পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ஆஇச ●यंथांजी >\è8 y বিমলবাবু একের পর একটি করিয়া কাজের তদারক করিয়া ফিরিলেন । ফিরিবার পথে বাংলোয় আসিয়া না উঠিয়া শ্ৰীবাসের দোকানের সম্মুখে আসিয়া দাড়াইলেনু ঐবাসের ছেলে গণেশকে আর সে গণেশ বলিয়া চেনাই যায় না। চৌকা ঘর কাটা রঙীন লুী পরিয়া, ঘাড় একেবারে কামাইয়া চোঁদআন-দুই আন ফ্যাশানে চুল ছাটিয়া, গায়ে একটা পুলওভার পরিয়া গণেশ একেবারে ভোল পাটাইয়৷ ফেলিয়াছে । দোকানেরও আর সে চেহারা নাই । পাকা মেঝে, পাকা বারান্দা, দোকানে হরেক রকমের জিনিস। লোহার তারের বাগুিল, পেরেক গজাল, গরুর গাড়ীর চাকার হালের জন্য লোহার পাটি, লোহার শলি, গরুর গলার দড়ির পরিবর্তে লোহার শিকল, জানালায় দিবার জন্য লোহার শিক—মোট কথা লোহার কারবারই বেশী। অদূরে একটা গাছের তলায় এক জন পশ্চিম দেশীয় মুসলমান একটা গরুকে দড়ি বাধিয়া ফেলিয়া পায়ে নাল ঠকিতেছে। কয়েক জন গাড়োয়ান তাহাদের গরুগুলি লইয়া অপেক্ষা করিয়া দাড়াইয়া আছে। রাস্তার ধারে এক-একটা ইট পাতিয়া পশ্চিম দেশীয় নাপিত চুল ছাটিতে বসিয়াছে। গণেশ বেচিতেছিল লোহার তার ; একটি সাওতালের মেয়ে কিনিতেছে। গণেশ বলিতেছে—আরে বাপু, আলনা করবার জন্য যে নিবি, তা, ক-হাত চাই সে মাপ এনেছিস্ ? মেয়েটি ভাল বুঝিতে পারিতেছে না, বলিতেছে— মাপ কি বুলছিস্ গো ? - —কি বিপদ ! ছোট হ’লে তখন করবি কি ? তখন এসে আবার কাউমাউ করবি । —হু । কি কাউমাউ করলম গো ? —কি বিপদ ! কাপড় টাঙাবার জন্তে আলনা করবি তো ? 鬱 -छ्रे । ঠিক এই সময়েই বিমলবাবু আসিয়া দাড়াইলেন । গিণেশ ব্যস্ত হইয়া তার ফেলিয়া আসিয়া নমস্কার করিয়া బ్రొ-క్షా! তাড়াতাড়ি সে একখানা লোহার চেয়ার আনিয়া পাতিয়া দিল ; বিমলবাৰু বসিলেন না চেয়ারখানার উপর একটা পা তুলিয়া দিলেন, বলিলেনশ্ৰীবাস কোথায় ? —আঞ্জে, বাবা এখনও আসেন নি । বাড়ী— —হ ! তুমিই শোন তা হ’লে। মাৰি বেটার আবার গোলমাল করতে আরম্ভ করেছে । ভিতরের ব্যাপারটা একটু খোজ নাও দেখি ! শুনছি—ইস্ত্র রায় নাকি সব বেগার ধরেছেন । আসল কথাটা আমাকে জানিয়ে আসবে। বিমলবাবু ফিরিলেন। কাল ওপারে আপিসে বসিয়া বিমলবাবু ডাকিলেন—যোগেশবাৰু ! যোগেশ মজুমদার আসিয়া দাড়াইল, বিমলবাবু বলিলেন, ঐবাসের হাগুনোটটা—আপনার দরুন যেটা-- সেটার বোধ হয় তিন বছর প্রায় হয়ে এল, না ? যোগেশ মজুমদার ফৌজদারী মামলার সময় শ্ৰীবাসকে ঋণ দিয়াছিল, তাহার দরুণ হাগুনোটট বিমলবাবু কিনিয়াছেন । মজুমদার বলিল—আঞ্জে হ্যা, আর তামাদীর সময় হয়ে এল। তা ছাড়া, আপনার নিজেরও দুখান হাওনোট— —সে থাক। এখন এইটের জঙ্গেই একটা উকীলের নোটিশ দিয়ে দিন । বিমলবাবু নিজেও শ্ৰীবাসকে ঋণ দিয়েছেন দুই বার। মজুমদার বলিল—ওকে ডেকে— বাধা দিয়া বিমলবাবু বলিলেন—না। ঠিক প্রণালী মত কাজ ক’রে যান। এর পর যা কথা হবে, সে উকীলের মারফতেই হবে । উকীলকে আমাদের সত্ত্বট জানিয়ে দেবেন, চরের এক-শ বিঘে জমিটা স্থাষ্য মূল্যেষ্ট আমি পেতে চাই । মজুমদার বলিল—যে আজ্ঞে । বিমলবাবু বলিলেন—আর এক কথা। এক বার ইন্দ্র রায়ের কাছে আপনি যান। তাকে বলুন যে, আমার শরীর খারাপ ব’লেই আমি যেতে পারলাম না। কিন্তু