পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سافه . করে নেওয়া হয়েছে। যুক্তপ্রদেশে চাষীদের বহু ক্ষেত্রে জমি-হস্তান্তরের অধিকার ছিল না—তারা সে অধিকার পেয়েছে, তাদের ফসল ক্রোকের ব্যবস্থা ছিল—সে ব্যবস্থা রহিত করা হয়েছে। বিহারেও বহু ক্ষেত্রে অম্বরূপ ব্যবস্থা অবলজিত হয়েছে। বাংলায় ১৯৩৮ সালে বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনের ষে সংশোধন হয়েছে তাতে সেলামী বন্ধ ক’রে দেওয়া হয়েছে, আবওয়াব গ্রহণ দগুনীয় হয়েছে এবং চাষীদের বহুপ্রকার অধিকার স্বধৃঢ় করা হয়েছে, অগ্রক্রয়ের অধিকার লোপ করা হয়েছে। ফলে জমি-হস্তান্তরের স্ববিধা দেওয়া হয়েছে প্রচুর। কাজেই চাষীদের অধিকার তাতে বজায় হয়েছে বটে কিন্তু সেই সঙ্গে তাদের আর এক সৰ্ব্বনাশের পথ খুলে দেওয়া হয়েছে এবং এর ফলে বহু জমি অকৃষকদের হাতে চলে ধাওয়া বিচিত্র নয়। সেই জন্য এ ধরণের বিল মোটেই সময়ের অনুপযোগী নয় । কিন্তু এই সমস্ত৷ পঞ্চাশ বছর আগেও ঠিক এমনই ছিল এবং যখন ১৮৮৫ সালে বঙ্গীয় প্রজস্বত্ব আইন পাস হয় তখনও এ সমস্যার যথেষ্ট আলোচন হয়েছিল। সে সময় এর সমাধান করা হয়েছিল প্রজাদের হস্তান্তরের অধিকার থেকে বঞ্চিত ক’রে । সে সময় যখন হস্তান্তরের অধিকার দেবার কথা হয়েছিল, তখন কলিকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সরু রিচার্ড গার্থ র্তার স্মারকলিপিতে লিখেছিলেন— আমি স্বীকার করি যে জমি বিক্রির অধিকার দিলে জমির দাম বাড়বে। কিন্তু এতে যে কৃষকদের কল্যাণ হবেই এমন কোন কথা নেই। বরং এই অধিকার দিলে শ্রেণীগত ভাবে কুবকদের উচ্ছেদসাধনের সহায়তা করা হবে সে বিষয়ে সমোহ নেই। র্তার কথার মূল্য সে সময় অনেকে উপলব্ধি করেছিলেন । কিন্তু কৃষকদের শ্রেণীগত ভাবে জাগরণের সঙ্গে সঙ্গে এষং আইনত: না হ’লেও কার্যাক্ষেত্রে এ রকম হস্তান্তর চলিত থাকার ফলে জমিদারের বহু অত্যাচার করতেন, সেই জন্য চাষীদের হস্তান্তরের অধিকার স্বীকৃত হয়েছে এবং ক্রমশঃ দৃঢ়তর হচ্ছে। কিন্তু সেই সঙ্গে জমিবিক্রির কোনও ব্যবস্থা হয় নি। পঞ্চাবে যখন এই সমস্যা প্রবল হয়েছিল তখন ১৯০০ সালে ল্যাণ্ড অ্যালিয়েনেগুন དག་ཅིག পাস হয়। তার ব্যবস্থাগুলি কতকটা এই ধরণের । প্রবাসী ১৩৪৬ কিন্তু তাতে সাময়িক ভাবে জমি-হস্তাস্তরের বহু রকম বম্বোবস্ত আছে। সেখানে প্রজাদের জমিদারের কাছে নিজের স্বত্ব অবাধে বিক্রয় করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সাময়িক ভাবে বন্ধক রাখবার জন্য হস্তান্তরের ব্যবস্থাও আছে। পাওনাদার টাকা আদায়ের জন্য জমির দখল নিতে পারেন ; অথবা চাষীই জমির দখলে থাকবেন কিন্তু নিদিষ্ট স্বদ ও আসল কিস্তিমত দিতে না পারলে পাওনাদার ডেপুটি কমিশনারের অনুমতি নিয়ে জমি দখল করতে পারেন ; বা লিখিত দলিলের সাহায্যে পাওন} দারকে জমির মালিক স্বীকার ক’রে নিয়ে দেনদার পাঞ্জন দ্বার দেন শোধ করতে পারেন। এ ছাড়া আরও ব্যবস্থ আছে। বাংলার বিলটিতে এ ব্যবস্থা-বৈচিত্রা নেই । ১৯২৮ সালে যখন কৃষি-কমিশন এই আইনটি সম্বন্ধে অসুসন্ধান করেছিলেন, তখন তারা জেনেছিলেন যে আইনটির ফল মোটের উপর ভালষ্ট হয়েছে, এবং অন্তত: ৩,২৭,০০০ একর জমি অকৃষকদের হাত থেকে কৃষকদের হাতে ফিরে গেছে । তারা আরও বলেছিলেন যে এ রকম আইনে ফল ভাল হওয়াই সম্ভব এবং এ বিধৰ্ম্মে আলোচনার সময় এসেছে—যদিও পরে তারা স্পষ্ট? স্বীকার করেছিলেন যে, যদি চাষীদের আরও শিক্ষিত না করতে পারা যায়, তাহলে কোনও আইনের সাহাধ্যেই তাদের রক্ষা সম্ভব নয় । কারণ তারা নিজেদের ধ্বংস করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ । কৃষি-কমিশনের কথা মেনে নিলে এই আইনটির প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা যায় না ।

rtrజ_

w: কিন্তু এত কারণ থাকা সত্ত্বেও আইনটি সম্পূর্ণত: এমন কি অনেকাংশেই সমর্থনযোগ্য নয়। প্রথমতঃ এই বিলটি যে আকারে এসেছে সে সম্বন্ধে কিছু বলা যেতে পারে। কলিকাতার কোনও সুপ্রসিদ্ধ উকিল এই বিলটি সম্বন্ধে মন্তব্য করেছেন-- The bill is so loose in and its conception ludicrous in its drafting that it is perhaps not to be taken seriously. এত দূর না গেলেও একথা নিঃসংশয়েই বলতে পারা যায় ধে বিলটির সংশোধন প্রয়োজনীয়। উদাহরণ-স্বরূপ বলা