পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রস্তাবিত জমি-হস্তান্তর আইন ঐবিমলচন্দ্র সিংহ, এম. এ. গত ২৮শে ডিসেম্বর তারিখের কলিকাতা গেজেটে কতকগুলি বিল প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি বিল অকৃষক প্রজাদের অধিকার সম্বন্ধে । এ ব্যাপারে আর একটি বিল এসেছে কেন্দ্রীয় আইন-সভায় । কিন্তু যদিও এ বিলগুলির গুরুত্ব খুবই বেশী, তবুও আর একটি যে বিল প্রকাশিত শয়ছে কৃষকদের জোতজমা হস্তান্তর সম্পর্কে, ফলাফলের দিক দিয়ে বিচার করে দেখলে সে বিলটির ফলও কম মৃদুরপ্রসারী হবে না। বিলটি বেসরকারী এবং সে-হিসেবে এটি এখনই পাস হবে এ রকম সম্ভাবনা নেই। কিন্তু বিষয়টির গুরুত্ব কম নয়, এবং ঠিক এই কারণেই এ ধরণের কোনও সরকারী বিল আসাও আঞ্চৰ্য্য নয়—সেই জন্য এ বিষয়টির আলোচন৷ অপ্রাসঙ্গিক হবে না। বাংলায় জমি-হস্তান্তরের অধিকার দেওয়ায় কৃষকেরা বহু সময় দরকার হলেই জমি বেচে ফেলে বা বন্ধ সময়ে বেচে ফেলতে বাধ্য হয় । ফলে কৃষকদের হাত থেকে অকৃষকদের হাতে জমি চলে যাচ্ছে এবং যারা সত্যিকারের চাষী তারা ক্রমশঃ ভূমিখুন্ত হয়ে পড়ছে। এই ব্যাপারটি বন্ধ করার জন্যেই এই বিল প্রণয়ন । বিলটিতে বলা হয়েছে, ( ১ ) আইনটি সারা বাংলায় প্রযোজ্য এবং যে জমি বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনের আমলে আসে সেই জমিগুলো সম্বন্ধে আইনটি খাটবে, (২) কোন রায়ত তার জমি কোন জমির মালিক, মধ্যস্বত্বাধিকারী, জোতদার বা অকৃষকের কাছে বিক্রি করতে পারবেন না। যিনি সত্যিকারের চাষী নন এবং নিজে হাতে জমি চাষ করেণ না তিনিই অকৃষকের পধ্যায়ভুক্ত। এবং তাদের জমি কেনার অধিকার নেই। তবে এই নিয়মের কয়েকটি ব্যতিক্রম আছে—যথা ( ক ) কোন মালিক, মধ্যস্বত্বাধিকারী বা জোতদার যদি সেই গ্রামে বাস করেন এবং তার মোট খাস জমির পরিমাণু এই লবত্ৰীত জমি সমেত ১ • • বিষয় বেশী না ছয় তা হলে তিনি জমি ক্রয়ের অধিকার পাবেন। (খ ) কোনও মালিৰ মধ্যস্বত্বাধিকারী বা জোতদার কাছারি বা سميا مصاصي الإع বসতবাড়ীর জন্তে যদি e একরের বেশী জমি না চান বা (গ) কোনওঁ অকৃষক বসতবাড়ীর জষ্ঠে যদি e একরের বেশী জমি ন চান বা (থ) কোনও লোক বা কোম্পানী বৈজ্ঞানিক উপায়ে চাষবাস করবার জষ্ঠ বা অন্ত কোন জনহিতকর কাজের জন্য জমি চান এবং এই ব্যাপারটিতে যদি জেলার কালেক্টরের সম্মতি থাকে (ঙ) ফ্যাক্টরি স্থাপনের জন্ত যদি ৫০ বিঘার অনধিক জমি চান ( চ ) বা কোন অকৃষক যদি জাতি হিসাবে কৃষকের তিন পুরুষের মধ্যে হন তাহলে এর জমি পেতে পারেন। (৩) প্রত্যেক জমি বিক্রির দলিলেই ক্রেতা যে অকৃষকং ন'ন বা কোনও না কোনও ব্যতিক্রমের মধ্যে পড়েন এরূপ স্বীকৃতি থাকবে এবং যদি বিক্রির ছয় বছরের মধ্যেও এই স্বীকৃতি মিথ্য প্রমাণিত হয় তা হলে বিক্রয় রদ হয়ে নুতন করে নীলাম হবে এবং এই আইনে র্যাদের কেনবার অধিকার আছে তারাই কিনতে পারবেন। আবার এই লীলামেও যদি একই দোষ থাকে তাহলে ছয় বৎসরের মধ্যে ধরা পড়লে এই নীলামও রদ হয়ে যাবে এবং ধিনি নীলামের দোষ ধরিয়ে দিতে পারবেন তিনি নীলামলন্ধ টাকার জন্ধেক পাবেন । ( 8 ) পরিশেষে বলা হয়েছে যদি লীলামের সময় আইনতঃ অধিকারীদের মধ্যে কেউ না ডাকেন বা তাদের সৰ্ব্বোচ্চ স্তাকে ডিক্রিদায়ের পাওনা টাকা শোধ না হয় তাহলে আদালত ছয় বৎসরের অনধিক কালের জন্য পাওনাদারের হাতে জমি ছেড়ে দিতে পারবেন। এই ভাবে আকৃষকদের হাতে জমি যাওয়া বন্ধ হ’লে কৃষকদের উন্নতি হবে, বিল-প্রণয়নকারী এই রকম মনে করেন। বিলটি ১৯৩৯ সালের হলেও বিলের সমস্তাটি বহুকালের। সেজন্য বিলটির আলোচনার আগে পিছনে তাকানো প্রয়োজন । ર সারা ভারতবর্ষে গত কয়েক বৎসরে প্রজাস্বত্ব-আইনের যে-সব সংশোধন হয়ে গেল, তার মধ্যে প্রায় সব কয়টির মধ্যেই একটি বিষয় লক্ষ্য করবার আছে। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই প্রজাদের যে সকল অধিকার আইনতঃ স্বীকৃত না হ’লেও বাস্তবিক প্রাপ্য এবং বহুক্ষেত্রে তার পেয়েও আসছিল, সেই অধিকারগুলির जांश्नङ चौकांद्र