পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অহিংসা শ্ৰীযাদবেন্দ্রনাথ পাজা মাঘের প্রবাসীতে প্রকাশিত অধ্যাপক ডক্টর সুরেন্দ্রনাথ দাসগুপ্ত মহাশয়ের ‘অহিংসা' শীৰ্ষক প্রবন্ধে তিনি হিংসার, কি অহিংসার, শ্ৰেয়ত্ব প্রতিপন্ন করিলেন বুঝিতে পারলাম ন। অধ্যাপক মহাশয় বলিয়াছেন, "...হিংসাবৃত্তি আছে বলিয়াই মামুষের যৌথভাবে বাস করে.প্রাকৃতিক নিয়ম হিংসানীতির স্বপক্ষে ...নিম্নস্তরের জীবন গড়িয় উঠবার পক্ষে অহিংসাই প্রবল বাধা ।” দলবদ্ধভাবে থাকার গোড়াকার ইতিহাসে হিংসাবৃত্তির প্রভাব স্বীকার করিয়া লইলেও (যদিও আধুনিক নৃতত্ত্ববিৎ ও প্রত্নতত্ত্ববিদগণ ইহা স্বীকার করেন না) বর্তমান মানবসমাজগঠনের ভিত্তি কি হিংসা ? পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য কfরবে, সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধনের সুযোগ ঘটিবে এবং আত্মবিকাশের সুবিধ হইবে ইহাই সমাজগঠনের মূলনীতি নয় কি ? সকল মানুধের পক্ষে হিংসাই আত্মবিকাশের অস্তুরায় । অহিংসা আত্মার ধৰ্ম্ম । অহিংসাকে আশ্রয় করিয়াই আত্মপ্রাপ্তি ঘটিয়া থাকে। প্রবন্ধলেখক মহাশয় স্বাকার করিয়াছেন যে, অহিংসার উপলব্ধি আত্মার যথার্থ উপলব্ধি এবং ইহাই আত্মার স্বরূপ প্রকাশ । অধ্যাপক মহাশয় বলিয়াছেন যে, প্রাকৃতিক নিয়ম হিংসার পক্ষে । প্রাচ্য মনীষিগণ হিংসার তীব্র নিন্দ করিয়াছেন এবং অহিংসাকে সনাতন ধৰ্ম্মের প্রধান অঙ্গ বলিয়া কীৰ্ত্তন করিয়াছেন— "অপ্রোহ: সৰ্ব্বভূতেষু কৰ্ম্মণ মনসা গির। অনুগ্রহশ্চ দানং t সতাং ধৰ্ম্মে সনাতন: " —মহাভারত, শাস্তিপর্ব পাশ্চাত্য সুধীগণও প্রাকৃতিক নিয়মে পারস্পরিক সহযোগিতার দ্বারা উন্নতি সাধনের ধারাই দেখিয়াছেন এবং সামাজিক জীবনের সহিত হিংসার কোন সামঞ্জস্য হইতে পারে ন। এ কথাও তাহারা মুক্তকণ্ঠে বলিয়াছেন। অধ্যাপক হোয়াইটCog #15sq foojt’s “Science and the Modern World” নামক পুস্তকের শেষ অধ্যায়ে লিখিয়াছেন, “Those organisms are successful which modify their environments so as to assist each other. This law is exemplified in nature on a vast scale....” The Gospel of Force is incompatible with a SB-S social life. ly force, I mean antagonism in its most general sense. (Italiès mine. ) অধ্যাপক মহাশয় গান্ধীজীর অহিংসবাদ জনশনের সহিত অবিচ্ছেদ্যরূপে সংযুক্ত এইরূপ ধরিয়া লইয়া ইঙ্গার নিন্দায় প্রবৃত্ত হইয়াছেন । প্রকৃতপক্ষে অনশন অহিংসার সহিত অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত নয়। কোন কোন বিশেষ ক্ষেত্রে, চিত্তশুদ্ধির উপায়রূপে, ধ্যানের সহায়করূপে, অনশন-ব্রত গ্রহণ করা যাইতে পারে। উচ্চমন ব্যক্তিগণ র্তাহাদের আত্মীয়ুস্বরূপ, অস্তুরঙ্গ বন্ধুতুল্য ব্যক্তিগণের অন্যায় কার্য্যের প্রায়শ্চিত্তস্বরূপ অনশন-ব্ৰত গ্রহণ করেন । র্তাহারা মনে করেন র্তাহীদের নিজেদের দৌৰ্ব্বল্য বা ক্রটি বশত: অন্যায় কার্য্য সম্পাদিত হইয়াছে এবং ইহার সংশোধনের জন্ত ঠাহার অনশন-ব্রত গ্রহণ করিয়া থাকেন। ‘স্বকার্য্যোদ্ধারে’র জন্য অনশন কোনক্রমেই চলিতে পারে না । “... Fasting for the sake of personal gain is nothing short of intimidation und is a result of ignorance.”— Young India, Sep. 30, 1926. লেখক মহাশয় বলিয়াছেন যে সমাজের দণ্ডবিধানের ফলে লোকে অহিংসার শ্রেয়ত্ব স্বীকার করিয়া লইয়াছেন । শাসনের ভয়ে অহিংস হওয়া বহুনিন্দিত অহিংসবাদের অহিংসার নিকুণ্ঠতম সংস্করণও নহে, ইহা কাপুরুষতার নামাস্তুর এবং হিংসারই রূপাস্তুর মাত্র । অহিংসবাদে কাপুরুষতাব স্থান নাই । আমরা অহিংস হইব অপরের ভয়ে নহে, অহিংস আমাদের স্ব-ভাব, স্ব-ধৰ্ম্ম বা আত্মার ধৰ্ম্ম বলিয়। আত্মবিকাশের জন্য, স্বরূপ প্রকাশের জন্যই অহিংস হইব, রাজশাসন বা সমাজশাসনের জন্য নয়, যুদ্ধের দান হিসাবেও নয়। অহিংসার পথ বিধিনির্দিষ্ট পথ বলিয়াই গ্রহণ করিব, অন্য কোন কারণে নহে শু্যামানন্দের জাতি ও নিবাস শ্ৰীক্ষিতিনাথ সুর মাঘের প্রবাসী'তে পণ্ডিত শ্ৰীযুত ক্ষিতিমোহন সেন “বিদ্যাসাগয়ের মেদিনীপুর” প্রবন্ধে খামানদের উল্লেখ করিষু। লিখিয়াছেন—“খামানদের স্থান হইল মেদিনীপুর জেলা ঝাড়গ্রাম মহকুমার অন্তর্গত গোপীবল্লভপুর গ্রামে।...শু্যামানৰ ছিলেন জাতিতে ক4ণ ।.খামানন্মের প্রধান শিষ্য স্থলিক মুরারি ।” o ماہ ,