পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ጳዊ8 মেয়েটি বলিল—ওখানাতে কি আছে দেখ । এইখানে নীলিমার ঘুম ভাঙিয়া গেল। সে দেখিল তাহার হাতে একথানা ছবি—রক্তাম্বর, ফুলসজ্জায় সজ্জিত, বন্ধুবেশিনী সেই স্বপ্নে-দেখা মেয়েটির ফটােগ্রাফ। এক মুহূৰ্ত্ত মাত্র। তার পরেই চীৎকার করিয়া উঠিয়া মূৰ্ছিত হইয়া সশবো মেঝের উপরে পড়িয়া গেল । সেই শকে অন্নদাপ্রসাদের ঘুম ভাঙিয়া গেল ; দেখিল পাশে নীলিমা নাই ; নানারূপ শঙ্কায় তাহার বুক কঁাপিতে লাগিল! কোথায় গেল সে ? নাম ধরিয়া ডাকিল— কেহ উত্তর দিল না। তখন মনে হইল—এই মাত্র একটা শব্দ শুনিল—কিসের শক ? সে আলো লইয়া এ-ঘর ও-ঘর খুজিতে খুজিতে দেখিল বাক্স রাথিবীর ঘরের মেঝেতে নীলিমা মূৰ্ছিত হুইয়া পড়িয়া আছে। অন্নদাপ্রসাদের মুখে কথা বাহির হইল না। কিন্তু এমন করিয়া থাকিলে তো চলিবে না । সে জল আনিয়া তাহার মাথায় দিল—পাখা লইয়। বাতাস করিল ; নাম ধরিয়া ডাকিল, অনেক চেষ্টার পরে নীলিমার মূৰ্ছি ভাঙিল, জ্ঞান ফিরিল। সে শুধাইল—তুমি কে ? अम्नदीं बलिंज-श्रांभि अञ्चल । নীলিমা শুধু বলিল-ও। অন্নদা শুধাইল—তুমি এখানে এলে কি ক’রে ? সে বলিল—সেই মেয়েটি নিয়ে এসেছে। —কোন মেয়েটি ? —সেই যাকে স্বপ্নে দেখেছি। অন্নদ্ধা বলিল—ও সব বাজে ! তুমি স্বপ্ন দেখে এখানে চলে এসেছ ! নীলিমা দৃঢ়ভাবে বলিল—স্বপ্ন নয়! তার পরে নিজকেই যেন প্রশ্ন করিল—ছবিখান কোথায় ? অন্নদা বলিল—ছবি ! কিসের ছবি ? নীলিমা বলিল—সেই মেয়েটির—সেই এক মুখ, এক সাজ ! eंबांशौ ులీg& সে এদিক-ওদিক তাকাইতে দেখিতে পাইল অরে ছবিখানা পড়িয়া আছে ; মূচ্ছিত হইয়া পড়িবার সময়ে হাত হইতে ছিটকাইয়া গিয়াছিল। সে ছবিখানা তুলিয়া লইয়া বলিল—এই মেয়েটিকেই আমি প্রতিরাত্রে স্বপ্নে দেখি। আজ সে আমাকে বলেছিল, এ বাসা ছাড়লেক্ট আমাকে ছাড়তে পারবে না। তখন সে আমাকে সঙ্গে ক’রে নিয়ে এসে তোমার হাতবাক্স থেকে এই ছবি বার করতে বাধ্য করল । তার পরে বলল—এবারে দেখ | তখন আমার ঘুম ভেঙে গেল। চেয়ে দেখি যাকে এত দিন স্বপ্নে দেখেছি—এ ছবি তারই । এই পৰ্য্যস্ত বলিয়া সে অন্নদাকে জিজ্ঞাসা করিল—এ ছবি তোমার বাক্সে এল কি ক’রে ? অন্নদা একটি দীর্ঘনিঃশ্বাস চাপিয়া বলিল—বিছানায়ু চল, সব বলব । বিছানায় গিয়া অন্নদাপ্রসাদ সব স্বীকার করিল। প্রথম পক্ষের পত্নীর কথা শুনিয়া নীলিম দুঃখিত হইল না, বরঞ্চ সে স্মৃতি যাহাতে নীলিমাকে ব্যথিত না করে সে জন্য কত সঙ্কোচে অন্নদা সব দিক বঁাচাইয়া চলিবার চেষ্টা করিয়াছে জানিয়া স্বামীর প্রতি ভক্তি বরঞ্চ বাড়িল । অন্নদা বলিল—আমি ঐলেখার সব স্মৃতি মুছে ফেলেছিলাম, কেবল ঐ ফুলসজ্জার সাজে তোলা ফটোগ্রাফথানা নষ্ট করি নি। কিন্তু আমার বিস্ময় লাগে } তুমি তার খোজ জানলে কি ক’রে ? নীলিমা বলে—সে আমাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছে। নইলে আমি কি জানতাম ওটা ওখানে আছে ? অন্নদা বলে—সে কথা ঠিক । বুলিজমে এমন হয় । শুনেছি সোমনাম 事 舉 舉 পরদিন তাহারা সে বাসা ছাড়িয়া গেল। তাহাদের পরবর্তী কালের ইতিহাস আর জানি না।