পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سیده —না না, সেটা— विभज किरू ७क भङ्गना ज३ण ना। ८फ़ोभूौ-बिजब সম্পূর্ণ হইল। জগদীশবাৰু সমস্ত দেখিয়া-শুনিয়া ভারি পুলকিত হইয়া উঠিলেন। বলিলেন—আমি তো বললুম চৌধুরী মশায়, মাইক্রসকোপের সাহায্য নইলে আপনার নাতির ব্যায়রামটি ধরা পড়বে না ! কেমন, বলি নি আমি ? তাহার ফোকলা হাতের ফাকে জিবটি কঁাপিতে - * . . লাগিল । বিমল স্মিতমুখে জগদীশবাবুর মুখের পানে চাহিল এবং বলিল-আমি তো মাইক্রসকোপে দেখে তবে ধরলুম, আপনি তো না দেখেই অনেকটা বুঝতে পেরেছিলেন, আপনাদের চোখই আলাদা, আপনাদের মত একস্পীরিয়েন্‌স হ’তে ঢের দেরি এখন আমাদের— তাহার পরদিনই জগদীশবাবু বিমলকে আর একটি রক্ত পরীক্ষা করিতে দিলেন এবং বিমলও একটি টাইফয়েড কেসে এক রকম অকারণেই তাহাকে “কনসালটেশনে” অর্থাৎ পরামর্শ করিবার ওজুহাতে ডাকিল। একেবারে অকারণে নয়, রোগীটি শাসালো, একটু ধুমধাম করিয়া চিকিৎসা না করিলে হাতছাড়া হইয়া যাইত । জগদীশবাবু আসিয়া সিভিল সার্জনকে ডাকিবারও ব্যবস্থা করিলেন। সিভিল সার্জনের সহিতও বিমলের বেশ হৃদ্যতা জন্মিয়াছিল। প্রথমতঃ এই উদ্যমশীল যুবক ডাক্তারটিকে প্রথম দিন হইতেই তাহার বেশ ভাল লাগিয়াছে—এই মৃতপ্রায় হাসপাতালটিকে ছোকরা নিজ চেষ্টায় পুনরায় সঞ্জীবিত করিয়া তুলিয়াছে তো! দ্বিতীয়তঃ, তাহার কন্যা তরঙ্গিণীর সখী ইহার স্ত্রী । মণিমালাকে লইয়া বিমল এক দিন তরঙ্গিণীর সহিত দেখাও করিয়া জালিয়াছে। বিমলকে দেখিয়া তরঙ্গিণী, তরঙ্গিণীর মা সকলেই খুব খুশী । সিভিল সার্জনের মনেও কেমন যেন একটা বাৎসল্যভাব সঞ্চারিত হইয়াছে । তৃতীয়তঃ, স্ববিধা পাইলেই বিমল তাহাকে ‘কল' দিতেছে । সেদিনই তো একটা অপারেশনের জন্ত আহবান করিয়া তাহাকে প্রায় দুই শত টাকা পাওয়াইয়া দিল । স্বতরাং অনিবাৰ্য্যভাবে সিভিল সার্জন মহাশয় বিমলকে স্বচক্ষে দেখিতে লাগিলেন। ॰षीणॆौ 2\లిgy - মনিবরা সকলেই যখন, স্বপ্রসন্ন তখন জার ভাবনা কি। হাসপাতাল-কমিটির মেম্বারদের বাড়ীতে বিনা-পয়সী। দেখিলেই তাহারা খুশী থাকেন। তা ছাড়া বিমল ইহাদের নিকট পয়সা লইবেই বা কিরূপে, জগদীশবাবু, ভূধরবাৰু কেহই ইহাদের নিকট এক পয়সা গ্রহণ করেন না। যদিও ইহারা সকলেই বড়লোক, ফী দিয়া ডাক্তার ডাকিতে সক্ষম, কিন্তু এখানকার রেওয়াজই এমনই দাড়াইয়। গিয়াছে। বিমল কেন শুধু শুধু সেই চিরাচরিত প্রথার ব্যতিক্রম করিতে যাইবে ! মোট কথা বিমলের প্রাকৃটিসের পথ মোটেই আর দুর্গম রহিল না। পুষ্পাকীর্ণ না হইলেও কণ্টকাকীর্ণ ষে রহিল না তাহা ঠিক । পারঘাটার নৌকা হইতে অবতরণ করিয়া বিমল সেদিন বেশ একটু উত্তেজনাভরেই গিয়া ওপারে দামী মোটরটিতে আরোহণ করিল। বাঘমারির জমিদারবাবু সৌরীন্দ্রমোহন বস্থর বাড়ী হইতে তাহাকে ডাকিতে আসিয়াছে । সৌরীনবাবু এ অঞ্চলের এক জন বদ্ধিষ্ণু জমিদার, বেশ শিক্ষিত এবং ধনী। সৌরীনবাবুর বাড়ীতে বিমল এই প্রথম যাইতেছে। কি অসুখ এবং কাহার অমুখ কিছুই জানা নাই, সৌরীনবাবু কেবল একবার যাইতে লিখিয়াছেন। বাঘমারি গ্রামটি প্রায় বারো মাইল দূরে । মোটরে চড়িয়া বসিতেই কেতাদুরস্ত ড্রাইভার গাড়ীতে স্টার্ট দিল । নি:শব্দ গতিতে গাড়ী ছুটিতে লাগিল । বারো মাইল পথ অতিক্রম করিতে আবখ্য বেশী সময় লাগিল না। মিনিট পয়তাল্লিশ পরেই গাড়ী প্রকাও হাতাওয়ালা এক অট্টালিকার সম্মুখে আসিয়া গাড়ীবারান্দার নীচে থামিল। বিমল গাড়ী হইতে নামিয় দেখিল একটু দূরে ডিম্বাকৃতি তৃণাস্তৃত ‘লনে একটি ছোট টেবিলকে কেন্দ্র করিয়া দুইটি মহিলা এবং দুই জন পুরুষ আরাম-কেদারায় বসিয়া রহিয়াছেন। ড্রাইভার বলিল-আপনি হুজুর ঐখানেই যান, বাৰুসায়েব ঐখানেই झुंझुन् । বিমল অগ্রসর হইল। বিমলকে আসিতে দেথিয় চেয়ার ছাড়িয়া এক জন ভদ্রলোক উঠিয়া দাড়াইলেন ও