পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سنۃ ....؟ ጫማህሙ ●धंबाजी Soğu কিন্তু রক্তচাপ-নিয়ন্ত্রণের প্রকৃত কৌশল সম্বন্ধে বিশেষ কিছুই জানা যায় নাই। প্রোফেসর হেম্যান্সই ‘ক্যারোটিন্ড সাইনাসে’র রক্তচাপ-নিয়ামক সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম কাৰ্য্যাবলীর বিষয় পরীক্ষার সাহায্যে প্রমাণিত করেন । রক্তবহানাড়ী ‘ক্যারেটিভ আর্টারী’ যেখানে দ্বিধাবিভক্ত হইয়াছে সেই স্থানের একটি বিস্ফারিত অংশকে ‘সাইনাস্ ক্যারোটিকাস বলা হয়। জাৰ্ম্মেনীতে হেরিং এবং কচ, ইহা আবিষ্কার করেন। স্পেনীয় শারীরতত্ত্ববিদ ডি ক্যাষ্ট্রে ‘ক্যারোটিঙ সাইনাসের গঠনকৌশল ও তন্তুসংস্থানবিষয়ক অতি প্রয়োজনীয় তথ্যাদি নিরূপণ করেন । এই ‘ক্যারোটিড সাইনাসে’র কোন কোন অংশ শরীরের রক্তসঞ্চালন এবং শ্বাসপ্রশ্বাস-প্রক্রিয়া-নিয়ন্ত্রণে কিরূপ ভাবে কার্য্য করিয়া থাকে অধ্যাপক হেম্যান্স তাহা অপূৰ্ব্ব পরীক্ষাকৌশলে নিঃসন্দিগ্ধভাবে প্রমাণ করিয়া দেখাইয়াছেন । তিনি রক্তসঞ্চালন-নিয়ামক ব্যবস্থাসম্পর্কে ভেবজতাত্ত্বিক ও জৈব প্রক্রিয়ার আরও অনেক বিষয়ে আলোক সম্পাত করিয়াছেন। অনেক দিন হইতেই তিনি তাহার পিতা জে. হেম্যান্সের সহিত সম্মিলিত ভাবে এ সম্বন্ধে বিভিন্নরূপে কাজ কৰিয়া আসিতেছিলেন । বর্তমানে জীবনতত্ত্ব-সম্বন্ধীয় উাহার পিতার ও তাহার নিজের কতকগুলি সমস্যার প্রকৃত সমাধান করিয়া তিনি এই উচ্চ সম্মানের অধিকারী হইলেন । এলবারফেল্ডের বেয়ার কোম্পানীর চিকিৎসাবিষয়ক গবেষণাগারের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক গাৰ্হার্ড ডোমাক ভেষজতত্ত্বে এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য এবার ১৯৩৯ সালের নোবেল পুরস্কার লাভ করিয়াছেন। তিনি মাত্র অল্প কয়েক বৎসর যাবৎ বৈজ্ঞানিক সমাজে সুপরিচিত হইয়া থাকিলেও ইতিমধ্যেই ব্যাক্টরিয়া-সস্থাত ব্যাধির প্রতিষেধক আবিষ্কার করিয়া চিকিৎসাশাস্ত্রে এক নবযুগ আনয়ন করিয়াছেন । ১৯০৬ সালে পোল আলিক কর্তৃক ভালভারসান আবিষ্কৃত হইবার পর শরীরাভ্যস্তরস্থ জীবাণু ধ্বংস করিবার কোন উপায় উদ্ভাবনের জন্য বৈজ্ঞানিকের প্রাণপণ চেষ্টা করিতে লাগিলেন । ..তাহাদের অক্লাস্ত প্রচেষ্টায় শরীরাভাস্তরস্থ প্রোটােnজাতীয় জীবাণু ধ্বংসের কয়েক প্রকার ૪.૩ - ફરજ આ প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হইল সত্য, কিন্তু ব্যাকটরিয়া জাতীয় জীবাণু নষ্ট করিবার কোন উপায়ই খুজিয় পাওয়া গেল না। অনেক দিনের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর ১৯১৮ সালে লেভি এবং মরগেন্‌রথ নামক বৈজ্ঞানিকদ্বয় দেখিতে পাইলেন যে, সিনকোলাসার হইতে প্রাপ ইথাইল হাইড্রোকিউপ্রিন-প্রয়োগে ইদুরের দেহস্থিত নিউমোনিয়া-উৎপাদক ব্যাক্টরিয়া কিয়ং পরিমাণে ধ্বংস হইয়া যায়। তার পর সেই বৎসরেই হাইডেলবার্গারপ্রমুখ বৈজ্ঞানিকগণ হাইড্রোফিউপ্রিনের সহিত অন্যান্য যৌগিক পদার্থসহযোগে অধিকতর শক্তিশালী জীবাণুধ্বংসী ভেষজ প্রস্তুত করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন ; কিন্তু তাহাতে বিশেব কোন ফল হইল না। বিশেষতঃ শরীরের পক্ষে অনিষ্টকারক হইবে না অথচ ব্যাকটিরিয়া ৭ ধ্বংস হইবে, এরূপ কোন যৌগিক পদার্থ উৎপাদন কর। এক প্রকার অসম্ভব বলিয়াই প্রতীয়মান হইল । তার পর আরও কিছু দিন বৈজ্ঞানিকদের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর ইহাই সিদ্ধাস্ত হইল যে, ব্যাকটিরিয়া-সংক্রামিত বাধির প্রতিষেধক আবিষ্কfর করা ভেষজ-বিজ্ঞানের সাপ্যাদৱ নহে । কিন্তু ১৯৩৫ সালে ডোমাক প্রকাশ করিলেন যে, প্রোনটোসিল নামে এক প্রকার লাল বর্ণের রঞ্চক পদার্থ প্রয়োগে ইদুরের দেহস্থিত ষ্ট্রেপ্টেfক ক্লাস জীবাণু ধ্বংসপ্রাপ হয় । ১৯৩২ সালে তাহারই তত্ত্বাষধানে র্তাহার সহকৰ্ম্মীদের দ্বারা এই রঞ্জক পদার্থ উৎপাদিত হয় এবং ষ্ট্রেপ্টোকক্কাস জীবাণু দ্বারা ভীষণরূপে আক্রান্ত ইদুরের উপর তিনি ইহা প্রয়োগ করিয়া দেখিতে পাইলেন যে তাঙ্গর অতি সহজেই রোগমুক্ত হইয়। থাকে। রোগাক্রাস্ত ইদুরের অস্ত্রাভ্যস্তরস্থ আবরণীর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটিরিয়া দেখিতে পাওয়া যায়। কিন্তু প্রোনটোসিল-প্রয়োগের ৪৮ ঘণ্ট। পরে অস্ত্রাভ্যস্তরে তিনি ব্যাকটিরিয়ার চিহ্নমাত্র দেখিতে পান নাই । জাৰ্ম্মেনী, আমেরিক, ফ্রান্স ও ইংলণ্ডের বহু গবেষণাকারী প্রোনটোসিল-পরীক্ষায় সন্তোষজনক ফল লাভ করিয়া ডোমাকের আবিষ্কারের নিতুলতা প্রমাণ করিয়াছেন । লেভাভিটি, ভাইস্ম্যান এবং সর্বশেষে কোলক্ৰক বিভিন্ন S00SHHSASBMMMCHS LL AAASSAAAAA AAAAAS SASAASAAAS