পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

६ल्लेखं سكنة ८कन अश्लेिग्रः ख्रिनषरग्नब्र मtथा श्वब्रांज अछब मद्दश् रुजि তাহাই আমাদের অপরাধ ! কেহ কেহ চরকা না কাটিয়াও চরকার প্রচণ্ড সমর্থন করিতেন, আমরা ত্বাহ পারিতাম ন, তাহাও আমাদের ছিল মস্ত অপরাধ । তখনকার দিনের আন্দোলনে র্যাহারা নির্বিচারে ঝাপ দিয়া পড়িয়াছিলেন, আজ তাহাদের অনেকেরই মতামত আগাগোড়া বদলাইয়া গিয়াছে। কিন্তু আমরা বহু মতভেদ সত্ত্বেও মহাত্মাজীর প্রতি এখনও গভীর শ্রদ্ধা পোষণ করি । দ্বিজেন্দ্রনাথ যদি আজ বাচিয়া থাকিতেন তবে হয় তিনি নিজ মতামত আমূল পরিবর্তন করিতেন নয়তো তাহার প্রিয়াপ্রিয়জন সম্বন্ধে স্বীয় বিচারকে আগাগোড়া অদলবদল করিতে বাধ্য হইতেন । ভারতের প্রতি র্তাহার ভালবাসা এত গভীর ছিল যে তাহার জন্য তিনি অসম্ভবকেও বিশ্বাস করিতে প্রস্তুত ছিলেন । এই জন্য অনেক সময় তাহার অতিশয় স্নেহাম্পদ ছোট ভাই শ্ৰীযুত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের সঙ্গেও তাহার বিলক্ষণ মতের প্রভেদ ঘটিত এবং তাহার এইরূপ ঐকাস্তিক একাগ্রতার স্থযোগও তথনকার দিনে অনেকে লইয়াছিলেন । কিন্তু তবু মৃত্যুকাল পর্য্যস্ত তাহার এই ব্যাকুল স্বদেশভক্তি তিনি বহন করিয়া গিয়াছেন । মানুষ মাত্রেরই প্রতি র্তাহার মৈত্রী ছিল অপরিমাণ, সকলকেই তিনি এই রকম বিশ্বাস করিতেন যে র্তাহার পক্ষে সংসারে কোনো কাজ করা ছিল একান্ত অসম্ভব । তাহার ভূত্যদিগকে তিনি কাণ্টের দর্শনের সমালোচনা পড়িয়া শুনাইতেন । শুনিয়াছি যখন তিনি স্বপ্নপ্রয়াণ কাব্য লেখেন তখন তারাদাসীকে তিনি তাহা পড়িয়া শুনাইতেন । বৃদ্ধ শুনিত আর ঝিমাইত, মাঝে মাঝে ঠাকুর-দেবতার কথা মনে করিয়া হাতজোড় করিয়া নমস্কার জানাইত । র্তাহার এই সরল শ্রদ্ধার সুযোগও যে কেহ কেহ গ্রহণ করিতেন না তাহাও নহে। শুনিয়াছি তাহার প্রথম জীবনে তাহাদের বাড়ীতে এক জন আসিতেন তাহাকে সকলে "ফিলজফার” বলিয়া ডাকিতেন। তিনি নানা ওজুতাতে দ্বিজেন্দ্রনাথের কাছে অর্থ লইতেন। এক বার ফিলজফার এমন একটা দুঃখের কথা জানাইলেন যে তাহাতে منا-سیداسیووه श्रेशंभाँङकैक्ष्बखमांथ বহ অর্থ সাহায্য করিতে হয় । দ্বিজেঞ্জনাখের কাছে ক্টো অর্থ ধাৰিত না। অগত্য তিনি বহু মূদ্র ব্যয়ে সর্ম্য বিলাত হইতে জানীত তাহার নিজ ব্যবহারের ত্রিচক্রধান ( tricycle)थोंनेि ऊँीशं८क लॉन कब्रिह्णन । उधमकींद्र দিনে দ্বিচক্রধান হয় নাই এবং ত্রিচক্রধানও মূল্য ছিল। দ্বিজেন্দ্রনাথের অন্ত ব্যায়াম বিশেষ কিছু না থাকতে ঐ ত্রিচক্রধানটি তাহার একান্ত প্রয়োজনীয় বস্তু ছিল। অন্ধেরা কোনো মতে ঐ যানটি ফিলজফারের কাছ হইতে উদ্ধার করিয়া আনেন। শান্তিনিকেতনেও দেখিয়াছি পশু পার্থী কাঠবেড়ালী কুকুর বেড়াল প্রভৃতির উপর তাহার কি প্রতি। পার্থীগুলি র্তাহার গায়ে আসিয়া বসিত, তাহার হাত হইতে থাইত । কাঠবেড়ালী তাহার কোলের উপর হইতে খাদ্য বাহির করিয়া খাইত, তাহাকে সঙ্কোচ করিত না। আমরা আসিলেই দৌড়িয়া পলাইত। শালিক পার্থীগুলি তাহার টেবিলের উপর বসিয়া তাহার কলম চশমা লইয়া নাড়াচাড়া করিলে তিনি তাহাদের সঙ্গে থেলায় যোগ দিতেন । পার্থীদের জন্য কত ছড়াই তিনি বাধিয়াছিলেন এক বার একটি শালিক পাখী খেলা করিতে করিতে র্তাহার চোখে আঘাত করাতে তিনি কয়েক দিন কষ্ট পান । পশুপক্ষীর সঙ্গে র্তাহার মৈত্রীভাবের আর অস্ত ছিল না। কাজেই তাহীদের সব অত্যাচার তিনি সহিতেন, কখনও তাহাদিগকে তাড়াইতে দিতেন না । ছোট ছেলেপিলেদের সঙ্গে তাহায় সরল হৃদয়ের একটি স্বাভাবিক যোগ ছিল । তিনি তাহাদিগকে অত্যন্ত স্নেহ করিতেন । নিজে খাইতে বসিয়া ভূত্য মুনীশ্বরের ছেলেদের অপেন হাতে খাওয়াইয়া দিতেন । মুনীশ্বর বাধা দিতে গেলেও তিনি তাহা মানিতেন না । আগ্রমের ছেলেরাও যাহারা তাহার এই স্বভাবের কথা জানিত তাহারা মাঝে মাঝে র্তাহার প্রসাদলাভ করিত। এক বার একটি ছেলে র্তাহার নিকটস্থ একটি গাছে উঠিয়া ডাল ভাঙিয়া ফেলে। বৃক্ষটির শাখাভঙ্গে দুঃখিত হইয়া ছেলেটিকে তিনি তিরস্কার করেন । হঠাৎ বালকটির দিকে চাহিয়া তাহার কাতর মুখ দেখিয়া অস্তরে তিনি এমন ব্যথা পাইলেন ষে তাহার পর নিজে তাহাকে ডাকিয়া