বিস্তৃত রণক্ষেত্রে মৃত্যুর কবলে পড়িতেছে, আর স্বগৃহে জাপানের ঐশ্বৰ্য্য, তাহার ক্রয়বাণিজ্য, সবই এই সুদীর্ঘ ঘটনার ফলে ক্রমশই ব্যাহত হইতেছে । এইটিই জাপানের সঙ্কট—“চীনের ঘটনা"ট মিটিল না। ইতিমধ্যে ইউরোপীয় যুদ্ধও আসিয়া পড়িল –তাহাতে জাপানের পক্ষে কোনো গুরুতর ক্ষতি নাই—নিরপেক্ষ জাপান আপনার দেশবিদেশের নিরপেক্ষত রক্ষা করিয়া চীনে বরং চাপিয়া বসিতেই পাব্লিবে, নিৰ্ব্বিবাদে একটা হাতে-ধর নূতন টন স্তাবেদার রাজ্য গড়িয়া তুলিতেও পরিবে । কিন্তু আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রও রহিয়াছে যুদ্ধে নিরপেক্ষ—আর জাপানের এই চীন নীতি’ সে বাধা দিতেই চায় । তাহা ছাড়া, ইউরোপীয় যুদ্ধের ফলে জাপানের নূতন করিয়া আপনার মিত্রামিত্র স্থির করা প্রয়োজন হইয়া পড়িতেছে । জাপানী রাজনীতিতে এই কারণেও একটা ছোটখাট সঙ্কট দেখা দিল । Yoso ミエ夢 চীনে অচল অবস্থা চীনে জাপান একটা আচল অবস্থার মধ্যে গিয়া পড়িয়াছে বলিয়াই এই আড়াই বৎসরেও একটা কুলকিনার। সে করিয়া উঠিতে পারিতেছে না। এমনি দেখিতে মনে হইবে— চীনে জাপানই তো বিজয়ী। সত্য বটে মুক্‌ডেন হইতে কান্টন আর সাজম্বাই হইতে হাঙ্কাউ এই বিস্তৃত প্রদেশের উপরে আঞ্জ জাপান কর্তা ; চীন নদীপথ, বন্দর ও রেলপথ জাপানের হাতেঅর্থাৎ চীনের বাহির হইবার পথ মাত্র আজ যুনানের দিকে বৰ্ম্মার মধ্য দিয়। জার মঙ্গোলিয়ার বা চীন তুকিস্থানের দিকে রুশিয়ার ছুয়ার দিয়া । যে চীন আজ চিয়াং কাই-শেকের হাতে তাহা নিতাস্তই অমুন্নত প্রদেশসমূহের সমষ্টি । যেমন করিয়৷ বাংলা ও গঙ্গা-উপকুলস্থ প্রদেশ হস্তগত করিবার পর উহার ধনে-জনেই ইংরেজের পক্ষে ভারতবর্য অধিকার সহজসাধ্য হইয়া উঠিয়াছে, জাপানের পক্ষে এই সমৃদ্ধ প্রদেশগুলির সহণয়ে তেমনি করিয়াই সমস্ত চীনে আপন অধিকার স্থাপন করা কঠিন হইবে না । বিশেষত, ভারতবর্ষের দেশীয় রাজ্যের মত চীনে ও জাপান র্তাবেদার চীন সরকার গড়ির চীনের একট দল হাত করিয়া লইতে সচেষ্ট । জাপানের এইসব হিসাবে ভুল নাই, শুধু ঠিকে মিলিতেছে না। এই জঙ্ক যে, যে চীনা প্রদেশগুলি জাপানীদের অধিকৃত সেখানেই জাপানের অধিকার" বিশেষ मृी नग्न ! জাপানী সমর-ঘাটির বাহিরে পা দিলেই, শহর ছাড়াইয়। একটু অগ্রসর হইলেই, আর জাপানের অধিকার খুজিয়া পাওয়৷ ধায় না । জাপানী সৈন্তের উপস্থিত না থাকিলেই চীনারা আর জাপানকেও মানে না, তাহাজের হাতের চীনা-পুতুলদেরও তোয়াঙ্ক রাখে না । আবার, এইরূপ আভ্যস্তরীণ প্রদেশসমূহে চীনা গরিলা সৈঙ্কর খণ্ড জাপানী সৈন্যদলকে ষত্বচ্ছ অtফ্ৰমণ করিয়া ধ্বংসও করিতেছে। তৃতীয় কারণ এই ষে অনধিকৃত খাটি চীন অঞ্চলে বুহত্তর চীনাবাহিনী প্রস্তুত হইতেছে, তাহাদের উন্নততর যুদ্ধেiপকরণ জুটিতেছে আর যুদ্ধের পদ্ধতিতেও এই কয় বৎসরেয় অভিজ্ঞতায় এই